Our User Product Reviews

অনেক ভালো লাগল

এত সুন্দর

“কিশোর বয়সে একজন মানুষের মানসিক বিকাশ খুব গুরুত্বপূর্ণ! ‘লাবু এলো শহরে’ তেমনই একটি কিশোর উপন্যাস! এই উপন্যাসে এই বয়সের ছেলেমেয়েদর জন্য একটা মেসেজ আছে!! ‘উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র লাবু! ছোটবেলাতেই লাবুর মা মারা যায় তারপর লাবুর বাবা তাকে নিয়ে জঙ্গলে চলে যায়! জঙ্গলের পরিবেশে সে বড় হতে থাকে! মাঝে মাঝে অদ্ভুত সব কান্ড করে সে, যেমন গাছের ডালে উল্ট হয়ে ঝুলে থাকা, বাঁদরের সাথে কথা বলা... ঘটনার এক পর্যায়ে তার ঝুম্পা খালা আসে... অনেক কৌশলে তাকে নিয়ে যায় শহরে... শহরে যাবার পর ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে... তা জানার জন্য অবশ্যই বইটি পড়া উচি আপনার... কেনো না আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না... জঙ্গল থেকে শুরু হয়ে শহর পর্যন্ত ঘটনা কোন দিকে গড়াবে!!

^_^

বইঃ লাবু এলো শহরে লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল মূল্যঃ ১৭৬ টাকা ................................................ লাবু পড়াশুনা করে। কিন্তু আমাদের মতো না। জোর করে সে কোনো কিছু করে না।পাখি দেখতে ভালো লাগলে পাখি দেখে।তার মা নেই। একদিন সে তার খালার সাথে শহরে আসে। কিন্তু কোনো স্কুলে সে পড়তে পারে না।কারণ সে তো চার দেয়ালে বন্দী না।সে তো আমাদের মতো শয়তানের কারখানায় বন্দী না।সে তো বাচতে জানে।আমরা তো মানুষ না,শুধুই প্রতিযোগী,কে কার চেয়ে ভালো? জাফর ইকবাল শহুরেদের মুখের উপর পাথরকণা ছুড়ে মেরেছেন। শহুরে কিংবা গ্রাম্য কোনোটাই সত্য নয় শুধু মানুষ সত্য আর সবই ফক্কিকার।

জাফর ইকবাল স্যারের লেখা সুন্দর আর মজার একটা বই। লাবু নামের এক কিশোর এর জীবন কাহিনী নিয়ে লেখা বইটি পড়ে একই সাথে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আর আনন্দের স্বাদ পেয়েছিলাম। বইটিতে আপনি এডভেঞ্চারের স্বাদও পাবেন পরিপূর্ণ রুপে। যারা এখনও পড়েননি তারা পড়ে দেখতে পারেন। লাবুর দুনিয়াটি খুব সুন্দর,সেখানে আপনাকে হিতাশ হতে হবেনা বলে আমি আশা করি।

লাবু এলো শহরে বইটি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা একটি কিশোর উপন্যাস। বইটির মূল চরিত্র লাবু। সে তার বাবার সাথে পাহাড়ে থাকত। বন জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়াত। পরে সে তার খালার সাথে তার বাবাকে নিয়ে ঢাকয় চলে আসে। তার থাকার বিভিন্ন কথা ও মজার মজার কাহিনী আছে বইটিতে আছে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী। বইটা অনেক ভালো লাগলো।

Labu's father got eccentric and moved to a jungle when Labu's mother passed away. So Labu grew up in a jungle-like aread. What happnes when he comes to city-like environment? Hilarious incidents! And that's what 'Labu Elo Shohore' is about. Labu tries his hardest getting into a school, but every time he gets admitted to an institution - well, some weird incidents happen. You gotta read it to find out! Labu Elo Shohore is a decent at its best adolescence novel by Muhammad Zafar Iqbal.

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা :::::::::::::২৩::::::::::::::::: বই - লাবু এলো শহরে লেখক:- মোহম্মদ জাফর ইকবাল ঘরানা:- কিশোর উপন্যাস প্রকাশ কাল:- পৃষ্ঠা:- রকমারি মূল্য:- জাফর স্যারের প্রতিটি কিশোর উপন্যাস আমার হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। তার কিশোর উপন্যাসে ইমোশন, অ্যাডভেঞ্চার কমন বিষয়। কোনকোন বই একটু বেশি কোন কোন বই একটু কম। লাবু এলো শহরে হয়তো "আমি তপু" বা "আমার বন্ধু রাশেদ" এই বই গুলোর মতো হৃদয় স্পর্শি নয় তবে বইটিতে কিশোর কিশোরীর সামাজিকীকরণসহ সমাজের অসংগতীপূর্ণ দিক গুলো চমৎবার ভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখক। সবমিলিয়ে অসাধারণ এক উপন্যাস যা বড়দের বিবেকবোধ জাগাতে সহায়ক। #রিভিউ নামেই বুঝতে পারছেন 'লাবু এলো শহরে' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র লাবু। ছোট বেলায় লাবুর মা মারা যাওয়ার পরে তার বাবা তাকে নিয়ে চলে যায় প্রায় মানুষের চিহ্নবিহীন এক জঙ্গলে। সেই জঙ্গলে লাবু নিজের মত করে বড় হতে থাকে বন্য পরিবেশে, বন্য পশুপাখির সবাই তার বন্ধু শুধু কোন মানুষ বন্ধু নেই লাবুর। সব বন্ধুদের নিয়ে লাবু মনের খুশিতে দিন কাঁটাতে থাকে। তার খুশিতে বাধ সাধে ঝুমু খালা। ঝুমু খালা এক রকম জোর করেই থেকে যায় লাবুদের সাথে এবং আস্তে আস্তে লাবুর কাছে আসার চেষ্টা করে। একদিন লাবুর বাবার সাথে বাজি ধরে বলেন যদি আমি জিতি তাহলে লাবুকে নিয়ে আপনাকে শহরে চলে আসতে হবে। এবং ছলনার আশ্রয় নিয়ে জিতে লাবুকে এবং আর তার বাবাকে শহরে নিয়ে আসেন । শহরে অনেক বড় স্কুলে লাবুকে ভর্তি করানো হয়। শহুরে জীবনের সাথে মানিয়ে নেয়া এবং শহুরে বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে থাকার মতো নিজেকে তৈরি ককরতে রিতীমত যুদ্ধ করতে হয় লাবুর। কিভাবে লাবু এই যুদ্ধে জয়ী হবে???? সেতো শহুরে সভ্যতার সাথে পরিচিত নয়। তাহলে কি হেরে যাবে লাবু?????? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- লাবুর বাবা লাবুকে চা বাগান দেখাতে নিয়ে যায়। সেখানে একশ্রেণীর মানুষ অনবরত দরিদ্র শ্রণীকে শোষণ করেই যাচ্ছে। সমাজের এসব অসংঙ্গতীপূর্ণ দিক লেখকের লেখনীতে সুস্পষ্ট। আমি লাবুর নাম দিয়েছি বাংলার টারজেন।

Nice

It's an amazing story.I want to buy it.

জাফর ইকবাল স্যারের বহু বই পড়েছি । ভালও লেগেছে বেশির ভাগ । "লাবু এল শহরে" জাফর ইকবাল স্যারের আরেকটি কিশোর উপন্যাস । আসলে সত্যি কথা বলতে কি,জাফর ইকবাল স্যারের অন্যান্য উপন্যাস পড়ে যতটা ভাল লেগেছিল বা মুগ্ধতার যতটা বাড়াবাড়ি ছিল এ উপন্যাসটিতে ততটা নয় । এখানে কেমন জানি একটা গতানুগতিক ধারা দৃশ্যমান যা একেবার জাফর ইকবাল স্যারের চিরায়ত পরিবর্তনশীল লেখনির সাথে মিলে যায়না । অর্থাত্‍ স্যারের প্রত্যেকটা উপন্যাসে লেখনির ভেতর যতটা মাধুর্য থাকে এ উপন্যাসে তা হয়তো থাকলেও তার খুব একটা রস আমি খুঁজে পাইনি । এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত মতামত । এতে কারোও প্রভাবিত হবার কিছু নেই । বইয়ের কথায় আসা যাক । লাবু প্রকৃতি,খোলামেলা বন-বাঁদাড়,পাহাড়-পর্বত এ বাস করা দুরন্ত ছেলে । প্রকৃতির সাথে যেন তার পরম সখ্যতা । এই লাবু তার এক আত্মীয়ের সাথে একদিন চলে আসে শহরে । কিন্তু যে ছেলে প্রকৃতির বিস্তীর্ণতার মাঝে মানুষ তার কি আর শহরের ধরাবাধা সংকীর্ণতা ভাল লাগে ! শহরে এসে সে শুরু করে নানারকম অদ্ভূত আচরণ । কোন সময় সে গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে আবার কোন সময় মজার কোন কান্ড করে বসে । আর এসব বিস্ময়ের জন্ম দেয় তার নতুন স্কুলের সহপাঠী আর শিক্ষকদের মাঝে । এভাবেই এগিয়ে চলে উপন্যাসের কাহিনী ।

“লাবু এল শহরে” স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কিশোর উপন্যাসটি অন্যসকল কিশোর উপন্যাসের মত এতটা মজাদায়ক মনে না হলেও স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবাল একটি সাধারন কাহিনীকে নিয়ে গেছে অসাধারনের দিকে।তিনি এই উপন্যাসে মানুষের বিবেকের জাগ্রতবোধেরও ইংগিত দিয়েছেন।এই উপন্যাসের মুল নায়ক লাবু যিনি গ্রাম এ নন বড় হয়েছেন একটি জঙ্গলে।লাবুর মা মারা যাওয়ার পর থেকে তার বাবা তাকে নিয়ে আসেন জংলে।সেখানে জংলী পরিবেশ,পশুপাখিদের সাথে মিশেই বড় হতে থাকে লাবু।এক সময় লাবু তার বাবাকে নিয়ে এক আত্মীয়ের সাথে জঙ্গল ছেড়ে শহরে আসার পর নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাপিয়ে নিতে এবং নতুন মানুষদের সাথে মিশতে যে বিভিন্ন কাণ্ড কারখানায় লিপ্ত হন লেখক সুন্দর করে লিখেছে।লেখক লাবুর সামাজিক হওয়াটাতেই যদি শেষ করতেন তাহলে হয়তো সাধামাটা উপন্যাস হত এটি কিন্তু এক রিকশাওয়ালার চরিত্র এই বইয়ে তুলে ধরেছেন যিনি ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা।সেই রিকশাওয়ালার কাছ থেকে শুনা যায় মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনা।একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি আজ রিক্সাচালক ভাবতেই নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগছে।আসলে আমাদের দেশের এইসব বীরদের আমরা সঠিক মুল্যায়ন করতে পারিনি।এই বইয়ে কল্পকথা হলেও আসলে আমাদের দেশে এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে যাদের বর্তমান অবস্থা অনেক করুন লেখক তা এই বইয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।পরবর্তিতে লাবুকে দেখা যায় বাবার সাথে সিলেটের চা বাগানে যেতে। সেই চা বাগানের প্রেক্ষাপটে লেখক তুলে ধরেছেন চা শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র। শোষক শ্রেণির মুখোশও খুলে দিয়েছেন তিনি। তুলে ধরেছেন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। আর এই সবই লেখক করেছেন লাবু চরিত্রের মাধ্যমে।বইটি শুরুতে যতটা হাসি ঠাট্টার মনে হচ্ছিল শেষটা ততটায় সিরিয়াস মনে হয়েছে।কিশোরদের সাথে বড়দের ও চিন্তার খোরাক হতে পারে এই বইটি।বইটি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে আশাকরি যারা এই বই্টি পড়বেন তাদের কাছেও অনেক ভাল লাগবে বইটি।

মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সাম্প্রতিক সময়ে রচিত উপন্যাসগুলোর যে প্রধান বৈশিষ্ট্য তা হল, সেগুলোতে তাঁরই ইতিপূর্বে লেখা বিভিন্ন উপন্যাসের ছোটখাট অনেক বিষয়বস্তুর বেশ ভালো রকমের ছায়া বা প্রভাব দেখা যায়। 'লাবু এলো শহরে' উপন্যাসের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। তারপরও উপন্যাসটি আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। কারণ অতি চেনা ফরমুলায় লেখা এই উপন্যাসেও কিছু নতুনত্ব আছে, নভেলটি আছে, ইমোশন আছে, মানবিকতা আছে, অ্যাডভেঞ্চার আছে আবার সমাজ সচেতনতার বিষয়ও আছে। 'লাবু এলো শহরে' নাম থেকেই বোঝা যায় লাবু এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র যার গ্রাম থেকে শহরে এসে শহুরে জীবনের সাথে মানিয়ে নেবার লড়াইয়ের কাহিনী এটা। তবে নাম থেকে করা অনুমানের সাথে বাস্তবের কাহিনীর কিছুটা ভিন্নতা আছে। লাবুই এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র তবে সে গ্রামে নয়, বাস করত জঙ্গলে! ছোটবেলায় তার মা মারা যাবার পর তার বাবা তকে নিয়ে চলে আসেন এক জঙ্গলে এবং সেখানেই লাবুকে তিনি বস করতে শুরু করেন। জনমানুষের চিহ্নবিহীন সেই জঙ্গলে লাবু নিজের মত করে বড় হতে থাকে বন্য পরিবেশে, বন্য পশুপাখির সাথে মিলেমিশে। ঠিক যেন টারজানের মত! কিন্তু এক সময় লাবুর ঝুমু খালা আসে আর জোর করে এবং কিছুটা ছলনার (!) আশ্রয় নিয়ে লাবু আর তার বাবাকে নিয়ে যান ঢাকা শহরে। সেখানে শহুরে জনজীবনের সাথে মানিয়ে নেবার ও নতুন বন্ধুদের সাথে মিশে 'সামাজিক' হবার সংগ্রামে নামতে হয় লাবুকে। কিভাবে লাবু এই সংগ্রামে জয়ী হয় কিংবা আদৌ জয়ী হয় কিনা, তা জানতে পড়তে হবে এই বইটি। এবং তার বর্ণনা স্যার যেভাবে তুলে ধরেছেন তা এক কথায় অসাধারণ। প্রতিটা দৃশ্য আর প্রতিটা ঘটনায় হিউমারের ছড়াছড়ি। তবে লাবুর শহুরে জীবনে মানিয়ে নেয়া বা সামাজিক হয়ে ওঠাতেই কিন্তু এই বইয়ের কাহিনীর পরিসমাপ্তি নয়। এরপর নির্দিষ্ট কোন ছকে স্যার কাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যান নি। তবে নিয়ে এসেছেন এক মুক্তিযোদ্ধার কথা যিনি বর্তমানে ঢাকা শহরের এক সামান্য রিকশাওয়ালা। সেই মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনিয়েছেন তাঁরই মুখ থেকে। সেই গল্প সত্যিই অনবদ্য। আর সেই মুক্তিযোদ্ধার স্বাধীন দেশে বর্তমান অবস্থানের যে চিত্র স্যার দেখিয়েছেন, তা পড়ার পর যে কারোই চোখ ভিজে উঠতে বাধ্য। কিন্তু তা একেবারেই কোন কল্পকথা নয়। প্রকৃত বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন স্যার। পরবর্তিতে লাবুকে দেখা যায় বাবার সাথে সিলেটের চা বাগানে যেতে। সেই চা বাগানের প্রেক্ষাপটে স্যার তুলে ধরেছেন চা শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র। শোষক শ্রেণির মুখোশও খুলে দিয়েছেন তিনি। তুলে ধরেছেন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। আর এই সবই স্যার করেছেন লাবু চরিত্রের মাধ্যমে। আর তাই শুরুতে লাবু চরিত্রের ছেলেটার যে কাহিনীকে নিছকই হাসিঠাট্টার বিষয় মনে হচ্ছিল, ক্রমেই তা সিরিয়াস হয়ে ওঠে। এবং শেষ পর্যন্ত 'লাবু এলো শহরে' পরিণত হয় দারুণ এক মর্মস্পর্শী কিশোর উপন্যাসে। কিন্তু এর শেষ ভাগের সিরিয়াস বিষয়বস্তু যে শুধু কিশোরদের মনেই সচেতন্র বীজ বপন করবে, তা না। বড়দেরও বিবেকবোধ জাগ্রত করবে। সেজন্য ছোট বড় সবার জন্যই 'লাবু এলো শহরে' হতে পারে আদর্শ একটি উপন্যাস।