Our User Product Reviews

চমৎকার ?

বইটি উপহার পেয়েছিলাম। বইটি ভালোই লেগেছে। এটার থেকে আমরা শিখতে পারি কীভাবে বিলাসিতা জীবনযাপন থেকে সাধারণ জীবনযাপন করতে হয়।সকল পরিস্থিতিতেই যেন আমরা আমাদের জীবনযাত্রী মায়ের পাশে থাকি। তার পাশাপাশি শিখেছি কীভাবে আত্মসম্মান রক্ষা করতে হয় মায়ের। অভারঅল ভালোই ছিল।লেখক এখানে মাতৃস্নেহ ফুটিয়ে তুলেছেন খুব সুন্দরভাবে।কিন্তু শেষ এর সমাপ্তিটা একটু খাপছাড়া লেগেছে।একটা সুন্দর পরিণতি দেখিয়ে শেষ করতে পারতো।কিন্তু এখানে অসমাপ্ত কাহিনি রাখা হয়েছে। কিন্তু কিছু জানার জন্য পড়তে পারেন❤️

রকমারি রিভিউঃ বইঃ কাজলের দিনরাত্রি। লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। প্রকাশনীঃ অনুপম। মূল্যঃ ২০০ টাকা। পৃষ্ঠাঃ ১১১। বড়লোকের ছেলে কাজল। কিন্তু তার জীবনটা পানসে। তার কোনো বন্ধু নেই। হঠাৎ একদিন কাজলের বাবার সাথে সমস্যার কারণে কাজলের মা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলো। কাজলও তার মার সাথে গেলো। শুরু হলো তাদের নতুন জীবন। ভালো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে কাজল এখন সাধারণ বাংলা মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি হলো। এখানে সে নতুন জীবন খুঁজে পেলো। এখানকার বন্ধুদের সাথে সিলেটে চা বাগানে ঘুরতে গিয়ে তারা সবাই কিডন্যাপ হলো কাজলের বড়লোক বাবার থেকে মুক্তিপণের জন্য। এখন কী হবে। জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে।

very good

নামঃ কাজলের দিনরাত্রি। লেখকঃ জাফর ইকবাল। বইটা দ্বারা আমাদের জীবনের অনেক বড় একটা বিষয়কে তোলা ধরা হয়েছে। সেই বিষয়টা হলো বড়লোক পরিবার এবং একটা মধ্যবিও পরিবার আরও বুঝানো হয়েছে যে টাকাই আমাদের জীবনে সবকিছু নয়। আমি গল্পটা কিছু বলে দিই যদি বলা শুনে আপনাদের ভালো লাগে আপনারা পড়বেন। এই বইটা কাজল নামের একটি ছেলেকে নিয়ে তো তার বাবা একজন কোটিপতি। যার কারণে সে ভালো স্কুলে পড়ে, ভালো পোশাক পড়ে ইত্যাদি তখন সে নিজেও জানতো না যে সে কে। হঠাৎ তার বাবা ও মায়ের মধ্যে একটা ঝগড়া সৃষ্টি যা কারণে সে আর তার মা তার বাবাকে ছেড়ে চলে আসে। তখন থেকে শুরু হয় তার নতুন একটা জীবন। তারপর সে ও তার মা সাধারণ ভাবে নিজেদের জীবন গড়তে শুরু করে। তারপর সে একটা সাধারণ স্কুলে ভর্তি হয়। ছোট ছোট ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্কুলে সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠে। আশা করি আপনারা বইটি পড়বেন তাহলে বুঝতে পারবেন।

"জীবনে বেশী টাকা হওয়া কি ভাল না খারাপ"? আমাদের যা থাকা সম্ভব সবই আছে, কাজেই সবকিছু নিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকতে কেমন লাগে সেটা আমরা জানি। কিন্তু হঠাৎ করে সব কিছু হারিয়ে গেল, তখন কোনো কিছু ছাড়া বেঁচে থাকতে আমাদের কেমন লাগবে, ভেবে দেখেছেন কী? বইটি পড়লে এই প্রশ্নগুলো মাথায় আসে। যাই হোক সবকিছু মিলিয়ে চমৎকার লেগেছে। এটি একটি কিশোর উপন্যাস। বই ছোটো হলেও জাফর ইকবালের লেখার ধরন আপনাকে কাছে টানবে।

উঠতি বয়সের উচ্চ বিত্ত ছেলেদের মনোবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা হয়েছে বইটিতে। রোমাঞ্চকর এক অভিযানে শেষ হয় গল্পের মুল থিম। রাতুল একটা জায়গা থেকে বের হয়ে এসে তার থেকে সম্মানজনক নিঁচু জায়্গায়ও যে নিজের সম্মান বজায় রাখা যায়, গল্লটি থেকে তার সর্বোচ্চ উপলব্ধি হবে। রাতুল একজন কিশোর হিসেবে যা করিয়ে দেখিয়েছে তা যেকোনো বয়সীর ছেলে-মেয়েকে সাহস যোগাবে। অবশ্যভাবী উপহার স্বরুপ প্রদানযোগ্য।

বইটি যদি ও শিশু-কিশোর উপন্যাস তবুও বইটি পড়তে অসাধারণ লেগেছে। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল একজন খুবই গুণী লেখক। 'কাজলের দিন রাত্রী ' বইটি জাফর ইকবাল স্যার এর অসাধারণ বই গুলোর মধ্যে একটি। বইটির প্রধান চরিত্র কাজল। কাজল অনেক ধনী পরিবারের ছেলে। কিন্তু তাদের পারিবারিক সুখ নেই বললেই চলে। বাবার সাথে কাজলের সম্পর্ক ঠিকঠাক হলেও। মায়ের কাজ এর সম্পর্ক একদম আলাদা। এরই মধ্যে কাজলের বাবা-মায়ের সম্পর্ক অবনতি ঘটলে কাজলের মা কাজলকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। মা আর কাজল খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ কাজলের ২০ লক্ষ টাকার দরকার হয়। কিন্তু কাজল টাকা যোগাড় করবে? এই নিয়েই বইটি লেখা। কাজল চরিত্র এর জন্য খুব মায়া হয়। কোন পরিবার ভাঙলে সেই পরিবারের ছেলে- মেয়েরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া কাজল আর তার মায়ের সম্পর্ক খুবই মধুর। যা পড়তে ভীষণ ভাল লাগে। এক সময় কাজলের বাবার প্রতি ঘৃণা জন্মায়। জাফর ইকবাল স্যারের লেখনীর জাদু থেকে এই বইটিও বাদ যায় নি। সুব অসাধারণ একটা বই। বইটি পড়ে আনন্দ আর বেদনা দুটোর স্বাদই পাওয়া যাবে। মাত্র ১৫৪ টাকার একটি অসাধারণ বই।

A nice book.

#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ ৩০ কাজলের দিনরাত্রি লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল মুল্য: ১৪০৳ পৃষ্ঠা: ১১০ ধরণ: কিশোর উপন্যাস প্রকাশন: অনুপম প্রকাশনী কাহিনী সংক্ষেপেঃ “আমি আমার আব্বু আম্মুর প্রথম বাচ্চা। এর আগে তারা কখনো ছোট বাচ্চা দেখে নাই। আমার যখন জন্ম হল তারা বুঝতে পারিছিল না আমি ছেলে না মেয়ে-সেটা বোঝার জন্যে কোথায় দেখতে হয় জানতো না-কেউ বলেও দেয় নাই।” খালেদের মুখ হা হয়ে গেল, সেইভাবে বলল, “তুমি বলতে চাইছ-” “হ্যাঁ। আব্বু আর আম্মু মনে করেছে আমি মেয়ে, তাই মেয়ের নাম দিয়ে বসে থেকেছে।” খালেদ আবার বলল, “তুমি বলতে চাইছ-” আমি মুখ গম্ভীর করে বললাম, “হ্যা। আমার বয়স যখন চার তখন প্রথম ধরা পড়লো যে আমি ছেলে। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে।” তের বছরের এক কিশোর - কাজল । তার জীবন বড় বিচিত্র । এই বয়সেই তাকে দেখতে হয় জীবনের নানারুপ রুঢ় বাস্তবতা । কাজলের বাবা আলতাফ নবী । কোটিপতি ব্যবসায়ী । কয়েক কোটি টাকা এদিক সেদিক হয়ে গেলেও তেমন কোন ক্ষতিই হবেনা এরকম বিশাল ব্যবসায়ী । কাজলের সাথে তার বাবার সম্পর্কের একটা দূরত্ব আছে । সেটাকে শুধু একটা ভদ্রতার সম্পর্ক বলা যায় ; যা না হলেই নয় । আর মায়ের সাথে কাজলের সম্পর্কটা ঠিক তার উল্টা । কাজলের পা থেকে মাথা পর্যন্ত যেন মুখস্ত করে রেখেছেন কাজলের মা ; কোন একটা কিছু বলার আগেই স্নেহময়ী জননীর মত তা বুঝে ফেলেন । কাজলের মা শায়লার সাথে তার বাবার নানারকম দাম্পত্য কলহ । একসময় কাজলের মা কাজলের বাবাকে ছেড়ে চলে যায় । কাজল মা কে ছাড়া থাকতে পারবেনা,তাই কাজলও চলে যায় তার মায়ের সাথে । জীবন যেন হঠাত্ করেই পাল্টে গেল কাজলের । একসময়ের দামী স্কুল,কম্পিউটার,দামী গাড়ী,দামী দামী সব জিনিসপত্র,বিলাসবহুল গাড়ী এসব ছেড়ে মায়ের সাথে কাজলকে দাঁড়াতে হয় স্রেফ একটা সাধারণ জীবনের প্লাটফর্মে এসে । তার নতুন স্কুল,নতুন বন্ধু - পুরো নতুন একটা জীবন,নতুনভাবে ছুটে চলা । নতুন বন্ধুরা কাজলের মত এক কোটিপতির ছেলেকে দেখে বিস্ময়ে চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকিয়ে থাকে,তাদের চোখ থেকে সেই বিস্ময় যেন আর সরেনা। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ জাফর ইকবাল স্যারের আরেকটা মাস্টারপিস। শিল্পপতি স্বামীর প্রতারণা সহ্য করতে না পেরে রাতের বেলা এক কাপড়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসে কাজলের মা। কোন কিছু চিন্তা না করেই হুট করে মায়ের সাথে সাথে কাজলও বেরিয়ে আসে। তারপর বিত্তবান থেকে হঠাৎ করে গরিব হয়ে যাওয়া মা-ছেলের বেঁচে থাকার সংগ্রাম শুরু হয়। অসাধারণ একটা বই।

#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাসঃ কাজলের দিনরাত্রি লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরনঃশিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনীঃ অনুপম প্রকাশনী মুল্যঃ ১৭৫ টাকা মুল চরিত্র "কাজল" দুর থেকে দেখলে মনে হয় নদীর ওপারটা কতো সুন্দর,,কিন্তু গল্পগুলো আসলে লেখা থাকে ভিন্ন প্লটে। মুখটা হাসিখুসি থাকলেও চাপা পড়ে থাকে কিছু অভিমান। ছোটবেলা থেকে কখনও অভাবে মানুষ হয়নি এরকম।কোন বড়লোকের ঘরের ছেলে যদি হঠাৎ করে অভাবের সম্মুখিন হয়,,, তার পক্ষে কি তখন সম্ভব হয় পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো?? নামকরা স্কুলে পড়াশোনা করে,,, উচ্চবিত্ত বন্ধুদের সাথে থেকেও অহংকারি ভাব থাকবেনা এরকম মানুষ পৃথিবীতে থাকলে কতোই না ভালো হয়,, তাইনা?? কিন্তু এরকম স্বভাবের অধিকারী কয়জন থাকে!!! বাবার সাথে মেয়ের সম্পর্কটা যেমন মধুর,,, মায়ের সাথে ছেলের সম্পর্কটাও মধুর হতে পারে,, কিন্তু সেই মধুর সম্পর্কের খুটিনাটি জানার জন্য আর কিছু না হোক আপনাকে পড়তে হবে,, আর ভ্রমন মানেই তো নতুন নতুন অভিজ্ঞতা,,, সুন্দর এক আ্যাডভেন্চারের বর্ননা আছে বইটিতে,, পাহাড়ের দেশ সিলেট কে নিয়ে,,,, আর টাকা পয়সায় কি মানুষের জীবনে সব,,এটা কি পারে সংসার নামক জায়গাতে শান্তি আনতে?? প্রশ্নের উত্তরটা যদি না হয়,, তাহলে কাজলের হঠাৎ করেই কেনো টাকার প্রয়োজন হয়েছিল?? সেটাও আবার ২০ লাখ!!!! কেন বা কি কারনে এতোগুলো প্রশ্নের সম্মুখিন করছি পাঠককে,, জানতে চাইলে পড়ে শেষ করেন কাজলের দিনরাত্রি। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো,একটা জিদ,একটা চ্যালেঞ্জ, আর একটু আত্মসম্মানবোধ মানুষ কে যোগায় বেঁচে থাকার খোরাক।। নারী হয়ে বেচে থাকার জন্য যে টা খুব দরকার।। ভালো লাগবে সবার।।। :)

কাজল তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তার বাবা আলতাফ নবী এবং মা শায়লা। কাজলের বাবা আলতাফ নবী দেশের সবচেয়ে বড়লোকদের একজন। অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তার বাবার। আলতাফ সিমেন্ট, আলতাফ গার্মেন্টস- কি নেই তার বাবার! অনেক টাকা-পয়সার মালিক আলতাফ নবী। টাকা থাকলেও কাজলের পরিবার সুখী পরিবারের মধ্যে পরে না। কারণ তাদের সুখী পরিবার না। কাজলের সাথে তার বাবার সম্পর্ক ফরমাল। বাবার সাথে কোন দুষ্টামি করার কথা চিন্তাই করতে পারে না কাজল। আর মায়ের সাথে তার ব্যতিক্রম। কাজলের ভাষায়, সে তার মায়ের আপাদমস্তক পড়তে পারে তেমনি মাও তার নাড়ীনক্ষত্র জানে। বেশ ভালোই কাটছিলো কাজলের জীবন। বড়লোক বাবার একমাত্র ছেলে। প্রচন্ড বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলো কাজল। কিন্তু এই চলার পথে হটাৎ বিঘ্ন সৃষ্টি হলো। বাবা-মায়ের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে দিনকেদিন। দীর্ঘ ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন পিছনে ফেলে কাজলের মা শায়লা একদিন রাতে বের হয়ে পড়ে। কাজলও মায়ের সাথে বেরিয়ে পড়ে। শুরু হয় এক অন্য জীবন। কাজলের বাবা কিছুদিন পর এসে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে যায়, তিনমাসের মাথায় কাজলের মা এবং কাজলকে তার কাছে যেতে হবে। কিন্তু তিনমাস না ছয়মাস পার হয়ে যায় তবুও কাজল তার মায়ের সাথে আলাদাভাবে সুখে, শান্তিতে থাকে। কাজলও তার মায়ের মতো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়, তার বাবাকে দেখিয়ে দিবে অল্প টাকায়ও মানুষ বাচঁতে পারে। কিন্তু হটাৎ কাজলের বিশ লাখ টাকার দরকার হয়। এই টাকার উপরই নির্ভর তার জীবন-মরণ। কিন্তু কেন?

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই: কাজলের দিনরাত্রি লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল মুল্য: 140 টাকা ধরণ: শিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনা: অনুপম প্রকাশনী যাদের অনেক অনেক টাকা থাকে, তারা সাধারণত সুখী হয়, কিন্তু সত্যি কী সবাই কী সুখী? দূর থেকে দেখলে হয়তো আনন্দ আর আনন্দ চোখে পড়ে, কিন্তু হয়তো তাদের অভিমান, শোক, সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। এই প্লটের উপরই এই উপন্যাসটি লেখা হয়েছে। রিভিউ: কাজল এক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। স্বাভাবিক ভাবে তার কৈশোর জীবন আনন্দের সাথে কাটছিল। কিন্তু সে আনন্দঘন সময়ে এসে হয় ছন্দপতন। তার বাবার সাথে তার মায়ের সম্পর্কের অবনতি ঘটে, কাজল তার মায়ের সাথে তার বাবাকে ছেড়ে চলে যায়। ফলে কাজল বড়লোকি আয়েশ ছেড়ে হঠাৎ ই সে এসে হাজির হয় এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবেশে। ইংলিশ থেকে বাংলা মিডিয়ামের স্কুল, মধ্যবিত্ত বন্ধু, এসবকিছু নিয়েই তার সময় ভালোভাবে কেটে যাচ্ছিল। কাজল তার আব্বুকে দেখাতে চেয়েছিল যে টাকা ছাড়াও মানুষ ভালোভাবে চলতে পারে, তা সফল হয়ে গিয়েছিল প্রায়। কিন্তু হঠাৎই তা ভেস্তে যাবার উপক্রম হয়, বেচে থাকার জন্য কাজলের প্রয়োজন পরে বিশ লক্ষ টাকা। কি সেই প্রয়োজন? কিভাবে ম্যানেজ করবে সে? জানার জন্য পড়ুন এই উপন্যাস। পাঠপ্রতিক্রিয়া: কাজল নামক কিশোরকে কেন্দ্র করেই এ উপন্যাসটি। কিশোর উপন্যাসের প্রায় সকল গুণ এতে বিদ্যমান। আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমার হিসেবে এর রেটিং ৪/৫

মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি অসাধারণ কিশোর উপন্যাস । কাজলের দিনরাত্রি । তের বছরের এক কিশোর - কাজল । তার জীবন বড় বিচিত্র । এই বয়সেই তাকে দেখতে হয় জীবনের নানারুপ রুঢ় বাস্তবতা । কাজলের বাবা আলতাফ নবী । কোটিপতি ব্যবসায়ী । কয়েক কোটি টাকা এদিক সেদিক হয়ে গেলেও তেমন কোন ক্ষতিই হবেনা এরকম বিশাল ব্যবসায়ী । কাজলের সাথে তার বাবার সম্পর্কের একটা দূরত্ব আছে । সেটাকে শুধু একটা ভদ্রতার সম্পর্ক বলা যায় ; যা না হলেই নয় । আর মায়ের সাথে কাজলের সম্পর্কটা ঠিক তার উল্টা । কাজলের পা থেকে মাথা পর্যন্ত যেন মুখস্ত করে রেখেছেন কাজলের মা ; কোন একটা কিছু বলার আগেই স্নেহময়ী জননীর মত তা বুঝে ফেলেন । কাজলের মা শায়লার সাথে তার বাবার নানারকম দাম্পত্য কলহ । একসময় কাজলের মা কাজলের বাবাকে ছেড়ে চলে যায় । কাজল মা কে ছাড়া থাকতে পারবেনা,তাই কাজলও চলে যায় তার মায়ের সাথে । জীবন যেন হঠাত্ করেই পাল্টে গেল কাজলের । একসময়ের দামী স্কুল,কম্পিউটার,দামী গাড়ী,দামী দামী সব জিনিসপত্র,বিলাসবহুল গাড়ী এসব ছেড়ে মায়ের সাথে কাজলকে দাঁড়াতে হয় স্রেফ একটা সাধারণ জীবনের প্লাটফর্মে এসে । তার নতুন স্কুল,নতুন বন্ধু - পুরো নতুন একটা জীবন,নতুনভাবে ছুটে চলা । নতুন বন্ধুরা কাজলের মত এক কোটিপতির ছেলেকে দেখে বিস্ময়ে চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকিয়ে থাকে,তাদের চোখ থেকে সেই বিস্ময় যেন আর সরেনা । উপন্যাসের শেষ দিকে আছে কয়েকজন কিডন্যাপারের সাথে কাজল ও তার বন্ধুদের একটা অ্যাডভেঞ্চার । এভাবেই কাজল নামে এক কিশোরের জীবনের রংবদল,জীবনের পদে পদে নানা ঘাত-প্রতিঘাত আর হাজারো বৈচিত্র্যতার ছবি যেন ভাসে কিশোর উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ।

***বুক রিভিউ*** ***বইয়ের নাম --- কাজলের দিনরাত্রি*** ***লেখক --- মুহম্মদ জাফর ইকবাল*** "কাজলের দিনরাত্রি" মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত একটি বিখ্যাত কিশোর উপন্যাস। উপন্যাসটির ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয় কাজলের মা-বাবার মধ্যকার দাম্পত্য কলহ থেকে যা পরবর্তীতে আচমকাই প্রাচুর্যে বড় হওয়া কাজলের জীবনটাকেই পাল্টে দেয় সম্পূর্ণরূপে। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ী আলতাফ নবী। তার একমাত্র পুত্র কাজল; বিশাল বিত্তবৈভবে যার জীবন কাটে , মায়ের সাথে যে ছেলেটির দিনরাত খুনসুটি চলছে - একদিন হঠাৎ করেই সে আবিষ্কার করে জীবন তাকে এক কঠিন বাস্তবতায় এনে দাঁড় করিয়েছে।তার সামনে দুটি পথ ; হয় অর্থের প্রাচুর্য কে বরণ করতে হবে নতুবা মায়ের সাথে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ কে গ্রহণ করতে হবে। কাজল কিন্তু অর্থের প্রাচুর্যকে বরণ করেনি। সমাজের একটি উচ্চ আসন ছেড়ে মায়ের হাত ধরে খুশিমনেই বেরিয়ে এসেছে নতুন জীবনের খোঁজে। এই জীবনে নেই দামি বাড়ি-গাড়ি , নেই কম্পিউটার-টিভি- ফ্রিজ ,নেই মানুষের কৃত্রিম ভালোবাসা। এ জীবনে আছে মধ্যবিত্ত মায়ের ছেলে হয়ে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার, পৃথিবীকে অন্যভাবে দেখার,জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে কে অন্যভাবে আবিষ্কার করার এক অনাবিল আনন্দ!!! ছোট্টু দুই রুমে শুরু হয় কাজল আর তার মায়ের নিতান্তই মধ্যবিত্ত সংসার। একটি সাধারণ বাংলা মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানকার ছেলেমেয়েদের অকৃত্রিম বন্ধুত্বে কখনও কাজল হয়েছে বিস্মিত কখনো বা মুগ্ধ, কখনো হয়েছে আবেগে আপ্লুত। "আমি তপু" উপন্যাসে তপুর জীবনে আমরা যেমন প্রিয়াঙ্কাকে দেখতে পাই,এই উপন্যাসটিতেও কাজলের জীবনে আছে তেমনি তৃণা। কাজল - তৃণার মধ্যকার খুনসুটি,বন্ধুত্ব ,ভালোবাসা কিশোর মনে এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ তৈরি করে!!! বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে চমৎকার এক অ্যাডভেঞ্চারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উপন্যাসটি। * কাজলের মায়ের চরিত্রে লেখক এদেশের আর্থিকভাবে পরনির্ভরশীল নারীদের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।সমাজের অন্য সবাই যেখানে বিত্ত-বৈভবের মোহে নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে দিনের পর দিন নির্মম মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে প্রস্তুত,সেখানে কাজলের আম্মু সব কিছু ছেড়ে পুত্র কাজলকে নিয়ে স্বাধীনভাবে জীবন শুরু করতে দ্বিতীয়বার ভাবেন নি। *** ব্যাক্তিগত মতামত*** উপন্যাসটি যখন পড়ি,আমি তখন সদ্য কিশোরী। ওই বয়সে অসম্ভব ভালো লেগেছিল বইটি। আজ অনেক দিন পর পরে আবার নতুন করে ভালো লাগলো। **ব্যাক্তিগত রেটিং পাঁচ **প্রিয় চরিত্র - কাজল ** বিশেষ দ্রষ্টব্য কিশোর-কিশোরী যারা বই পড়তে চায় না,,তাদের জন্য স্টার্টিং হিসেবে বইটি বেশ ভালো হবে।

দেশের খ্যাতনামা বড়লোক আলতাফ নবী আর তার স্ত্রী শায়লার একমাত্র পুত্র কাজল, ভাল নাম ফাওয়াজ নবী। যদিও তার ভালো নামটা নিয়ে সে খুশি নয়। কাজল একটা বড় স্কুলে পড়ত যেখানে শুধু বিরাট বড়লোকের ছেলেরাই পড়ে, আর দামি গাড়িতে যাওয়া আসা করত। একদিন তার বাবার এক কুকর্মের কারণে তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়, আর কাজল তার মায়ের পক্ষ নিয়ে মায়ের সাথে বাড়ি-গাড়ি, ঐশ্বর্য সব ছেড়ে বেরিয়ে আসে। শুরু হয় তার আর তার মায়ের অন্য রকম এক জীবন। তার মা ছোট্ট একটা বাসা ভাড়া করে, আর একটা চাকরি নেয়। কাজল ভর্তি হয় নতুন একটি স্কুলে। তার অনেকগুলো নতুন বন্ধু হয়, সত্যিকারের বন্ধু। কিন্তু ক্লাস ক্যাপ্টেনকে কাজল ঠিক পছন্দ করল না। একদিন কাজলের নতুন স্কুলে একটি নাটকের আয়োজন করা হল। আর ঘটনাক্রমে এই নাটকের মাধ্যমে পুরো স্কুলে হিরো হয়ে যায় কাজল। এরপর কাজলসহ কিছু বন্ধুরা মিলে খালেদের বাবা - মায়ের সাথে চা বাগানে বেড়াতে যায়। আর সেখানে কাজলরা সম্মুখীন হয় এক দারুণ অ্যাডভেঞ্চারের। এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক দারুণ ঘটনা।

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতই: কাজলের দিনরাত্রি লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল মুল্য: ১৪০৳ পৃষ্ঠা: ১১০ ধরণ: কিশোর উপন্যাস প্রকাশন: অনুপম প্রকাশনী কাহিনী : কাজল বড়লোক বাবার এক মাত্র ছেলে, আলতাফ সিমেন্ট কিংবা আলতাফ গার্মেন্টস সহ নানা ইন্ডাস্ট্রি আছে তার বাবার। বাবা আলতাফ নবী আর মা শায়লা। বাবার সাথে ফরমাল সম্পর্ক, মা এর সাথে অন্যপ্রকার। কাজলের ভাষাতে মা কাজল কে আপাদমস্তক মুখস্থ করে ফেলেছেন। বড়লোক মা বাবার ছেলে নিশ্চয় কমদামি স্কুল কিংবা জীবন যাপন খুব সাধারণ হবেনা?? কাজলেরও তাই। কিন্তু বাবা মাএর সম্পর্কের টানাপড়েনে কাজল মা এর সাথে প্রাচুর্য ছেড়ে নেমে আসে। প্রথমে গিয়ে ওঠে মা এর বান্ধবী মাধুরীর বাসাতে। ধীরে ধীরে মা আর ছেলের নতুন সংসার শুরু হয়। ঘটনাক্রমে একদিন কাজলের প্রয়োজন পড়ে ২০লক্ষ টাকার। যে বাবাকে ছেড়ে মায়ের কাছে এসে আছে খুব সাধারণ জীবনে অভ্যস্ত হচ্ছে। সে কোথায় পাবে এত টাকা?? বাবার কাছে হাত পাতবে?? পাঠ_প্রতিক্রিয়া : বইটা বেশ ভালো লাগার। মা ছেলের খুঁটিনাটি খুব ভাল লেগেছে। স্যার এর অন্যান্য অনেক গল্পের মত কেন্দ্রীয় চরিত্রের বাবা মায়ের মধ্যে টানাপড়েন আছে। তবে এরকম ঘটনা রেয়ার কিন্তু না।তবে বইটা বোধহয় খুব তড়িঘড়ি শেষ হয়ে গেছে। মনে হয়েছিল পড়তে গিয়ে বোধহয় পরের পেজ আমার নাই। যায় হোক আমার একটা প্রশ্ন, কাজলের মত ধনীর দুলালদের কে একটানে মাটিতে নামালে কি তারা আদৌ কাজলের মত মানিয়ে নিতে পারবে?? কাজলের নাম রাখার গল্প টা সুন্দর, মজার। রেটিং ৫/৫ দেব। আর স্যার এর বই গুলো তে বন্ধু এবং বন্ধুত জিনিস টা আমার খুব প্রিয়। রকমারি: https://www.rokomari.com/book/7680/কাজলের-দিনরাত্রি