User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
রেহানা সুলতানার ব্যস্ততা দিয়েই নারী দিবসের গল্পের শুরু। ‘নারীকেন্দ্র’ নামে একটি সংগঠনের দায়িত্বে আছেন তিনি। ৮ মার্চ বিশ্বের সব নারীবাদি সংগঠনের মত তারাও আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। যেখানে রেহানা সুলতানা মূল বক্তা। এরপর রেহানা সুলতানার নানান ব্যস্ততার কথা উঠে আসবে গল্পে। এক পর্যায়ে তার ঘরের ভেতরও আমরা ঢুকে যাবো। যেখানে দেখবো তিনি শাশুড়ির সঙ্গে কেমন আচরণ করেন। এছাড়াও নিজের মেয়ের সঙ্গে অদৃশ্য দেয়ালের কথাও জানা যাবে। একজন নারীর অন্য নারীর প্রতি নানান মনোভাবের প্রকাশও ঘটবে গল্পে। তবে গল্পের শেষে অন্য কিছু অপেক্ষা করছে। গল্পের শেষে তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার জলিল তার মেয়ের আত্মহত্যার খবর নিয়ে হাজির হবে রেহানা কিংবা পাঠকের কাছে। আকুতি নিয়ে তার সমস্যার কথা বলবে। তার জন্য মায়া দেখাবে রেহানার মেয়ে টিয়ানা। এছাড়া আমরা কেউই জলিলের মেয়ের জন্য কাঁদবো না। জলিলের মেয়ে রফেজার মতো দিনে কত মেয়ে এ দেশে মরে ভুত হয়। কতো মেয়ে দিনে আত্মহত্যা করে। এতো মেয়ের জন্য মায়ায় জড়ানোর সময় কার আছে? আমাদের যেমন নেই তেমনি নেত্রী রেহানা সুলতানারও নেই। রেহানা যেমন টিয়ানাকে ধমক দিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সঙ্গে আমরাও মরে যাওয়ার গল্প একটি গল্প মনে করেই পরের গল্পে চলে যাই। এ গল্পটির নাম ‘নারী দিবসের ব্যস্ততা’। এবছর একুশে বই মেলায় তানবীরা তালুকদারের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘পাহাড় আর নদীর গল্প’ প্রকাশিত হয়েছে জাগৃতি প্রকাশনী থেকে। প্রতিটি গল্পের প্রধান চরিত্র নারী। নারীদের ঘিরেই তানবীরার জগৎ। তিনি গল্পের ভেতর দিয়ে নারীদের মনে ঘোরাফেরা করেন। বোঝার চেষ্টা করেন নারীর মন। হয়ত তানবীরা নিজেকেই সেখানে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন। ছোট ছোট গল্পের ভেতর এগিয়ে তিনি কখনও পৌছে যান নারীর শৈশবে, কখনও কৈশোরে, কখনও বা পরিণত বয়সে। প্রতিটি বয়সে নারীর মন বদলায়, বদলায় তার শরীরও। এ বদলের মাঝে নারীর ভাবনার জগতে ঘটে রঙের খেলা। যে খেলায় তানবীরাও অংশ নেয়। একুশটি গল্প গ্রন্থিত হয়েছে ‘পাহাড় আর নদীর গল্প’ গ্রন্থে। প্রথম গল্প ‘না বলা গল্প’। মেয়েরা নাকি পুরুষের চোখের ভাষা বোঝে। তবে পুরুষের কখনও মেয়েদের চোখের ভাষা বোঝার ক্ষমতা হয় না। এ বক্তব্য অবশ্য আমার না। শোনা কথা। তবে এ কথা আমি বিশ্বাস করি বটে। এ গল্পের প্রধান চরিত্র নিশি। যার কৈশোর বেলায় এক পুরুষের চোখের দৃষ্টি পড়ে ফেলার অভিজ্ঞতা হয়। যে দৃষ্টিতে কোনে পবিত্রতা ছিল না। ছিল অন্য কোনো ইশারা। সে ইশারা পড়তে নিশির বিন্দুমাত্র সময় লাগেনি। নিশি ভয়ে কুকড়ে ওঠে। তার ভয় শংকা অস্থিরতা সবই তার মাকে বলে। তবে বাঙালি মা বলে কথা। মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে মেয়েকে আরও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেন। যে নিরাপত্তায় হারিয়ে যায় নিশির কৈশোর মন। সঙ্গে হারায় স্বাধীনতা। পরাধীনতার ভেতর তুমুল নিরাপত্তায় নিশির মন জগতে পরিবর্তন ঘটে। এটিই যেন অপবিত্র পুরুষের সঙ্গে কোনো নারীর প্রথম পরিচয়। তানবীরা ঘুরে ফিরে নারীর মনের ভেতরই প্রবেশ করতে চেয়েছেন। বইয়ের ফ্ল্যাপে তিনি দাবি করেছেন এসব গল্প তার শোনা, আবার কোনো কোনোটি তার চোখের সামনে ঘটে গেছে। তার অর্থ জীবন থেকে নেয়া। শেষ গল্পটির নাম দিয়েই বইয়ের নাম। গল্পটির নাম ‘পাহাড় আর নদী গল্প’। এ গল্পের চরিত্র চারজন। রিয়া, অরণ্য, স্বপ্ন এবং সুজন। রিয়া অরণ্যের সুন্দর সাজানো সংসার। যে সংসারে একমাত্র সন্তান স্বপ্ন। চমৎকার বোঝাপড়ার ভেতর সবকিছুই ঠিক মতই চলছিল। হুট করেই রিয়ার মন জুড়ে জায়গা করে নিল সুজন। রিয়ার অবসর সময়ের বন্ধু সুজন ধীরে ধীরে তার মন জয় করে চলল বীরের বেশে। এটি অপরাধ! তবুও মন মানে না বাঁধা। সব বাঁধা ডিঙিয়ে সুজন ব্যস্ত রিয়াকে জয় করতে। কখনও মিষ্টি কথায়, কখনও হাত ধরে এগিয়ে যায় সুজন। হুট করেই একদিন রিয়ার ঠোঁটে দীর্ঘসময় ঠোঁট রেখে দেয় সুজন। এক অন্যরকম ঘোরে রিয়া এক সময় অনুভব করে অরণ্যের সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই। অরণ্যকে সে স্বামী হিসেবে যথেষ্ঠ সম্মান করে। সুতরাং তাকে সবকিছু খুলে বলাই ভালো। অরণ্যকে সবকিছুই বলে রিয়া। অরণ্য অবাক হওয়া ছাড়া কিছু বলার নেই। সুজনকেও বিষয়টি জানায় রিয়া। চোখের সামনে অরণ্যের নীরবতা। অন্যদিকে সুজন এ ঘটনা শুনে রিয়ার সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করছে না। দুপাশে দুটি মানুষের নীরবতা রিয়াকে গ্রাস করে। মনের বাঁধ ভেঙে রিয়া শুধু কুঁকড়ে যাচ্ছে। তার শরীর মন সব যেন সুজনের কাছে সমর্পন। অথচ সে সুজনই নেই। তার কোনো পাত্তা নেই। একসময় অরণ্য তার পাশে এসে দাঁড়ায়। একমাত্র মেয়ের জন্য হলেও সব ভুলে যাওয়ার কথাও হয়। রিয়ার কোনো পথ নেই। সুজন হারিয়ে গেছে। সুজনের উদ্দেশ্য তাহলে কি ছিল? যদিও এর উত্তর পাঠককের তার নিজের মতো করেই ভেবে নিতে হবে। লেখক সে বিষয়ে কিছু বলেনি। হুট করেই দীর্ঘসময় পর রিয়ার ফোনে সুজনের ফোন আসে। রিয়া অনেক চেষ্টা করে নিজেকে আটকে রাখে। কিন্তু নারীর মন নরম। নিজেকে সে আটকে রাখতে পারে না। তারা একবার যাকে মন দেয়, সে মন ফিরিয়ে নিতে পারে না। রিয়া ফোন ধরে বলে, ‘হ্যালো’। গল্প শেষ হয়। তানবীরা তালুকদার গল্প লিখেন। তার গল্পের প্লট সাধারণ। পড়ে হয়ত পাঠক বলবে, এমন তো অহরহ হয়। অহরহ আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে আমরা দেখতে পাই তানবীরার গল্পে। তবে অনেক গল্প খুব ছোট। গল্পের বিস্তার নেই। তবে বেশ কয়েকটি গল্পের বিস্তার চমৎকার। বিশেষ করে ‘নারী দিবসের ব্যস্ততা’ গল্পটি সুন্দর করে বিস্তার করেছে। সাধারণ বাক্যে গল্প বলার প্রবণতা ভালো। পাঠকের সঙ্গে কমিউনিকেট করা যায়। কেন যেন মনে হয়, প্রতিটি গল্পের ভেতর প্রধান চরিত্র একই। তার একটাই পরিচয়। তাকেই লেখক কখনও কৈশোরে নিয়ে যান। কখনও বিবাহিত জীবনে নিয়ে যান। কখনও সে মা, কখনও সে কারও মেয়ে, কখনও সে কারও স্ত্রী। মোদ্যা কথা, নারী মনের অলিগলিতে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তানবীরা। তিনি নিজেও নারী। তিনি জানেন নারীর মন কখন কোন গলিতে যেতে চায়। ঠিক তখনই তানবীর সে গলিতে অবস্থান করেন। মিলিয়ে দেখেন নিজের মনের সঙ্গে। বোঝার চেষ্টা করেন প্রতিটি নারীর জীবনই কি একটি নদীর মতো? যে নদীর স্রোত অচেনা অজানা সব পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে যায়।আর তৈরী হতে থাকে এক একটি উপাখ্যান?
Was this review helpful to you?
or
রেহানা সুলতানার ব্যস্ততা দিয়েই নারী দিবসের গল্পের শুরু। ‘নারীকেন্দ্র’ নামে একটি সংগঠনের দায়িত্বে আছেন তিনি। ৮ মার্চ বিশ্বের সব নারীবাদি সংগঠনের মত তারাও আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। যেখানে রেহানা সুলতানা মূল বক্তা। এরপর রেহানা সুলতানার নানান ব্যস্ততার কথা উঠে আসবে গল্পে। এক পর্যায়ে তার ঘরের ভেতরও আমরা ঢুকে যাবো। যেখানে দেখবো তিনি শাশুড়ির সঙ্গে কেমন আচরণ করেন। এছাড়াও নিজের মেয়ের সঙ্গে অদৃশ্য দেয়ালের কথাও জানা যাবে। একজন নারীর অন্য নারীর প্রতি নানান মনোভাবের প্রকাশও ঘটবে গল্পে। তবে গল্পের শেষে অন্য কিছু অপেক্ষা করছে। গল্পের শেষে তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার জলিল তার মেয়ের আত্মহত্যার খবর নিয়ে হাজির হবে রেহানা কিংবা পাঠকের কাছে। আকুতি নিয়ে তার সমস্যার কথা বলবে। তার জন্য মায়া দেখাবে রেহানার মেয়ে টিয়ানা। এছাড়া আমরা কেউই জলিলের মেয়ের জন্য কাঁদবো না। জলিলের মেয়ে রফেজার মতো দিনে কত মেয়ে এ দেশে মরে ভুত হয়। কতো মেয়ে দিনে আত্মহত্যা করে। এতো মেয়ের জন্য মায়ায় জড়ানোর সময় কার আছে? আমাদের যেমন নেই তেমনি নেত্রী রেহানা সুলতানারও নেই। রেহানা যেমন টিয়ানাকে ধমক দিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সঙ্গে আমরাও মরে যাওয়ার গল্প একটি গল্প মনে করেই পরের গল্পে চলে যাই। এ গল্পটির নাম ‘নারী দিবসের ব্যস্ততা’। এবছর একুশে বই মেলায় তানবীরা তালুকদারের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘পাহাড় আর নদীর গল্প’ প্রকাশিত হয়েছে জাগৃতি প্রকাশনী থেকে। প্রতিটি গল্পের প্রধান চরিত্র নারী। নারীদের ঘিরেই তানবীরার জগৎ। তিনি গল্পের ভেতর দিয়ে নারীদের মনে ঘোরাফেরা করেন। বোঝার চেষ্টা করেন নারীর মন। হয়ত তানবীরা নিজেকেই সেখানে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন। ছোট ছোট গল্পের ভেতর এগিয়ে তিনি কখনও পৌছে যান নারীর শৈশবে, কখনও কৈশোরে, কখনও বা পরিণত বয়সে। প্রতিটি বয়সে নারীর মন বদলায়, বদলায় তার শরীরও। এ বদলের মাঝে নারীর ভাবনার জগতে ঘটে রঙের খেলা। যে খেলায় তানবীরাও অংশ নেয়। একুশটি গল্প গ্রন্থিত হয়েছে ‘পাহাড় আর নদীর গল্প’ গ্রন্থে। প্রথম গল্প ‘না বলা গল্প’। মেয়েরা নাকি পুরুষের চোখের ভাষা বোঝে। তবে পুরুষের কখনও মেয়েদের চোখের ভাষা বোঝার ক্ষমতা হয় না। এ বক্তব্য অবশ্য আমার না। শোনা কথা। তবে এ কথা আমি বিশ্বাস করি বটে। এ গল্পের প্রধান চরিত্র নিশি। যার কৈশোর বেলায় এক পুরুষের চোখের দৃষ্টি পড়ে ফেলার অভিজ্ঞতা হয়। যে দৃষ্টিতে কোনে পবিত্রতা ছিল না। ছিল অন্য কোনো ইশারা। সে ইশারা পড়তে নিশির বিন্দুমাত্র সময় লাগেনি। নিশি ভয়ে কুকড়ে ওঠে। তার ভয় শংকা অস্থিরতা সবই তার মাকে বলে। তবে বাঙালি মা বলে কথা। মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে মেয়েকে আরও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেন। যে নিরাপত্তায় হারিয়ে যায় নিশির কৈশোর মন। সঙ্গে হারায় স্বাধীনতা। পরাধীনতার ভেতর তুমুল নিরাপত্তায় নিশির মন জগতে পরিবর্তন ঘটে। এটিই যেন অপবিত্র পুরুষের সঙ্গে কোনো নারীর প্রথম পরিচয়। তানবীরা ঘুরে ফিরে নারীর মনের ভেতরই প্রবেশ করতে চেয়েছেন। বইয়ের ফ্ল্যাপে তিনি দাবি করেছেন এসব গল্প তার শোনা, আবার কোনো কোনোটি তার চোখের সামনে ঘটে গেছে। তার অর্থ জীবন থেকে নেয়া। শেষ গল্পটির নাম দিয়েই বইয়ের নাম। গল্পটির নাম ‘পাহাড় আর নদী গল্প’। এ গল্পের চরিত্র চারজন। রিয়া, অরণ্য, স্বপ্ন এবং সুজন। রিয়া অরণ্যের সুন্দর সাজানো সংসার। যে সংসারে একমাত্র সন্তান স্বপ্ন। চমৎকার বোঝাপড়ার ভেতর সবকিছুই ঠিক মতই চলছিল। হুট করেই রিয়ার মন জুড়ে জায়গা করে নিল সুজন। রিয়ার অবসর সময়ের বন্ধু সুজন ধীরে ধীরে তার মন জয় করে চলল বীরের বেশে। এটি অপরাধ! তবুও মন মানে না বাঁধা। সব বাঁধা ডিঙিয়ে সুজন ব্যস্ত রিয়াকে জয় করতে। কখনও মিষ্টি কথায়, কখনও হাত ধরে এগিয়ে যায় সুজন। হুট করেই একদিন রিয়ার ঠোঁটে দীর্ঘসময় ঠোঁট রেখে দেয় সুজন। এক অন্যরকম ঘোরে রিয়া এক সময় অনুভব করে অরণ্যের সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই। অরণ্যকে সে স্বামী হিসেবে যথেষ্ঠ সম্মান করে। সুতরাং তাকে সবকিছু খুলে বলাই ভালো। অরণ্যকে সবকিছুই বলে রিয়া। অরণ্য অবাক হওয়া ছাড়া কিছু বলার নেই। সুজনকেও বিষয়টি জানায় রিয়া। চোখের সামনে অরণ্যের নীরবতা। অন্যদিকে সুজন এ ঘটনা শুনে রিয়ার সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করছে না। দুপাশে দুটি মানুষের নীরবতা রিয়াকে গ্রাস করে। মনের বাঁধ ভেঙে রিয়া শুধু কুঁকড়ে যাচ্ছে। তার শরীর মন সব যেন সুজনের কাছে সমর্পন। অথচ সে সুজনই নেই। তার কোনো পাত্তা নেই। একসময় অরণ্য তার পাশে এসে দাঁড়ায়। একমাত্র মেয়ের জন্য হলেও সব ভুলে যাওয়ার কথাও হয়। রিয়ার কোনো পথ নেই। সুজন হারিয়ে গেছে। সুজনের উদ্দেশ্য তাহলে কি ছিল? যদিও এর উত্তর পাঠককের তার নিজের মতো করেই ভেবে নিতে হবে। লেখক সে বিষয়ে কিছু বলেনি। হুট করেই দীর্ঘসময় পর রিয়ার ফোনে সুজনের ফোন আসে। রিয়া অনেক চেষ্টা করে নিজেকে আটকে রাখে। কিন্তু নারীর মন নরম। নিজেকে সে আটকে রাখতে পারে না। তারা একবার যাকে মন দেয়, সে মন ফিরিয়ে নিতে পারে না। রিয়া ফোন ধরে বলে, ‘হ্যালো’। গল্প শেষ হয়। তানবীরা তালুকদার গল্প লিখেন। তার গল্পের প্লট সাধারণ। পড়ে হয়ত পাঠক বলবে, এমন তো অহরহ হয়। অহরহ আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে আমরা দেখতে পাই তানবীরার গল্পে। তবে অনেক গল্প খুব ছোট। গল্পের বিস্তার নেই। তবে বেশ কয়েকটি গল্পের বিস্তার চমৎকার। বিশেষ করে ‘নারী দিবসের ব্যস্ততা’ গল্পটি সুন্দর করে বিস্তার করেছে। সাধারণ বাক্যে গল্প বলার প্রবণতা ভালো। পাঠকের সঙ্গে কমিউনিকেট করা যায়। কেন যেন মনে হয়, প্রতিটি গল্পের ভেতর প্রধান চরিত্র একই। তার একটাই পরিচয়। তাকেই লেখক কখনও কৈশোরে নিয়ে যান। কখনও বিবাহিত জীবনে নিয়ে যান। কখনও সে মা, কখনও সে কারও মেয়ে, কখনও সে কারও স্ত্রী। মোদ্যা কথা, নারী মনের অলিগলিতে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তানবীরা। তিনি নিজেও নারী। তিনি জানেন নারীর মন কখন কোন গলিতে যেতে চায়। ঠিক তখনই তানবীর সে গলিতে অবস্থান করেন। মিলিয়ে দেখেন নিজের মনের সঙ্গে। বোঝার চেষ্টা করেন প্রতিটি নারীর জীবনই কি একটি নদীর মতো? যে নদীর স্রোত অচেনা অজানা সব পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে যায়।আর তৈরী হতে থাকে এক একটি উপাখ্যান?