Our User Product Reviews

আনন্দের অন্যতম খোরাক???

বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলী সাহেবের রচনার অনন্য বৈশিষ্ট্য আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে।

অনেকগুলো মজাদার গল্পের সমষ্টি।পড়ে ভালোই লাগবে।

When I read the book, I feel and see what wrighter wright throughly.

5/4

চাইলাম 'রম্য রচনা '" সৈয়দ মুজতবা আলী " এর পাইলাম "রম্য রচনা" "নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় " এর খুবই হতাশ হলাম । রকমারি কতৃপক্ষের আরো সতর্ক হওয়া উচিত

very nice

outstanding

Excellent

So so

এককথায় অসাধারণ!!!

খুবই অল্প সময়ে হাতে পেলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ রকমারি.কম কে।অসাধারণ বই। অবশ্যই পড়া উচিত সকলের

দারুণ একটা বই।

Good book.

Interesting

বই পড়ে হাসতে চান? তাহলে পড়ে ফেলুন মুজতবাআলীর 'সেরা রম্য রচনা'। বইটি আমার কাছে হাসির গোডাউন মনে হয়েছে। আজ কাল রম্য রচনা নামের অনেক বই পড়ে হাসির বদলে মাথা ব্যাথা পাওয়া যায়। কিন্তু মুজতবা আলীর বইটি নামের সাথে কাজে মিল আছে। বইটি আপনার মন খারাপ ভাল করে দিতে পারে। বইটিতে মোট গল্প সংখ্যা ৪৩ টি। প্রত্যেকটা গল্পই মজাদার। সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখনী অন্য রকম। তার লেখায় হিউমার বেশি থাকায় যে কারও পড়তে ভাল লাগবে। সোজা সরল ভাষায় লেখা সাথে হিউমারের এক জাদু আছে বইটিতে। বইটির প্রথম গল্পের নাম বই কেনা। এই গল্প টা পরলেই বোঝা যায় বইটি অসাধারণ। কারণ কথায় আছে না সকাল দেখলে বোঝা যায় সন্ধ্যা টা কেমন। বই কেনা গল্প টা মুলত বাঙালির বই কেনার প্রতি দৃস্টিভঙ্গি কেমন তা তুলে ধরেছেন। কিন্তু মজাদার ভাবে। দ্বিতীয় গল্প কাইরো। কাইরো গল্পটি লেখকের কাইরো ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। কাইরো গল্পটি আমার বেশি ভাল লেগেছে। এছাড়া বইটির বাকি সব গল্পই সুন্দর। যারা আগে মুজতবা আলীর বই পড়েনি তারা 'সেরা রম্য রচনা' বই টি পড়ে দেখতে পারেন। অসাধারণ লাগবে। ২৩৪ টাকা মুল্যের বইটি আপনাকে হাসির রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে।

আমি একজন ক্ষুদ্র পাঠক। আমার কোনো বইয়ের রিভিউ লেখার মত যোগ্যতা নেই। কিন্তু এই বইটির জন্য রিভিউ না লিখলেই নয়। বিশেষকরে সৈয়দ মোজতবা আলীর জন্য। অসাধারণ লেখক। এনার লেখার ভক্ত হঈই দুই বছর আগে। নবম দশম শ্রেণির বাংলা বইয়ে লেখা তার একটা গল্প পড়ে। বুঝলাম রম্য মানেই শুধু হাসি নয়। ধন্যবাদ।

Syed Mujtaba Ali is some of my most favorite writers of ALL time in Bangla literature. His diction, his narrative and insights can turn even the most mediocre of events so so much interesting it's amazing! I fell in love with his writing the day I read "Rosogolla", and that made me buy this book. It's money well-spent I would say, because I THOROUGHLY enjoyed this book. Each and every story and the writing style- everything is just perfect. Strongly, strongly recommended for anyone who loves reading.

A Must Have Book in Your Collection.

মুজতবা আলীর লেখা মানেই মাস্টারপিস তার সব লেখা গুলোই আমার ভালো লাগে

সৈয়দ মুজতবা আলী মানেই জ্ঞানের সমারোহ। তার মত এত তথ্য দিয়ে আর কেও বই লিখে না।গল্প উপন্যাস বা ভ্রমণ কাহিনিতে যে এত তথ্য থাকে তা সৈয়দ মুজতবা আলী কে না পড়লে জানা যাবে না।

বইটি সেরার সেরা।

Fine.

রম্যরচনার মোড়কে লেখক যেমন রসবোধের সুপরিচয় দিয়েছেন,তেমনি বিভিন্ন অন্ঞ্চলের শিক্ষনীয় বিষয়াবলি কথাচ্ছলে তুলে ধরেছেন।

অসাধারন।

এই সব বই সম্পর্কে কিছু বলা একধরনের ধৃষ্টতা । ওমর খৈয়ামের ভাষায় কিছু বই অনন্ত যৌবনের বই, যাদের কোন ক্ষয় নেই। এটা তেমনি একটি বই। যারা এখনো পড়েন নি নিঃসন্দেহে নিঃসংকোচে বইটি হাতে নিয়ে পড়া শুরু করেন দেখবেন লেখক লিখেছেন বহুত পূর্বে, কিন্তু পড়ার সময় মনে হবে এটা এখনকার সময়ের জ।

বাংলা সাহিত্যের রম্য গদ্যের বরপুত্র সৈয়দ মুজতবা আলী'র সাথে আমাদের সবার কমবেশি পরিচয় হয় পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে, আমরা মাধ্যমিকে সৈয়দ মুজতবা আলী'র "রসগোল্লা" ও "বই কেনা" গল্প দুটি সবাই হয়তো পড়েছি। এরপর হতে লেখকের রম্যরচনা পাঠে আগ্রহী হই। টুকরো টুকরো করে কিছু রম্য গল্প পড়েছিলাম কিন্তু একসাথে একি মলাটে গল্প পড়ার সুযোগ হয় রকমারি হতে সংগ্রহ করার পর। তন্মধ্যে কাইরো, কলচর, প্যারিস, তোতাকাহিনী, আড্ডা, রসগো, বাবুর শাহ, কুট্টি ইত্যাদি রচনা সমুহ অসাধারণ লেগেছে, যদিও সব রম্য গদ্য সমুহ উন্নত চিন্তারই প্রতিফলন এবং একটি সুক্ষ বার্তা দেওয়া আছে।

বিমল হাস্যরসের যেন অফুরান এক ডেটা-ব্যাংক মুজতবা। যেখানে পাঠক রসটির সব কটি রকম মজুদ পায়-ত্রৈলোক্যনাতের হৃদবৃত্তিক কৌতুক, বঙ্কিমচন্দ্রের বিষণ্ন হাস্য, প্রথম চৌধুরীর বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতুক, পরশুরামের প্রসন্ন হাস্য। মুজতবা আলীর ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তার আরেকটি কারণ তাঁর উইটের চেয়ে বেশি হিউমার। তাই বলে উইটের কমতি নাই মুজতবায়। কারণ উইট হচ্ছে হিউমারেরই উন্নয়নের উপাদান, বুদ্ধিপ্রধান বৈদগ্ধ্যরসরূপে প্রাণবান হাস্যরসের শক্তিসঞ্চারী জ্ঞাতি। হিউমার যদি মানসিক অবস্থা, উইট তবে নির্বিশেষ। এই নির্বিশেষের পরশেই জীবনানুসৃতি আলী একজন মহৎ শিল্পী। তাঁর অন্তরঙ্গরচনার শৈলী নজিরবিহীন। বেশ সময় নিয়ে পড়লাম বইটি কারণ প্রতিটি রচনার পিছনে চিন্তাগুলো অনেক গভীর। সহজাত এবং পাঠকের সাথে কথা বলার ভঙ্গিতে লেখা বলেই যে একে হালকা ভাবতে হবে এমনটা না। সারকাজম, স্যাটায়ার তাঁর লেখায় মাঝে এমবেডেড অবস্থায় আছে কিন্তু সারবস্তু ঠিকই গভীর। "পৃথিবীর আর সব সভ্য জাত যতই চোখের সংখ্যা বাড়াতে ব্যস্ত, আমরা ততই আরব্য উপন্যাসের এক চোখা দৈত্যের মতো ঘোঁৎ ঘোঁৎ করি আর চোখ বারবার কথা তুলতেই চোখ রাঙাই।" - বলছিলেন বই পড়া এবং বই কেনার অনীহা প্রসঙ্গে... বইটা ক্ষুধাবর্ধক। দেশ-বিদেশের সংস্কৃতি,শিল্প-সাহিত্য, রসনা এসব-ই মূলত রচনাগুলোর বিষয়বস্তু। আর এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সৈয়দ মুজতবা আলী যখন নিজের ইনসাইট তুলে ধরেন তখন ইচ্ছা হয়, "আম্মোও দেখবো/ আম্মোও পড়বো/ আম্মোও খাবো"!!! আবদুশ শাকুরের ভূমিকা থেকেই জানতে পেরেছিলাম, পণ্ডিত সমাজ নাকি সৈয়দ মুজতবা আলীকে তেমন একটা মূল্যায়ন করেননি বা করতে চাননি। তা যদি তারা না করেন তাহলে আমি বলবো এটা তাদের-ই ব্যর্থতা, সৈয়দ মুজতবা আলীর নয়। তাঁর সৃষ্টি অনন্য, তা যে আদৃত হোক বা অনাদৃতই থাকুক।

রম্য গল্পের চমৎকার একটি সংকলন। বইটি পড়ার পর থেকে মুজতবা আলীর ভক্ত হয়ে গিয়েছি। বাছাই করা গল্পগুলো নিয়ে একত্র করা বলে, বইটি ভালো না লাগার কোনো কারনই নেই। তবে ভাষাশৈলী একটু কঠিন, হুমায়ূন আহমেদ এর মতন সরল নয়।

sayad mujtoba alir ai gronthoti jarai porben boitir protiti patai paben oshadharon budhdhi dipto ak lekhonir shondhan. somogro boiti lekhoker bivinno shomoyer desh o bidesher oviggotar kotha ottonto shunipun o pranjol bhashai lekha...jodio tar lekhoni je shomoyer tar shathe akhonkar torun projonmo otota porichito noi...tobuo bolte chai ontoto boiti pore shottikar orthe apni tripti o anondopaben...

দ্যুঁদে নয় একজন ক্ষুদে পাঠক হিসেবে লিখছি। ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝেছি, তা দিয়েই শুরু করছি। বিখ্যাত সব লেখকদের বিখ্যাত সব লেখা পড়ছি। হঠাৎ সেদিন 'দেশ' পত্রিকার একটি পুরনো সংখ্যায় 'সৈয়দ মুজতবা আলী'র লেখা পড়লাম। অসাধারন লেখা। আক্ষেপ হল, এমন একজন চমৎকার লেখকের লেখাগুলো এতদিন পড়িনি বলে। উনার ৫-৭ টা লেখা এখানে সেখানে আগে পড়েছিলাম অবশ্য। এবার বেশ আটঘাট বেঁধে মাঠে নামা !! 'সেরা রম্যরচনা' বইখানি তাই কেনা হল এবং চুটিয়ে পড়া শুরু। ঝরঝরে লেখাগুলো যে কোন অবস্থায় ঠোটের কোনে একটুকরো হাসি আনতে বাধ্য। ৪৩ টি রচনার এই সংকলনের সম্পাদক শ্রদ্ধেয় আব্দুশ শাকুর। বইটির শুরুতেই 'রচনাসাহিত্য' আর 'রম্যসাহিত্যের' কতগুলো দিক এবং বিশিষ্টজনদের মনে ব্যাক্তি মুজতবা আলী'র প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন। অনেকেই মনে করেন রম্যরচনা খুব উঁচুদরের সাহিত্য না। সেখানে লেখা আর লেখকের অজ্ঞতা ধরা পরে বিশ্রীরকম প্রকটভাবে। তাদের বলছি, মুজতবা আলীকে সেই কাতারে ফেলা মানে পাঠকের অজ্ঞতা। বৈঠকি চালে স্যাটায়ারধর্মী এই যে একেকটা লেখা- চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকে। অবশ্য স্বীকার করতেই হবে উইটের চেয়ে উনার লেখায় হিউমার বেশি। আর এই কারনেই আর দশজনের সঙ্গে আমিও উনার লেখার একজন ভক্ত বনে গেলাম। ঢাকার কুট্টি সম্প্রদায় সম্পর্কিত একটি লেখার খানিক অংশ তুলে দেই---- ''প্রথম যখন ঢাকাতে ঘোড়দৌড় চালু হল তখন এক কুট্টি গিয়ে যে ঘোড়াটাকে ব্যাক করল সেটাই এল সবার শেষে। বাবু বললেন, 'এ কি ঘোড়াকে ব্যাক করলে হে ?? সক্কলের শেষে এল ??' কুট্টি হেসে জবাব দিল, 'কন কি কর্তা, দ্যাখলেন না, ঘোড়া তো না, যেন বাঘের বাচ্চা, বেবাকগুলানরে খেদাইয়া লইয়া গেলো।'' যারা সিরিয়াস সাহিত্যে মুখ গুঁজে আছেন, তাদের বলছি বইটি পড়ুন। শুধু ভাত খেলেই চলে না, মাঝে মাঝে হাওয়াও খেতে হয়...