User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Saima Islam

      17 Jun 2022 11:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Awesome

      By Ayesha aktar

      23 Apr 2022 11:28 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি অনেক বুকশপে খুজেছি।পাইনি। রকমারি থেকে শেষপর্যন্ত পেয়েছি। দারুন বই

      By Nuzhat Samantha

      04 Aug 2021 08:20 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ বই এটি। আমি নেট থেকে পড়েছি যদিও। অসম্ভব ভালো লেগেছে। রেটিং ১০/১০

      By Aysha Khan

      18 May 2021 02:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Shifat

      06 Apr 2021 05:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Best scfi I have ever read...❤️❤️

      By Arpita Paul

      17 Feb 2021 11:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ei boi amr asee...onek bar poresi... ei boi pore keplar22B te jaoyar khub icche hocchilo amar... iss koto valoi na hoto jodi noton ekta prithibite amio jete partam... ei boi ses hoye jabar por mon kharap chilo ..mone hocchilo iss jodi aro koyek page thakto boi e...

      By Eccha

      19 Aug 2020 01:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice story..

      By Mehedi Hasan Durjoy

      26 Dec 2019 12:36 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী কেপলার টুটুবি। ভবিষ্যতে মানুষের বেঁচে থাকার গল্প।মানুষরা জৈব রোবট তৈরি করে যার নাম 'রবোমানব'। রবোমানবেরা পৃথিবীকে দখল করে নেবে ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে মানুষের বেঁচে থাকতে হবে। তাই পৃথিবীর কিছু মানুশকে অন্ন এক পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মোট সাতজন মানব মানবী।সাতজনের ছোট দল। ইহিতা,সুহা, টুরান, টর, নীহা, ক্লদ ,নুট।নেতৃত্বগুণে আর সাহসিকতায় তাদের দলপতি ইহিতা। কিন্তু কিন্তু ওদের সাথে ছদ্ম-পরিচয়ে উঠে পড়েছে দুটি রবোমানবও। ছয়শত মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে কেপলার টুটুবি গ্রহে নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে তারা । সমস্যা হওয়ার কারনে তারা নেমে পড়ে তেজস্ক্রিয় প্রাণীর গ্রহ মঙ্গল গ্রহে। যে গ্রহে রয়েছে ভয়ঙ্কর তেজস্ক্রিয় প্রানী। যাদের চোখেও দেখা যায়না। পৃথিবীর কোনো প্রাণীর মতো নয়। মনে হয় মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে একটি অতিকায় কুৎসিত ক্লেদাক্ত কীট তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে ছদ্দবেশী রবোমানব রা চায় সত্যকারের মানুষদের ধ্বংস করতে। তাই রবমানব দুটিকে তাদের শনাক্ত ও করতে হবে একি সাথে। টুরান, ইহিতাদের ভয় এর সাথে সাথে আশংকাগুলোও ঢুকে যেতে থাকে। পারবেতো ওরা বেঁচে থাকতে? কিন্তু বিজ্ঞান একাডেমীর চেয়ারম্যান সব কিছু শেষ জানতেন। কিন্তু এক বিশেষ উদ্দেশ্যে তিনি সব পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন । এবং শেষ মুহুর্তে করা কাজগুলোতে প্রমানিত হয় মানব সভ্যতাকে তিনি বাঁচাতে চেয়েছেন। রক্ষা করতে চেয়েছেন। চেয়েছেন নতুন পৃথিবী শুরু হক। মানুশের মধ্যে মানবতা আবার জেগে উঠুক। একতা জেগে উঠুক। যে মানবতার উপরে কিছুই নেই। সর্বকালে যে কারণটার জন্য যেমন মানুষ বেঁচে থাকতে চেয়েছে, সেই একই কারণে মানুষ প্রাণ দিয়ে দিতেও দ্বিধা বোধ করে না।সেটা হল ভালোবাসা... মানুষের জন্য মানুষের

      By Zannat Mim

      08 Dec 2019 05:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জাফর ইকবাল স্যারের ভালোলাগার একটি সায়েন্স ফিকশন। পৃথিবী থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন মানব সম্প্রদায়,, আছে কেবল কিছু মানুষ।মানুষের এই বিপদের কারণ হচ্ছে মানুষেরই তৈরি জৈব রোবট,,যাদের বুদ্ধি মানুষের মতো কিন্তু মনুষ্যত্ব বোধ নেই। ছয়শ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে কেপলার টুটুবি নামক গ্রহে কিছু মানব মানবীকে পাঠানো হয় নতুন করে সভ্যতা গড়ে তোলার জন্যে,কিন্তু ছদ্মবেশে তাদের মাঝে ঢুকে যায় কিছু রোবট। মাঝে ঘটে যায় টান টান উত্তেজনাকর কিছু ঘটনা।শেষমেষ মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার সুন্দর ম্যাসেজ দিয়ে শেষ হয় গল্পটি।

      By Jimim jam

      04 Nov 2019 09:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Keplar tutubi is a science fiction book which resemble the future of human and science. In future after human build robot's which try to take over the world. Those robots are full prototype of humans but they are not human. They started to kill human and try to take over network. But a there President thul send some human to survive in a planet named keplar tutubi. But among those humans there was two robots which send to kill them. Will they going to survived?? To know that must read keplar tutubi..

      By Sabrina Akter Nowrin

      26 Oct 2019 09:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      This book is such a nice book.This is a science fiction. This is about robot,human and earth. In this story robot wants to rule all over the earth and human.And human sent some people to the another country to live.Because they thought that robot will destroy all human.But at the end they destroy the communication system,robot and save the earth.This is a good story about communication,robot,human and another planet.

      By S M NAHID

      21 Oct 2019 12:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      It was my first book which i bought from a shop with my pocket money? Also it was my first science fiction which i read at my early age. Though in some parts i could not understand about the fiction but later i could. My greatest joy was then when i finoshed the book. Just loving it, but i also start to read this book at a age when it was not suitable for me to understan... By the by i loved it much.

      By Rehnuma Rubayat Prapty

      06 Jan 2018 09:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রবিজ_রকমারি_বই_রিভিউ আমি আজকে যে বইটার কথা বলতে যাচ্ছি সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনেকে হয়তো ভাবতেছেন জাফর ইকবাল সার এর অনেক বই তো দেখলাম কল্পকাহীনি ভিত্তিক এইখানে আবার ভিন্ন এর কি আছে? এই বইটা ভিন্ন তার প্রথম কারন হল আপনি শুরু করলে শেষ না করে রাখতে পারবেন না। এখন ভাবতেছেন এইরকম তো কত বই পড়লাম শুনলাম। তাহলে কিছু কাহিনি বলি........ গল্পের শুরু টা এরকম পৃথিবী তে রবোমানব রা মানুষ দের সাথে মিশে যাচ্ছে। অনেক বুদ্ধিমান একটা ছেলে কি করে রবোমানব দের আলাদা করা যায় প্রায় আবিষ্কার করে ফেলবে তখন-ই সে রবোমানব এর হাতে ধরা পরে যায় যা কোন পাঠক বুঝতে পারবে না আগে থেকে। রবোমানব এর হাত থেকে পৃথিবী কে বাচাতে না পেরে পৃথিবী এর দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞান আকাদেমির সভাপতি পৃথিবীর মানুষ দের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মহাকাশযান এ করে কয়েকজন কে পৃথিবীর বাইরে অন্য একটা পৃথিবীর মত গ্রহ কেপলার টুটুবি তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক বাছাই করে কয়েকজন কে ঠিক করা হয়। তাদের কে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয় অনন্ত কালের জন্য। তাদের নিয়ে মহাকাশযান যাত্রা শুরু করে এক অজানার উদ্দেশে। কিন্তু কিছু সময় পরে-ই তাদের কে ডেকে তোলা হয় কারন জানতে চাইলে তাদের বলা হয় তাদের মধ্যে দুইজন রবমানব। আতঙ্কে তারা শিহরিত হয়ে ওঠে। তাদের কে ছেড়ে দেওয়া হয় এক অজানা ভয়ঙ্কর গ্রহে। আশা করি কিছু টা বুঝতে পারতেছেন বইটা কেন ভিন্ন? বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতি টা পাতায় রয়েছে উত্তেজনা...... তার থেকেও মজার ব্যাপার হল শেষ এ যেয়ে পাঠক যখন প্রায় নিশ্চিত কিন্তু পরিশেষে হয় ঠিক তার চিন্তার উল্টা টা। কি হয় শেষ এ? রবোমানব কি দখল করে নেয়? অজানা উদ্দেশে যাত্রা করা মানুষ গুলো কি শেষ পর্যন্ত খুজে পায় তাদের নতুন পৃথিবী? জানতে হলে পরতে হবে, " কেপলার টুটুবি " By: Saleque Bin Hossain Alif

      By murad

      14 Jun 2016 02:38 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      রবোমানবেরা পৃথিবীকে দখল করে নেবে ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে মানুষের বেঁচে থাকতে হবে। তাই পৃথিবীর কিছু মানুশকে অন্ন এক পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মোট সাতজন মানব মানবী।সাতজনের ছোট দল। ইহিতা,সুহা, টুরান, টর, নীহা, ক্লদ ,নুট।নেতৃত্বগুণে আর সাহসিকতায় তাদের দলপতি ইহিতা। কিন্তু কিন্তু ওদের সাথে ছদ্ম-পরিচয়ে উঠে পড়েছে দুটি রবোমানবও। ছয়শত মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে কেপলার টুটুবি গ্রহে নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে তারা । সমস্যা হওয়ার কারনে তারা নেমে পড়ে তেজস্ক্রিয় প্রাণীর গ্রহ মঙ্গল গ্রহে। যে গ্রহে রয়েছে ভয়ঙ্কর তেজস্ক্রিয় প্রানী। যাদের চোখেও দেখা যায়না। পৃথিবীর কোনো প্রাণীর মতো নয়। মনে হয় মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে একটি অতিকায় কুৎসিত ক্লেদাক্ত কীট তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে ছদ্দবেশী রবোমানব রা চায় সত্যকারের মানুষদের ধ্বংস করতে। তাই রবমানব দুটিকে তাদের শনাক্ত ও করতে হবে একি সাথে। টুরান, ইহিতাদের ভয় এর সাথে সাথে আশংকাগুলোও ঢুকে যেতে থাকে। পারবেতো ওরা বেঁচে থাকতে? কিন্তু বিজ্ঞান একাডেমীর চেয়ারম্যান সব কিছু শেষ জানতেন। কিন্তু এক বিশেষ উদ্দেশ্যে তিনি সব পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন । এবং শেষ মুহুর্তে করা কাজগুলোতে প্রমানিত হয় মানব সভ্যতাকে তিনি বাঁচাতে চেয়েছেন। রক্ষা করতে চেয়েছেন। চেয়েছেন নতুন পৃথিবী শুরু হক। মানুশের মধ্যে মানবতা আবার জেগে উঠুক। একতা জেগে উঠুক। যে মানবতার উপরে কিছুই নেই। সর্বকালে যে কারণটার জন্য যেমন মানুষ বেঁচে থাকতে চেয়েছে, সেই একই কারণে মানুষ প্রাণ দিয়ে দিতেও দ্বিধা বোধ করে না।সেটা হল ভালোবাসা ।

      By jami jahan

      24 Jan 2017 01:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো "কেপলার টুটুবি"। অসাধারন এক সায়েন্স ফিকশন! বিজ্ঞান আকাদেমীর সভাপতি মহামান্য থুল। আকাদেমীর আরো সদস্য আছে দশ জন। ঘরের একমাত্র দরজাটি বন্ধ হওয়া পর্যন্ত মহামান্য থুল অপেক্ষা করলে।তাদের আজ আলোচনা হবে খুবই গোপনীয় এবং জরুরি বিষয় নিয়ে। এই এগারো জন পৃথিবীর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। কেন না তাদের কে দেওয়া হয়েছে পৃথিবী পরিচালনা করার দ্বায়িত্ব। পৃথিবীর এখন খুব দুঃসময়! কারন পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে উঠেছে। আর ছড়িয়ে পরছে ভয়ংকর রবোমানব। তারা খুব ধীরে ধীরে মানুষ নিয়ন্ত্রন করে নেবার চেষ্টা করছে। তারা যখন সফল হবে, তখন মানুষ হয়ে যাবে দ্বিতীয় প্রজাতি। রবোমানব যাতে মানুষের এই নেটওয়ার্ক দখল না করতে পারে তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এই বিজ্ঞান আকাদেমীর সদস্য গন। এই রবোমানব তৈরি করা হয়েছে এমন ভাবে, তাদের কোন মনুষত্ববোধ থাকবে না কিন্তু বুদ্ধিতে থাকবে মানুষের সমান। তাদের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন হবে শুধু মাত্র প্রোটিন। এই রবোমানব তৈরি হয়েছিল কাউকে কিছু না জানিয়ে, তার জন্য কিছু শহরের কাউন্সিলর দায়ী। শৃঙ্খলা রক্ষাকারী যখন এটা জানতে পেরেছে তখন তা অনেক দেরী হয়ে গেছে। যেহেতু তাদের কোন মানবিকতা বোধ নেই সেহেতু তারা ভয়ংকর এবং একরোখা। তারা ডাটাবেসের তথ্য এমনভাবে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে যাতে লোবোগ্রাফি করেও রবোমানব সনাক্ত করা না যায়। তারা আনয়াসে ঢুকে যাবে মানুষের মাঝে কেউ আর আলাদা করতে পারবে না।তখন আর কোন মানুষ থাকবে না, থাকবে শুধু রবোমানব! তবুও এই রবোমানব খুজে বের করার জন্য একটা ছোট ছেলে অসাধারণ একটা পদ্ধতি বের করেছিলো। কিন্তু এক মেয়ে রবোমানব তার মাথা কেটে মস্তিস্ক নিয়ে গেছে। আর কিছু দিনের মধ্যে হয়তো মানুষ তার নেটওয়ার্ক টি হারাবে। পাঠক বোধহয় বুঝতে পারবেন, পৃথিবীর মানুষ গুলোর তখন কি খারাপ অবস্থা! কি হবে এত সুন্দর পৃথিবীর! এই ভয়ঙ্কর রবোমানব গুলো কি মানুষকে পুরো পুরি নিশ্চিহ্ন করে দিবে! কত ভয়ঙ্কর হবে সে কাজ টা! এর থেকে কি মুক্তি পাওয়া যাবে..?ভয়ংকর এক সায়েন্স ফিকশন এই কেপলার টুটবি! মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ পৃথিবী থেকে। আর তা দখল করবে রোবট। কিহবে তখন! আতঙ্কে পাঠকের ঠোঁট কাপবে। কেন মানুষ নিজ স্বার্থে এত ভয়ংকর কাজ করে। বিজ্ঞানের অপব্যবহার করে নিজেদেরই ক্ষতি ঢেকে আনে। কি করে হবে তার নিস্তার! বিজ্ঞান আকেদেমীর সকলই তো হতাশায়। তারা তো হেরে গেছে। পুরো পৃথিবীর পরিচালনা করার কাজ যাদের তারাই যদি এভাবে হেরে যায়! ফিরে আসবে কি আবার পৃথিবী তার আগের রূপে..!? তাই বা কি করে..! অজানা আশঙ্কায় শেষ হবে গল্পের। মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশের অন্যতম কথা সাহিত্যিক। তিনি উপন্যাস, গল্প এর পাশাপাশি সায়েন্স ফিকশন রচনা করে পাঠক মন জয় করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র। পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন থেকে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং বেল কমিউনিকেশান্স রিসার্চে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করে ১৮ বছর পর দেশে ফিরে এসে, বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। বহু পাঠক নন্দিত সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশে সাহিত্যিক জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন এই অসামান্য ব্যক্তিটি।

      By Tawsiful Islam

      22 May 2014 07:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মানুষরা জৈব রোবট তৈরি করে যার নাম 'রবোমানব'। কিন্তু এই রবমানবরা পৃথিবীর মানুষের জন্য খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। মানুষের বেঁচে থাকাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই পৃথিবীর কিছু মানুশকে অন্ন এক পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে দুটি রোবোমানব ঢুকে পড়ে। সমস্যা হওয়ার কারনে তারা নেমে পড়ে তেজস্ক্রিয় প্রাণীর গ্রহ মঙ্গল গ্রহে। মানুষ কী সেই গ্রহ থেকে বেঁচে বের হতে পেরেছিল? রবমানব দুটিকে তারা কী শনাক্ত করতে পেরেছিল? পৃথিবীর মানুষেরও কী হয়েছিল? তারা কি রোবোমানব্দের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পেরেছিল? জানতে হলে পড়তে হবে 'কেপলার টুটুবি'।

      By Jahan-E-Noor

      27 Apr 2013 08:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাতজনের ছোট দলটি নিঃশব্দে হেঁটে যেতে থাকে। তাদের নিঃশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কোথাও কোনো শব্দ নেই। পৃথিবী হলে এখানে পাখির ডাক থাকত, ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক থাকত। গাছের পাতার মাঝে বাতাসের শিরশির শব্দ থাকত। দূর থেকে কোনো একজন নিঃসঙ্গ ভবঘুরের গানের সুর ভেসে আসত। এখানে কিছু নেই। ইহিতার কাছে এই নৈঃশব্দটুকু অসহ্য মনে হয়। ইহিতা দূরে তাকাল। সূর্যটি অস্ত যাচ্ছে, লাল এই গ্রহে দূরে নিষ্প্রাণ সূর্যটিকে কেমন যেন অপরিচিত মনে হয়। ঠিক পৃথিবীর মতোই খুব ধীরে ধীরে সন্ধে নেমে আসবে। একটু পর ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে যাবে। মঙ্গল গ্রহের কুৎসিত চাঁদ দুটি আকাশে থাকবে কি না কে জানে, থাকলেই সেটা কতটুকু আলো দিতে পারবে সেটাই বা কে জানে। শৈশবে এ গ্রহটিকে নিয়ে সে কত পড়াশোনা করেছে, তখন কি সে কল্পনা করেছিল একটি নির্বোধ কম্পিউটারের কারণে এ গ্রহটিতে নির্বাসিত হয়ে যাবে? একটি ঢালু পাহাড়ের নিচে এসে সুহা বলল, ‘আমরা এখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিই। ক্লদ মনে হয় একটু ক্লান্ত হয়ে গেছে।’ ক্লদ বলল, ‘উঁহু। আমি ক্লান্ত হইনি। আমি কখনো ক্লান্ত হই না।’ ইহিতা বলল, ‘চমৎকার! কিন্তু পরিশ্রম করলে ক্লান্ত হওয়াটা দোষের কিছু নয়। তুমি যদি ক্লান্ত হও, তাহলে আমাদের বলো। আমরা তোমাকে ট্রান্সপোর্টারে বসিয়ে নিয়ে যাব। কোনো পরিশ্রম ছাড়াই তখন যেতে পারবে।’ টুরান বলল, ‘আমাদের একটা বাই ভার্বাল থাকলে চমৎকার হতো, অনেক তাড়াতাড়ি যেতে পারতাম।’ টর দাঁত কিড়মিড় করে বলল, ‘হতভাগা ট্রিনিটি আমাদের ছোট একটা স্কাউটশিপে করে এখানে পাঠিয়েছে, খাবার আর পানি নিয়েই টানটানি, এখানে বাই ভার্বাল কেমন করে পাঠাবে?’ নীহা আপনমনে তার কুগুরাভ সমীকরণ সমাধান খুঁজে যাচ্ছিল, তার চারপাশে সবাই কে কী বলছে ভালো করে শুনছিল না। হঠাৎ করে সে বলল, ‘আমার অনেকক্ষণ থেকে একধরনের অস্বস্তি হচ্ছে। আমি কেন জানি আমার ভাবনায় মনোযোগ দিতে পারছি না।’ ‘কেন?’ ‘আমার-আমার...’ নীহা তার ব্যাকটিকে শেষ না করে থেমে গেল। ইহিতা জানতে চাইল, ‘তোমার কী?’ ‘আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, কেউ আমাদের চোখে চোখে রাখছে। মনে হচ্ছে কেউ যেন আমাদের লক্ষ করছে। কেমন জানি অশুভ একটা অনুভূতি।’ সুহা বলল, ‘সেটি হতেই পারে। আমরা সবাই তেজস্ক্রিয় প্রাণীকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে আছি।’ নীহা মাথা নাড়ল, বলল, ‘না, সে রকম নয়। আমার অনুভূতিটি অনেক বাস্তব। মনে হচ্ছে কেউ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চারদিকে অন্ধকার—মনে হচ্ছে অন্ধকারের বাইরে অনেকগুলো চোখ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।’ টুরান কষ্ট করে একটু হাসির মতো শব্দ করল, বলল, ‘তেজস্ক্রিয় প্রাণী নিয়ে ভয় আমার ভেতরেও আছে। কিন্তু অশুভ অনুভূতি বা অন্ধকারে চোখ—এগুলো তোমার কল্পনা। কারণ তেজস্ক্রিয় প্রাণী যদি কাছাকাছি আসে, তাহলে আমাদের মিটারে আমরা রিডিং পাব। এই দেখো, এখানে কোনো রিডিং নেই।’ বলে টুরান তেজস্ক্রিয়তা মাপার ছোট যন্ত্রটি নীহাকে দেখাল। ঠিক তখন তেজস্ক্রিয়তা মাপার যন্ত্রটা থেকে হঠাৎ করে কট কট করে একধরনের শব্দ হতে থাকে। সবাই বস্ফািরিত চোখে মিটারটির দিকে তাকিয়ে থাকে। সেখানে কাঁটাটি নড়ছে, কিছু আলো জ্বলতে-নিভতে থাকে আর শব্দটা দ্রুততর হতে থাকে। ইহিতা নিচু গলায় বলল, ‘নীহার ধারণা সঠিক। প্রাণীগুলো আমাদের দিকে আসছে।’ নীহা আর্তচিৎকার করে বলল, ‘সর্বনাশ!’ সুহা বলল, ‘আমরা কী করব?’ ইহিতা বলল, ‘প্রাণীগুলোকে ঠেকানোর চেষ্টা করতে হবে।’ ‘কীভাবে?’ ‘অস্ত্র দিয়ে।’ ইহিতা ডানে-বামে তাকাল, বলল, ‘পেছনে বড় পাথরগুলো আছে, এখানে দাঁড়াই, তাহলে শুধু সামনের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি নাও। শোনো, খুব কাছে না আসা পর্যন্ত গুলি করো না। গুলি যেন লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয়।’ সবাই ছুটে বিশাল পাথরটাকে পেছনে রেখে দাঁড়াল। ইহিতা হেলমেটের সুইচ টিপে সেটাকে ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর জন্য সংবেদনশীল করার চেষ্টা করে। অবলাল আলোতে কিছু দেখতে পেল না কিন্তু আলট্রাভায়োলেট তরঙ্গে যেতেই সে প্রাণীগুলোকে স্পষ্ট দেখতে পায়। অনেকগুলো প্রাণী গুঁড়ি মেরে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। প্রাণীর শরীরের যে জায়গা থেকে অতিবেগুনি রশ্মি বের হচ্ছে, শুধু সেই অংশটুকু দেখতে পাচ্ছে, তাই প্রকৃত আকারটা বোঝা যাচ্ছে না। অনুমান করা যায় প্রাণীটি আকারে খুব উঁচু নয়—হাত-পা থাকতে পারে, দুলতে দুলতে এগিয়ে আসছে। ইহিতা ফিসফিস করে বলল, ‘তোমাদের হেলমেট অতিবেগুনি রশ্মিতে সংবেদনশীল করে নাও।’ নীহা জানতে চাইল, ‘তাহলে কী হবে?’ ‘প্রাণীগুলো দেখতে পাবে।’ নীহার সঙ্গে সঙ্গে অন্য সবাই তাদের হেলমেটের গগলস অতিবেগুনি রশ্মিতে সংবেদনশীল করে নিল, সঙ্গে সঙ্গে দুলতে দুলতে এগিয়ে আসা প্রাণীগুলো দেখতে পায়। টর চাপাস্বরে একটা কুৎসিত গালি দিয়ে বলল, ‘আরেকটু কাছে আয় হতভাগারা—অনেক দিন কারও ওপর গুলি চালাইনি।’ ইহিতা ফিসফিস করে বলল, ‘সাবধান, প্রয়োজন না হলে গুলি করো না।’ ‘কেমন করে বুঝব প্রয়োজন নেই!’ ‘যদি দেখো প্রাণীগুলো থেমে গেছে। যদি দেখো, এদিকে এগিয়ে না এসে ইতস্তত অন্যদিকে যাচ্ছে।’ ‘কেন থেমে যাবে? কেন ইতস্তত অন্যদিকে যাবে?’ ইহিতা ফিসফিস করে বলল, ‘জানি না। শুধু দেখো, যায় কি না।’ সবাই অস্ত্র তাক করে নিঃশব্দে অপেক্ষা করছে ঠিক তখন যেন ইহিতার ধারণাকে সত্যি প্রমাণ করার জন্যই প্রাণীগুলোর গতি কমে আসে, প্রাণীগুলোর অনেকগুলো থেমে যায়, অনেকগুলো ইতস্তত এদিক-সেদিক হাঁটতে থাকে। টুরান ফিসফিস করে বলল, ‘কী হয়েছে?’ ইহিতা বলল, ‘সবাই চুপ। কেউ একটা কথা বলবে না। একটা শব্দ করবে না। কোনো কিছু না নড়লে প্রাণীগুলো দেখতে পায় না। কেউ নড়বে না। একেবারে কাছে এলেও নড়বে না।’ সবাই নিঃশব্দে অপেক্ষা করতে থাকে। প্রাণীগুলো ইতস্তত এদিক-সেদিক ছড়িয়ে পড়ে। একটা প্রাণী তাদের কাছাকাছি এসে ডানদিকে সরে যায়, সেখান থেকে হঠাৎ করে ঘুরে সোজাসুজি তাদের দিকে এগিয়ে আসে। সুহা ফিসফিস করে বলল, ‘সর্বনাশ!’ অন্য কেউ কোনো কথা বলল না। সবাই দেখল কিছু একটা দুলতে দুলতে তাদের দিকে আসছে। কাছাকাছি আসার পর প্রথম প্রাণীটার অবয়ব স্পষ্ট দেখা যায়। রেডিয়েশন মিটারটি নিঃশব্দ করে রাখা আছে বলে সেটি শব্দ করছে না কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রচণ্ড রেডিয়েশনে তার কাঁটাটি থরথর করে কাঁপছে। প্রাণীটি আরও কাছে এগিয়ে আসে, এটি পৃথিবীর কোনো প্রাণীর মতো নয়। মনে হয় মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে একটি অতিকায় কুৎসিত ক্লেদাক্ত কীট তৈরি করা হয়েছে। ধারালো দাঁতের পেছনে লকলকে জিব। চোখ আছে কি নেই বোঝা যায় না। প্রাণীটি খুব কাছে এসে তাদের পরীক্ষা করে দেখল, তারপর একটু বাম দিকে সরে দুলতে দুলতে নড়তে নড়তে সরে গেল। হঠাৎ করে তারা মাটিতে একটা কম্পন অনুভব করে সঙ্গে সঙ্গে সবগুলো প্রাণী একসঙ্গে ঘুরে গেল, তারপর ছুটতে ছুটতে দূরে অদৃশ্য হয়ে গেল। ইহিতা ফিসফিস করে বলল, ‘এখনো কেউ কোনো শব্দ করো না। কেউ একটুও নড়ো না। প্রাণীগুলো আগে একেবারে সরে যাক।’ যখন প্রাণীগুলো একেবারে অদৃশ্য হয়ে গেল, তখন নীহা একটা দীর্ঘশ্বাসকে বুক থেকে বের করে দিয়ে বলল, ‘খুব বাঁচা বেঁচে গেছি।’ টর বলল, ‘একটা গুলি পর্যন্ত করতে পারলাম না।’ ‘তুমি গুলি করতে চাইছিলে?’ ‘হ্যাঁ। অনেক দিন কোনো অস্ত্র ব্যবহার করিনি, হাত নিশপিশ করছিল।’ সবাই একধরনের সন্দেহের চোখে টরের দিকে তাকিয়ে থাকে। টুরান একটা বড় নিঃশ্বাস ফেলে বলল, ‘আমি একটা কথা বলতে পারি?’ সবাই এবার ঘুরে টুরানের দিকে তাকাল, সুহা বলল, ‘বলো।’ টুরান বলল, ‘তোমাদের মনে আছে, আমরা যখন মহাকাশযানে করে আমাদের যাত্রা ঠিক শুরু করতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখন ইহিতা আমাদের সবার সঙ্গে একবার কথা বলতে চাইছিল?’ সবাই মাথা নাড়ল। টুরান বলল, ‘আমি একধরনের গোয়ার্তুমি করে ইহিতাকে কথা বলতে দিইনি। তার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছিলাম। অপমানসূচক কথা বলেছিলাম।’ ইহিতা নিচু গলায় বলল, ‘তুমি এমন কিছু অপমানসূচক কথা বলোনি।’ ‘বলেছিলাম। আমার খুব কাছাকাছি থাকা একটি মেয়ে আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সেই থেকে আমি পুরোপুরি নারী জাতির বিদ্বেষী হয়ে গিয়েছিলাম, কোনো মেয়েকে সহ্যই করতে পারতাম না—কোনো মেয়ের কথাও শুনতে চাইতাম না। বিষয়টা খুবই বড় নির্বুদ্ধিতা হয়েছিল।’ কেউ কোনো কথা না বলে নিঃশব্দে টুরানের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করল সে কী বলতে চাইছে। ‘ইহিতা তখন যে কথাগুলো বলতে চাইছিল, আমি এখন তোমাদের সঙ্গে সেই কথাগুলো বলতে চাই।’ টর জিজ্ঞেস করল, ‘সেই কথাগুলো কী?’ ‘আমরা সাতজন মানুষ অত্যন্ত বিপজ্জনক একটা পথ পাড়ি দিচ্ছি, এইমাত্র একটা খুব বড় বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছি। সামনে পাব কি না জানি না। বিপদ আসবে সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এ রকম অসম্ভব বিপজ্জনক অবস্থা হলে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়—সব সময় সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তটি নেওয়া যায় না—তার সময় থাকে না। তখন খুব দ্রুত মোটামুটি সঠিক একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটা খুবই জরুরি।’ টর বলল, ‘আমি এখনো বুঝতে পারছি না, তুমি কী বলতে চাইছ!’ ‘তুমি বুঝতে পারছ না কারণ, আমি এখনো কথাটি বলিনি।’ ‘তাড়াতাড়ি বলে ফেল।’ টুরান বলল, ‘আমি যদি ঠিক করে অনুমান করে থাকি, তাহলে ইহিতা আমাদের বলতে চেয়েছিল, মানুষের একটা দল হিসেবে আমাদের একটা দলপতি থাকা দরকার। যে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শুধু তা-ই না, দলপতিকে মেনে নিলে আমরা সবাই তার সিদ্ধান্তটি কোনোরকম প্রশ্ন না করে মেনে নিতে পারব।’ টুরান একটু থামল এবং সবাই তার দিকে তাকিয়ে রইল। সে সবার দিকে চোখ বুলিয়ে বলল, ‘এই মুহূর্তে আমাদের একজন দলপতি দরকার। আমি দলপতি হিসেবে ইহিতার নাম প্রস্তাব করছি। একটু আগে ইহিতা আমাদের যে কথাগুলো বলেছে, তার প্রত্যেকটি কথা সত্যি বের হয়েছে। সে আমাদের ভয়ংকর বিপদে নিজে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।’ টর বলল, ‘আমাদের মাঝে দুজন রবোমানব আছে, তুমি কেমন করে জানো ইহিতা একজন রবোমানব না?’ টুরান থতমত খেয়ে বলল, ‘সেটা আমি জানি না। কেউই জানে না।’ নুট একটু এগিয়ে এসে বলল, ‘আমি জানি, ইহিতা রবোমানব না।’ টর মাথা ঘুরিয়ে নুটের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘তুমি জানো না। তুমি অনুমান করছ।’ নুট বলল, ‘না। আমি জানি। আমার টুরানের প্রস্তাবটা খুব পছন্দ হয়েছে। আমিও ইহিতাকে আমাদের দলপতি হিসেবে গ্রহণ করছি।’ নীহা বলল, ‘আমিও।’ সুহা বলল, ‘আমিও তাকে দলপতি হিসেবে চাই।’ ক্লদ সবার মুখের দিকে তাকিয়ে আলাপটা বোঝার চেষ্টা করল। সে এমনিতে খুবই ছটফটে ছেলে, কিন্তু একটু আগে এত কাছে থেকে তেজস্ক্রিয় প্রাণীগুলো দেখার পর থেকে সে হঠাৎ করে চুপ হয়ে গেছে। সে কিছুক্ষণ ইহিতার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আমিও চাই।’ টর বলল, ‘তার মানে বাকি রয়েছি শুধু আমি?’ কেউ কোনো কথা বলল না। টর বলল, ‘আমার অবশ্যি কোনো পথ বাকি থাকল না। আমাকেও মেনে নিতে হচ্ছে।’ টুরান বলল, ‘চমৎকার।’ ইহিতা বলল, ‘আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না, মঙ্গল গ্রহের এই পাহাড়ের নিচে, এই ধূলিঝড়ের মাঝে, তেজস্ক্রিয় প্রাণীদের আনাগোনার মাঝে আমরা বসে বসে একটা নাটক করছি! কিন্তু আমি এ নিয়ে তর্কবিতর্ক করব না। সময় খুব মূল্যবান। আমি সময়টা বাঁচাতে চাই। আমাকে যেহেতু দলপতির দায়িত্ব দিয়েছে, আমি সেই দায়িত্ব নিচ্ছি—শুধু এই বিপজ্জনক পথের অংশটুকুতে। যদি ঠিকভাবে মানুষের আবাসস্থলে পৌঁছাতে পারি, তখন অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে।’ ‘সেটি তখন দেখা যাবে।’ টুরান বলল, ‘তা ছাড়া আমরা একটি খেলার টিম তৈরি করছি না যে একেক খেলায় একেকজন দলপতি হবে।’ ইহিতা বলল, ‘সেই আলোচনা থাকুক। তোমরা সবাই এখনই রওনা দাও। দ্রুত আমি আসছি।’ নীহা জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কোথা থেকে আসছ?’ ‘সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করো না। সবাই হাঁটতে শুরু করো।’ সবাই হাঁটতে হাঁটতে দেখল, ইহিতা পিঠ থেকে তার ব্যাকপেক নামিয়ে মাটিতে উবু হয়ে কিছু একটা করছে। কী করছে কেউ অনুমান করতে পারল না। ইহিতা তার কাজ শেষ করে একটু জোরে হেঁটে ছোট দলটির সঙ্গে যোগ দিল। টর জিজ্ঞেস করল, ‘কাজ শেষ হয়েছে?’ ‘হ্যাঁ হয়েছে।’ টর আশা করছিল, ইহিতা বলবে, সে কী করেছে, ইহিতা বলল না। তখন টর নিজেই জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি পেছনে কী করে এসেছ?’ ‘এমন কিছু নয়।’ ‘তার মানে তুমি আমাদের বলতে চাইছ না?’ ‘না।’ ‘কেন?’ ‘টর, তোমার একটা বিষয় বুঝতে হবে। তোমরা আমাকে তোমাদের দলপতি বানিয়েছ, এখন আমার ওপর কিছু বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়েছে। শুধু আমাকে বেঁচে থাকলে হবে না—তোমাদেরও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য আমাকে কিছু বাড়তি কাজ করতে হবে। আমি সেটা করছি। যখন তোমাদের এটা জানার প্রয়োজন হবে, আমি তোমাদের জানাব।’ টর কিছু বলল না, ইহিতার কথাটা তার খুব পছন্দ হলো বলে মনে হয় না। ছোট দলটি চার ঘণ্টা হাঁটার পর ইহিতা বলল, ‘আমরা এখন বিশ্রাম নেব।’ নীহা বলল, ‘তোমার এই অসাধারণ সিদ্ধান্তের জন্য অনেক ধন্যবাদ ইহিতা। আমি ভেবেছিলাম তুমি আর কোনো দিন বুঝি একটু বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলবে না।’ ইহিতা বলল, ‘শক্তি থাকতে থাকতে আমি যতটুকু সম্ভব পথ অতিক্রম করে ফেলতে চাইছিলাম।’ ক্লদ ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল, টুরান এতক্ষণ তাকে ট্রান্সপোর্টারে শুইয়ে এনেছে, এবারে তাকে নিচে শুইয়ে দিয়ে বলল, ‘ভাগ্যিস, মঙ্গল গ্রহে মাধ্যাকর্ষণ বল অনেক কম, তা না হলে ক্লদকে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যেত।’ সুহা টুরানের হাত স্পর্শ করে বলল, ‘আমি যে তোমাকে কী বলে ধন্যবাদ দেব বুঝতে পারছি না! কতটুকু পথ ক্লদকে ট্রান্সপোর্টারে করে এনেছ!’ টুরান পাথরে পা ছড়িয়ে বসে বলল, ‘ধন্যবাদ দেওয়ার তুমি আরও ভালো সুযোগ পাবে—এবারে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নেওয়া যাক।’ ইহিতা বলল, ‘সবাইকে মনে করিয়ে দিই—এবার যখন রওনা দেব, তখন কিন্তু আর থামাথামি নেই। রওনা দেওয়ার আগে সবাই খানিকটা স্নায়ু-উত্তেজক পানীয় খেয়ে নিয়ো। তাহলে খিদেও পাবে না, ক্লান্তও হবে না। ঘুমাতেও হবে না।’ নীহা বলল, ‘যখন রওনা দেব, তখন সেটা দেখা যাবে। এই মুহূর্তে আমার ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। আমি একটু ঘুমাই, যখন রওনা দেবে তখন ডেকে তুলো।’ সুহা বলল, ‘তুমি নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাও। তোমাকে দেখে আমার হিংসা হচ্ছে।’ ‘কেন? হিংসা হচ্ছে কেন?’ ‘এ রকম একটা পরিবেশে যার ঘুম পায়, তাকে দেখে হিংসা হতেই পারে!’ নীহা চোখ বন্ধ করতে করতে বলল, ‘তোমাকে কুগুরাভ সমস্যাটা শিখিয়ে দেব—তার সমাধানের কথা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে যাওয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতেই নেই!’

      By Zayed

      12 Oct 2019 05:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      My second most amazing book i read of jafar iqbal sir after ruhan ruhan.Great book ,this book take you to a new dimension of imagination.A book full of thrill ....

      By Muhammad Mazharul Haque

      13 Sep 2012 02:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Dr. Jafar Iqbal sir er boi amar sobsomoi valo lagee.Ei boitao amar onnek valo legeche.

      By Reyad Hasan

      08 Feb 2013 09:18 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছয়শত মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে কেপলার টুটুবি গ্রহে নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে তারা । কিন্তু ওদের সাথে ছদ্ম-পরিচয়ে উঠে পড়েছে দুটি রবোমানবও। পারল কি তারা কেপলার টুটুবি গ্রহে পৌছাতে ? আর পৃথিবীর ভাগ্যে কি হল ? জানতে হলে পড়তে হবে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মাস্টারপিস বিজ্ঞান কল্পকাহিনি 'কেপলার টুটুবি'।

      By Nabid Mostafa Zisan

      29 Apr 2012 09:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কেপলার টুটুবি অনেক দিন পর জাফর স্যারের একটা সায়েন্স ফিকশন পড়া হলো এবং পড়ে বেশ খুশি যে হয়েছি-এটা আমি বলতেই পারি। কৈশোরবেলার ‘টুকুনজিল’ বা ‘নয় নয় শুন্য তিনে’র সেই রোমাঞ্চ আর ‘কী হবে’, ‘ও কি বাঁচবে’-এই টাইপের টান টান উত্তেজনায় হয়তো ছিলামনা কিন্তু এই বড়বেলাতে এসেও যে মহাজাগতিক ‘তাড়না’(!)-য় ভুগেছি সেটাকেই বা ভুলি কীভাবে !!! কাহিনী অনেক আহামরি তথা টুইস্টেড না (আমি বড় হয়ে গেছি বলে হয়তো আমার মনে হয়েছে, এটা হতে পারে), রবোমানবেরা পৃথিবীকে দখল করে নেবে ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে মানুষের বেঁচে থাকার গল্প। তবে হ্যা, এটা ঠিক, স্যারের সাম্প্রতিক অনেকগুলো লেখার থেকে এটাকে অনেক বেশি পরিণত মনে হয়েছে। কিছু ভালোলাগার জায়গার কথা বলি। ভালো লেগেছে গল্পের কিছুটা মেলো-ড্রামাটিক সূচনার ব্যাপারটা। হুট করেই যেন আমরা কাহিনীর মাঝে ঢুকে যাই এবং চরিত্রগুলোর পরিণতির সাথে সাথে এগোতে থাকি। এই ব্যাপারটা স্যার কেমন করে করেছেন জানি না, কিন্তু হঠাৎ করেই আমি আমাকে ঐ মহাকাশযানের ভেতরে আবিষ্কার করে ফেলি। টুরান, ইহিতাদের ভয়গুলোর সাথে সাথে আমার আশংকাগুলোও ঢুকে যেতে থাকে, “পারবেতো ওরা বেঁচে থাকতে?” আরেকটি ভালোলাগার জায়গা হল সব কিছু শেষ জেনেও বিজ্ঞান একাডেমীর চেয়ারম্যানের শেষ মুহুর্তে করা কাজগুলো। বুঝতে পারছিলাম বিশেষ উদ্দেশ্য হয়তো আছে, কিন্তু সবগুলোকে এক বিন্দুতে মেলাতে পারছিলাম না। পরে রবোমানবদের সামনে তিনি পুরো জিনিসটা একে একে জোড়া লাগান। আমি যেনো সেই মুহুর্তটায় বনে আগুন লাগানোটা নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম, বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়াটাকে উপর থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম, এক ঝলকে খুব কাছ থেকে দেখছিলাম নেটওয়ার্কের ধ্বংস হয়ে যাওয়াটাকেও। সব মিলিয়ে হলিউডের মুভিতে যেমন এক লহমায় অনেকগুলো কাজকে দেখায়। দেখার মত একটা দৃশ্য হবে সেটা যদি এটা নিয়ে একটা মুভি বানানো হয়। আরেকটা দৃশ্য কল্পনা করে আমার ‘পিচ ব্ল্যাক’ মুভির ভিন ডিজেলের কথা মনে পড়লো। মঙ্গলগ্রহে ওরা যখন হেঁটে যাচ্ছিলো, কুৎসিত(স্যারের ভাষায় ‘ক্লেদাক্ত’ ) প্রাণিগুলো ওদের আক্রমণ করে। আর ওরা অবলোহিত বিকিরণ সনাক্ত করে ওদের দেখছিলো। আমিও তখন যেনো ভিন ডিজেল যেভাবে মুভিতে রেডিয়াম লাইট দিয়ে আর নাইটভিশন-গগলস চোখে দেখে, ঠিক সেইভাবেই প্রাণিগুলোকে অনুভব করতে পারছিলাম। ঠিক যেনো সিনেমার মতই ফ্লেভার, উত্তেজনা, শুধু ডিজেলের জায়গায় ইহিতা। আর হ্যাঁ, ইহিতার কথা না বললেই নয়। ইহিতাকে ভালো লেগেছে, ইহিতার প্রেমে পড়ে গিয়েছিও বলা যায়। যেভাবে স্যার চরিত্রটাকে নির্মাণ করেছেন এবং শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ধরে রেখেছেন, প্রেমে না পড়াটাই অস্বাভাবিক হতো। একে তো নেতৃত্বগুণে আর সাহসিকতায় ইহিতা মনের ভিতরে ঢুকে গেছে, চাইলেই যেনো ধরতে পারি। কিন্তু ধরা আর হয়নাই। তবে যেসব মেসেজ স্যার পরোক্ষভাবে এখানে দিয়ে গেছেন তা অবশ্যই মহৎ। অনেক মানুষ এক থাকলে জয় আসবেই-তা যেমন আবারো বুঝলাম; তেমনি স্বার্থে স্বার্থে বাধলে শয়তানও শয়তানকে ছাড়ে না, এটাও স্পষ্ট হল। বারবার একটা দিকেই স্যার পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন যে মানবতার উপরে কিছুই নেই। সর্বকালে যে কারণটার জন্য যেমন মানুষ বেঁচে থাকতে চেয়েছে, সেই একই কারণে মানুষ প্রাণ দিয়ে দিতেও দ্বিধা বোধ করে না। এই জিনিসগুলো অবচেতন মনে ঢুকিয়ে দিতে স্যার অবশ্যই সফল। লেখার মান নিয়ে কিছু না বলাই ভালো। মনোযোগ ধরে রাখার মত কথোপকথন, আর মমতা দিয়ে যেনো আবেগীয় অংশগুলো লেখা। সবমিলিয়ে ক্ষণিকের জন্য হলেও স্যার আমাকে এই হানাহানির আর আশাভঙ্গের দেশ থেকে উঠিয়ে নিয়ে যেনো স্বপ্নের জগতে নিয়ে গিয়েছিলেন, রোমাঞ্চ আর ভালোবাসাকে সাথে এনে দিয়ে। যেখানে মানুষ হেরে গিয়েও বাঁচতে শেখে, মরে গিয়েও রেখে যায় বেঁচে থাকার আশা... ভালবাসা।

      By Tanzila

      22 May 2014 10:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী কেপলার টুটুবি। ভবিষ্যতে মানুষের বেঁচে থাকার গল্প।মানুষরা জৈব রোবট তৈরি করে যার নাম 'রবোমানব'। রবোমানবেরা পৃথিবীকে দখল করে নেবে ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে মানুষের বেঁচে থাকতে হবে। তাই পৃথিবীর কিছু মানুশকে অন্ন এক পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মোট সাতজন মানব মানবী।সাতজনের ছোট দল। ইহিতা,সুহা, টুরান, টর, নীহা, ক্লদ ,নুট।নেতৃত্বগুণে আর সাহসিকতায় তাদের দলপতি ইহিতা। কিন্তু কিন্তু ওদের সাথে ছদ্ম-পরিচয়ে উঠে পড়েছে দুটি রবোমানবও। ছয়শত মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে কেপলার টুটুবি গ্রহে নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে তারা । সমস্যা হওয়ার কারনে তারা নেমে পড়ে তেজস্ক্রিয় প্রাণীর গ্রহ মঙ্গল গ্রহে। যে গ্রহে রয়েছে ভয়ঙ্কর তেজস্ক্রিয় প্রানী। যাদের চোখেও দেখা যায়না। পৃথিবীর কোনো প্রাণীর মতো নয়। মনে হয় মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে একটি অতিকায় কুৎসিত ক্লেদাক্ত কীট তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে ছদ্দবেশী রবোমানব রা চায় সত্যকারের মানুষদের ধ্বংস করতে। তাই রবমানব দুটিকে তাদের শনাক্ত ও করতে হবে একি সাথে। টুরান, ইহিতাদের ভয় এর সাথে সাথে আশংকাগুলোও ঢুকে যেতে থাকে। পারবেতো ওরা বেঁচে থাকতে? কিন্তু বিজ্ঞান একাডেমীর চেয়ারম্যান সব কিছু শেষ জানতেন। কিন্তু এক বিশেষ উদ্দেশ্যে তিনি সব পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন । এবং শেষ মুহুর্তে করা কাজগুলোতে প্রমানিত হয় মানব সভ্যতাকে তিনি বাঁচাতে চেয়েছেন। রক্ষা করতে চেয়েছেন। চেয়েছেন নতুন পৃথিবী শুরু হক। মানুশের মধ্যে মানবতা আবার জেগে উঠুক। একতা জেগে উঠুক। যে মানবতার উপরে কিছুই নেই। সর্বকালে যে কারণটার জন্য যেমন মানুষ বেঁচে থাকতে চেয়েছে, সেই একই কারণে মানুষ প্রাণ দিয়ে দিতেও দ্বিধা বোধ করে না।সেটা হল ভালোবাসা... মানুষের জন্য মানুষের

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!