Our User Product Reviews

too good....onk sundor book plus book quality o.

Damn Cozy

হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা সব বই ই এক একটা ইতিহাস।এটাও তার ব্যতিক্রম নয়।

এক ক্লাস সিক্স পড়ুয়া ছেলের জবানিতে উঠে আসা তার পরিবার, তার আশেপাশের মানুষ, তার বাবা মা ভাই আর কুসুমকে নিয়ে গড়ে উঠেছে হুমায়ন আহমেদের আরেকটি অনবদ্য সৃষ্টি ইস্টিশন। আমার কাছে এই উপন্যাসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র মনে হয়েছে কুসুমকে। বিশেষ করে তার রাতের বেলা হঠাৎ গোসল করার কারণটা অজানাই রয়ে গেছে পাঠকদের। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার চরিত্রটা, রঞ্জু চরিত্রটাও আমার কাছে ভাল লেগেছে। শেষ দিকে ইঞ্জিনিয়ারের ফাঁসির আদেশ হওয়ায় একটা বিরাট ধাক্কা খেয়েছিলাম আমি। আমার মতে পাঠকদের কাছে ভালই লাগবে এই রহস্যআবৃত ‘ইস্টিশন’। দেরী না করে আজই সংগ্রহ করুন।

হুমায়ূন আহমেদ এর বইয়ের যারা ভক্ত তারা নিরাশ হবেন না। বরাবরের মতই দুর্দান্ত লেখনী পাঠককে বুঁদ করে রাখে। উপন্যাস গড়ে উঠে এক কিশোর কে নিয়ে। তার নাম টগর। সেই কিশোরকে মায়াজালে আবদ্ধ করে কুসুম। টগরের বয়ানেই চলতে থাকে উপন্যাসের কাহিনী। একজন কিশোরের দৃষ্টিতে জীবনের রহস্যকে দেখতে পাওয়ার অসাধারণ সুযোগ লেখক তার এই উপন্যাসের মাধ্যমে আমাদের করে দিয়েছেন।

কাহিনী সংক্ষেপেঃ- হুমায়ূন আহমেদের বই গুলোর রিভিউ আমি কখনো পড়িনা কারণ আমার বিশ্বাস তার সব বইই ভালো রিভিউ হয়তো ততটাও ভালো হবে না। তার বইনিয়ে রিভিউও লেখা হয়না ঠিক একই কারণে তবু আজ ইকটু লিখতে ইচ্ছে করছে। এই বইটির ভুমিকায় হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন 'জোছনা ফুল নামে এক টিভি নাটক বানানোর জন্য একটা মেকি রেল লাইন তৈরী করেন। সেই রেল লাইন দেখতে গিয়ে রেল স্টেশনে বসে ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় নির্জন গ্রামের রেল স্টেশনের গল্প ঢুকে যায়।' তার ভূমিকা হুবুহু তুলে না দিয়ে নিজের মতো লিখলাম আরকি। যাইহোক এই হলো ইস্টিশন গল্প লেখার ইতিহাস। এবার একটু গল্প নিয়ে আলোচনা করা যায়। আজহার উদ্দিন তার স্ত্রী, দুই ছেলে আর দূর সম্পর্কের এক বোন আর তার মেয়ে নিয়ে রেল কোয়ার্টারে থাকেন। গল্পটি চলতে থাকে তার ছোট ছেলের মুখে। সেই সবার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়। সেখানে জানতে পারি তার মা পাগল প্রায়। বড় ভাই এসএসসি তে ফেল করেছে। আর কুসুম মেয়েটি এবার এসএসসি দিবে। আর আর........... দুঃখিত আমি রিভিউ লিখতে পারছি না। হুমায়ূন আহমেদের বই এর রিভিউ লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না। তারচেয়ে ভালো হয় বই থেকে নেয়া কিছু কথা লিখে দিলে। ইস্টিশন বই থেকে নেয়াঃ- ‌? যারা এমনিতেই রাগী স্বভাবের তিনবার ফেল করার পর তাদের মধ্যেও মোলায়েম ভাব চলে আসে। গলার স্বরও মেয়েলি হয়ে যায়। তিনবার ফেলের এটাই আসল মজা। ‌? বেটাছেলেদের জীবনে একবার মাত্র কাঁদার পারমিশন আছে।Only once. সেই একবারটা একেক জনার জন্যে একেক রকম। ‌? মুরুব্বিদের দোয়া হল লাইফ জ্যাকেটের মতো। লাই জ্যাকেট ছাড়া সমুদ্র পার হওয়া যায় না। দুনিয়াটা হল সমুদ্র। ‌? সুখি মানুষেরা বেশি কথা বলে। ‌? চুল কাটলে সব পুরুষ মানুষকে প্রথম দু'দিন 'বান্দরের' মতো লাগে তারপর ঠিক হয়ে যায়। ‌? পৃথিবীবিতে দু'ধরণের মানুষ আছে _ নদী মানুষ আর পুকুর মানুষ। নদীর পানি বয়ে চলে যায়। নদী মানুষের রাগও বয়ে চলে যায়। পুকুর মানুষের রাগ কমে না। ‌? মানুষের হাসি মুখের দাম _ তিন লাখ টাকা। আর মানুষের বেজার মুখের দাম তিন পয়সা। ‌? মানুষের মুখ দেখে কিছুই বোঝার উপায় নাই। মানুষ খুবই জটিল জিনিস। এরচে যন্ত্র আলো। যন্ত্র দেখে বোঝা যায় যন্ত্র ঠিক আছে না, নষ্ট। ‌? ছেলেরা যেসব খেলা খেলতে পারে। মেয়েরাও পারে। তবে কিছু-কিছু খেলা শুধু মেয়েরা খেলতে পারে। ছেলেরা পারে না। ‌? সুন্দর মেয়ে দেখলে ছেলেদের মাথা ঠিক থাকে না। সুন্দরী মেয়েদের গায়ের বাতাস খাবার জন্য ছেলেরা করে না এমন জিনিস নাই।

হুমায়ুন আহমেদের বই কোনো কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না

ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত । প্রকাশ হয় অক্টোবর ১৯৯৯ এ । একটি কিশোর এর জীবনের নানা কাহিনী নিয়ে উপন্যাসটি লিখা । আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর ইস্টিশন বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজ যে বইটির রিভিও লিখছি সেটি হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘ইস্টিশন’ ।এই উপন্যাসটিতে এক কিশোর তার নিজের গল্প বলে। কিশোরটির নাম ‘টগর’। সেই কিশোরের জীবনের নানা ঘটনা উঠে এসছে এ উপন্যাসে । সে ক্লাস সিক্সে পড়ে। তার বাবা ষ্টেশন মাস্টার। মা অসুস্থ, মাঝে মাঝেই তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। টগরের ভাই রঞ্জু দুইবার ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফেল করার পর ঠিক করেছে সে পড়ালেখা করবে না। সবকিছু ছেরেছুরে সে ঠায় নে এক পীরের কাছে। পরিনত হয় তার প্রিয় শিষ্যে। সে সিগারেট খায়, সে উদ্ধত। এত কিছুর পরেও পাঠকের তার প্রতি এক স্নেহ জেগে উঠে। রঞ্জুকে তাই আপনাদের অনেকের ই ভালো লাগবে। উপন্যাসের অন্যতম আকর্ষণীয় চরিত্র টগরের দূর সম্পর্কের বোন ‘কুসুম’। কুসুমের রহস্যময়ীতার জালে ধরা পড়ে টগরের বড় ভাই রঞ্জু এবং এক ইঞ্জিনিয়ার। টগরের ও উৎসাহের কমতি ছিল না কুসুম আপুকে নিয়ে। একবার কুসুম আপু তাকে বলে তার বুকের মাঝখানে নাকি একটা চিহ্ন আছে যার জন্য সব পুরুষেরা তার কাছে হার মানে। টগরের সেই চিহ্নটা দেখার খুব ইচ্ছে করে।কিন্তু কুসুম খুব ই মেধাবী। সে এইবার ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে চতুর্থ হয়েছে। ভালবাসা,মায়া,ছলচাতুরি,অকপটে কথাবার্তা ও তীক্ষ্ণ বাস্তব জ্ঞান কুসুমের স্বভাবজাত।উপন্যাসের নাটকীয় পরিনতি সবার দৃষ্টি কাড়বে। শেষ অংশে লেখক ‘ইস্টিশন’ নামটির দর্শন খুব সুন্দর ভাবে বলেছেন। জীবনটাকে যদি একজন কিশোরের দৃষ্টিতে দেখতে চান সেক্ষেত্রে এ বইটি হবে আপনার অন্তরঙ্গ সঙ্গী। আপনার সুন্দর এক সময় কাটুক বইটির সাথে।