User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ মানেই সেরা
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটা বই।❤️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বইটিতে হিমু বড় হওয়া, ও তার অদ্ভুত কাজ করার কারোন বলা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
HUMAYUN AHMED IS GENIUS
Was this review helpful to you?
or
বই টা ভালো ছিল
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনে প্রথম বই পড়া শুরু করি এই বইটা দিয়ে, বইটা পড়ার পর থেকে আমার বইয়ের প্রতি নেশা বেড়ে যায়৷ সেই নেশা থেকে অজস্র বই পড়েছি এবং নিজের সংগ্রহে ২০০+ বই জমা করেছি৷ সত্যিই হুমায়ূন আহম্মেদে গল্পের জাদুকর ??
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটি বই এবং পেজ কোয়ালিটি অনেক সুন্দর । ধন্যবাদ রকমারি
Was this review helpful to you?
or
a nice book, my favourite ?
Was this review helpful to you?
or
zoos ekta boi
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই: ময়ূরাক্ষী লেখক : হুমায়ুন আহমেদ "ময়ূরাক্ষী" পড়ার পর এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছিলো। ঠোঁটের কোনে এক অন্যরকম হাসি। কেমন মহাপুরুষ হতে ইচ্ছে করছিলো। যারা সাধারন মানুষ নয়, অসাধারণ। "ময়ূরাক্ষী" হুমায়ূন আহমেদের "হিমুসমগ্র" এর প্রথম উপন্যাস। বইটি ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়। "ময়ূরাক্ষী” দিয়েই হুমায়ুন আহমেদ হিমু কে সবার সামনে এনেছেন। হিমু মূলত একজন বেকার যুবক। যার আচরন বেখেয়ালি ও ছন্নছাড়া টাইপ। সে পার্থিব বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন ভাব প্রকাশ করে। চাকরির সুযোগ থাকলেও সে চাকরি কখনো করে না বলেই সে বেকার। তার চরিত্র উদ্ভট। তার উদ্ভট চরিত্রের মধ্যে একটি হচ্ছে সে হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে রাস্তাঘাটে দিন-রাত ঘুরে বেড়ায় এবং মাঝেমাঝে ভবিষ্যৎদ্বানি করে মানুষকে চমকে দেয়। তার একনিষ্ঠ ভক্ত বাদল। তার খালার ছেলে। সে হিমু হতে চায়। উপন্যাসে হিমুর একটা নদী আছে। নাম ময়ূরাক্ষী। তার নানা কর্মকান্ডের মাঝে এই কাল্পনিক নদীটা তাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দেয়। সেই নদীতে সে তার প্রিয়জনদের নিয়ে যায়। তার বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলেকে মহাপুরুষ বানানোর। সেজন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। মায়া কাটানো শিখার জন্য একটা টিয়া পাখিকে গলা টিপে হত্যা করেন। তার মাকেও তিনিই হত্যা করেন। উপন্যাসে রয়েছে তার পারিবারিক নানা বিষয়, তার বাবার স্বপ্ন পূরণের কথা, বাদল, মীরার কথা, হিমুর ছন্নছাড়া জীবনের স্রোতে ভেসে যাওয়ার ইচ্ছের কথা, ফোনে কথা বলার প্রতি তার ভাল্লাগার কথা, রুপাকে বারবার তাদের বাসায় যাওয়ার কথা বলেও না যাওয়ার কথা। কারন সে মনে করতো ভালোবাসার মানুষদের খুব কাছে যেতে নেই। তাদের থেকে দূরে থাকতে হয়। হিমু অনেকটা অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিল। তার দু-একটা অলৌকিক কাহিনীর কথা বলা যাক। এরমধ্যে একটা হচ্ছে- সে না জেনেই বলেছিল রুপা সেদিন গাড়ি করে আসেনি, হলোও তাই। কেননা রুপাদের গাড়ি গ্যারেজে ছিল। রুপাদের গাড়ির নাম্বার - লাল গাড়ি ( ঢাকা - ৮৭৮২)। সেটাও মিলে যায়। আরেকটা হচ্ছে- সে রুপাকে বলেছিল তার ব্যাগে আছে ১০০ টাকার নোট ২ টা, ১ টা কুড়ি টাকার নোট, এক টাকার নোট আছে ৭ টা, আর কিছু কুচড়া পয়সা। এটাও অলৌকিকভাবে মিলে যায়। উপন্যাসের কিছু উক্তি - ১. যা পাওয়া যায় না তার প্রতি মানুষের আগ্রহের সীমা থাকেনা। যেমন আমরা কখনো আকাশ স্পর্শ করতে পারি না। মেঘ আমরা কখনো স্পর্শ করতে পারি না। পারিনা বলেই মেঘের প্রতি মমতার আমাদের সীমা নেই। ২. চারিদিকে এতো সব সাধারণ মানুষ কেউ একজন থাকুক না যে সাধারণ নয় অসাধারণ। ৩. মহাপুরুষেরা বিয়ে করেনা। সারাজীবন চিরকুমার থাকে। বিয়ের পর যারা মহাপুরুষ হয় তারা স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যান। যেমন বৌদ্ধদেব। * উপন্যাসের প্রথম লাইন- এ্যাই ছেলে এ্যাই। আমি বিরক্ত হয়ে তাকালাম। * উপন্যাসের শেষ লাইন- আমাকে তো আর দশটা সাধারণ ছেলের মতো হলে চলবে না। আমাকে হতে হবে অসাধারণ। আমি সারাদিন হাঁটি। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার তো কথাও নয়। রিভিউ: জান্নাতুল জুঁই
Was this review helpful to you?
or
Awesome book
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি অনেক সুন্দর এবং বইয়ের কোয়ালিটিও অনেক অনেক ভালো
Was this review helpful to you?
or
মহাপুরুষ হওয়ার চেষ্টায় রহস্য তৈরি করে আশেপাশের সবাইকে দ্বিধায় ফেলে দেয়া এক চরিত্র হিমু। খাড়া দুপুরে রোদে হেটে কিংবা ভবিষ্যৎবানী করে সে কাজটা হয়তো ভালোভাবেই করেছেন হিমু। বাবার ইচ্ছা ছিলো মহাপুরুষ হবে হিমু, সেজন্য চেষ্টা করেছিলেন যতটা সম্ভব কষ্ট দিয়ে তাকে সে পথে অগ্রসর করা কেননা সীমাহীন কষ্টই একজনকে মহাপুরুষ বানিয়ে দিতে পারে।হিমু চরিত্রের মাধ্যমে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন জীবনের প্রতি আকাঙ্খা যত কম,জীবন যত সুন্দর। "আমি সারাদিন হাটি। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার তো কথাও নয়।"-হিমু
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই। যারা হিমু পছন্দ করে তাদের ভালো লাগবে। বইয়ের কোয়ালিটি ঠিক আছে।
Was this review helpful to you?
or
Very good
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই
Was this review helpful to you?
or
nice boook ❤️❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটি গন্তব্যের শুরু!
Was this review helpful to you?
or
সবগুলো বই ভালো লেগেছে। তবে বই অনুযায়ী দামটা একটু বেশি লাগে ?
Was this review helpful to you?
or
The masterpiece!
Was this review helpful to you?
or
best service
Was this review helpful to you?
or
Osadharon
Was this review helpful to you?
or
আমি সর্ব প্রথম হিমু চরিত্র দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ কে চিনি
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই
Was this review helpful to you?
or
Bhalo chilo..
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের "ময়ূরাক্ষী" গল্পের মাধ্যমেই আমার হিমু চরিত্রের সাথে পরিচয়।এটা পরার পর থেকে আমি হিমু চরিত্রের ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।ধন্যবাদ হুমায়ূন আহমেদ স্যারকে বাংলা সাহিত্যে এমন এক চরিত্রের সৃষ্টি করার জন্য ❤️❤️❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
Just wow
Was this review helpful to you?
or
মাঝে মাঝে মানুষকে তীব্র আঘাত করতে ভালো লাগে। কঠিন মানসিক যন্ত্রণায় কাউকে দগ্ধ করার আনন্দের কাছে সব আনন্দই ফিকে। হুমায়ূন আহমেদ
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
onk valo ekta book. rokmari theke book kine satisfied.?
Was this review helpful to you?
or
best books moyurakkhi and peradoscical sajid
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ, রকমারি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে বইটি সুন্দরভাবে, পরিপাটি ও যত্ন করে পৌঁছে দেয়ার জন্য। রকমারি এভাবেই ক্রেতাদের আমানত রক্ষা করে, সেবা দিয়ে যাবে এই আশাই করি।।।
Was this review helpful to you?
or
Best book forever
Was this review helpful to you?
or
সেরা ছিল....
Was this review helpful to you?
or
came in Good Condition, delivery was a little late due to pandemic
Was this review helpful to you?
or
Humayon Ahmed is the best Author. ..
Was this review helpful to you?
or
বাহ,হিমু সম্মন্ধে জানার অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই,,, বই টি আমার খুব পছন্দের,,,,,❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️ ❤️❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটা বই।বইটি যেকোনো আনপড়ুয়াকে পড়ুয়া বানানোর ক্ষমতা রাখে
Was this review helpful to you?
or
my favorite
Was this review helpful to you?
or
Nice Book
Was this review helpful to you?
or
satisfied
Was this review helpful to you?
or
আমি তেমন একটা বই পড়িনা কিন্তু হুমায়ূন আহম্মেদ স্যারের বইগুলো আমার থেকে অনেক ভালো লাগে পড়তে।
Was this review helpful to you?
or
ইউ টিউবে ময়ূরাক্ষী বইটির অডিও শুনেছিলাম ১৮ মিনিটের মতো। তারপর বইটি কেনা। আজ পড়ে শেষ করলাম। বলার ভাষা নেই। ময়ূরাক্ষী বইটির সাথে দরজার ওপাশে বইটিও অর্ডার দিয়েছিলাম। কালকে থেকে সেটা পড়বো। আশা আছে সবকয়টি বই পড়বো হিমু সিরিজের
Was this review helpful to you?
or
very nice book
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। হিমু সিরিজ এর বাকি বই গুলিও পড়ার ইচ্ছা আছে। কেনার জন্য রেকমেন্ড করছি।
Was this review helpful to you?
or
Cool
Was this review helpful to you?
or
ডেলিভারি পেতে কোনো সমস্যা হয়নি । আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে সব সময় রকমারির ডেলিভারি পার্টনার ভালো লেগেছে । আর বই দুটোর বিল্ড কুয়ালিটি ও ভালো ছিলো । রকমারি কে দশ এ দশ দিলাম । তবে আশা করবো ডেলিভারি চার্জ টা কমানো হবে ।
Was this review helpful to you?
or
Fantastic book
Was this review helpful to you?
or
অবসর সময় কাটানোর সেরা বই।
Was this review helpful to you?
or
হিমু সিরিজ এর প্রথম বই!
Was this review helpful to you?
or
❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
Excellent book of Himu series.
Was this review helpful to you?
or
হিমু সিরিজ এর প্রথম বই। বাকিটা ইতিহাস। 3
Was this review helpful to you?
or
প্রিও বই গুলির তালিকায়া তুলে নিলাম !
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
বলতে গেলে এই বইটা পড়েই হিমু সিরিজের ভক্ত হয়েছি। পড়ার মতো একটা বই। এই বইটার হাত ধরেই হিমু সিরিজের ভক্ত আমি।❤️
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
সেরা
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর একটা বই।?
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি
Was this review helpful to you?
or
HUMAYUN AHMED IS BEST WRITER IN ASIA
Was this review helpful to you?
or
হিমুকে চেনা এই বইয়ের মাধ্যমে ?
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
হিমু সিরিজের প্রথম বই সেই...?
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে তবে ভেবেছিলাম আরো ভালো হবে ?
Was this review helpful to you?
or
Ki r Bolbo . Always Best
Was this review helpful to you?
or
Wow
Was this review helpful to you?
or
সব লিখা কেনো জানি একরকম ই মনে হয় উনার।
Was this review helpful to you?
or
GOOD
Was this review helpful to you?
or
MY Favourite seris... I love this... Humahun ahamed sir Is the best?????
Was this review helpful to you?
or
দারুণ লাগছে বইটা।অনেক সুন্দর গল্প।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন! হুমায়ূন স্যার এর হিমু আবিষ্কারের প্রথম বইটি।
Was this review helpful to you?
or
এমন একটি বই-যা না শেষ করে আপনার উঠতেই মন চাইবে না।একটার পর একটা রহস্য এবং সেই সব রহস্যের মনে দাগ কাটানোর মত উন্মোচন।এই একটা বই পড়েই সম্পূর্ণ হিমু সিরিজ পড়ার ইচ্ছা জেগে গিয়েছে আমার মনে?
Was this review helpful to you?
or
nice...
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
হিমুর প্রথম বই ''ময়ূরাক্ষী'' । ময়ূরাক্ষী হিমুর কল্পনার রাজ্যের একটি নদীর নাম। বইটি পড়ে খুবই ভাল লাগল। একটি দিক সবচেয়ে ভাল লাগল হিমুর পিশাষ শ্রেণীর মামাকে যখন কোপ দেয়া হয়। তিনি হাসপাতালে না গিয়ে পুলিশকে তার খুনির নাম বলে দেয়, যদিও তারা আসল খুনি নয়। এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাকে বলা হয় আর কি। মৃত্যু পথযাত্রি কারও কথা তো পুলিশ মিথ্যা বলে এরিয়ে যাবে না।
Was this review helpful to you?
or
"ময়ূরাক্ষী" উপন্যাসটি দিয়েই হিমুর সাহিত্যযাত্রার শুরু, এবং আমি এই সিরিজ পড়া শুরু করবার আগেই সে সবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো। ময়ূরাক্ষী উপন্যাসের শুরুতেই সম্ভবত ল্যুসিড ড্রিমিং এর কথা লেখক উল্লেখ করেন, ব্যাপারটা বোঝার পর উপলব্ধি করলাম, এই ক্ষমতা আমার মাঝেও আছে! ব্যস, শুরু হয়ে গেলো আমারও হিমুপ্রিয়তা! হিমুর রসিকতা, বিচারবুদ্ধি, মহাপুরুষ অভিযান, রহস্যময়ীতার সঙ্গে পরিচয় ঘটলে যে কেউই তাঁকে পছন্দ করে ফেলবে। তাই, এখনো পড়ে না থাকলে আমি রেকমেন্ড করবো, শুরু থেকেই শুরু করে ফেলুন লেখকের এই চমৎকার সৃষ্টির সূচনা!
Was this review helpful to you?
or
হিমু সিরিজের এই ময়ূরাক্ষী বইটি আমি একদিনে পড়ে শেষ করেছি। মনে হচ্ছিল শেষ না করে উঠে গেলে হয়তো মজা নষ্ট হয়ে যাবে। জেলে বসেও হিমু কল্পনায় কতদূর চলে যায়। একটা বয়ে চলা নদী, চারপাশটা একদম নীরব, কোথাও কেউ নেই। সেই নদীর তীরে বসে আছে হিমু। নদীর পানি ছুয়ে হালকা মৃদু বাতাস এসে তার গায়ে লাগে। কত সুন্দর উপস্থাপনা। এক বসায় শেষ না করলেতো আর হিমুর সাথে নিজেও কল্পনায় ঢুকা যায় না।
Was this review helpful to you?
or
হিমু সিরিজের প্রথম বই 'ময়ূরাক্ষি' হিমু এমনই এক চরিত্র যে সবার মনে তার প্রভাব ফেলতে পারে ; হোক তা বইয়ের চরিত্রগুলো , হোক তা পাঠক । এক অদৃশ্য মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে ফেলে হিমু । বাবা ছেলেকে মহাপুরুষ বানাবে বলে নাম রাখে হিমালয় । তবে সে যে মাঝে মাঝে সাধারণ মানুষের মতো হতে চায় , সে পারে না ; নিজেকে সামলিয়ে নেয়।ময়ূরাক্ষি হিমুর কল্পনা করা এক নদী যা সে রূপাকেও কল্পনা করতে বলে ।
Was this review helpful to you?
or
মারাত্মক ১ টা বই, খুবই ভালো লাগলো পরে।হিমু সিরিজ এর প্রথম বই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। হিমুর আনমনে হারিয়ে যায় নদীর তীরে,হেটে বেড়ায়। মাঝে মদ্ধেই সে নদীর তীরেচলে যায়। উপভোগ করে সেই মূহুর্তগুলো। এরকমই কিছু অসাধারণ সময়ের কথা উল্লেখ করা আছে এ উপন্যাসে। বইটি আমার অনেক ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
এই ছেলে এই.... বইটা শুরু এভাবে। সাথে আমার প্রথম হিমু পড়া। আর কাকতালীয়ভাবে এটাই সিরিজের প্রথম বই। গল্পটার প্রধান চরিত্র হিমু। আজব তার চালচলন। রহস্যময়। এই গল্পটা পড়লেই প্রেমে পড়ে যাবেন হিমুর। হুমায়ুন আহমেদ তার এক অনবদ্য সৃষ্টি শুরু করেন ময়ূরাক্ষী উপন্যাসের মাধ্যমে।
Was this review helpful to you?
or
ময়ুরাক্ষী পড়ার সময় নিংসন্দেহে হিমু পাঠকদের উপর চেপে বসবে।তারাও খোঁজে রুপার মতো কাউকে, যে তার জন্যে অপেক্ষা করবে। কারণ ভালবাসার মানুষের খুব কাছে যেতে নেই।
Was this review helpful to you?
or
হিমু এবং রূপার পরিচয় এর কাহিনির মধ্যে দিয়ে বইটি এর অনন্যতা অর্জন করে। হিমু সিরিজ এর প্রথম বই হিসেবেও এটি বিশেষ মর্যাদা অ প্রাপ্ত হয়।♥
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন স্যার যে চরিত্র রেখে গেছেন,তা অবিশ্বাস্য।আমার পড়া শ্রেষ্ট বই,আমি নিজেও যে হিমু হইতে চাই।সত্যি বলতেছি,একবার পড়েই দেখুন,আমি শিওর ভুলতে পারবেন না।#হিমু
Was this review helpful to you?
or
এই বই সম্পর্কে আর কি বলবো এই বই সম্পর্কে সবাই জানে ,অত্যন্ত সুন্দর একটা অসাধারণ বই.তবুও যদি না জেনে থাকেন তাহলে বলছি এক কথায় অসাধারণ.আমি অনেকগুলো বই পড়েছি তার মধ্যে আমার অন্যতম পছন্দের বই.পড়লে শুধু পড়তে ইচ্ছা করবে.
Was this review helpful to you?
or
The first book of the Himu series. Really an awesome book! Got to know what Himu is and how he leads his life in a way no one can imagine. There is sure pleasure being mad, which only mad man knows!
Was this review helpful to you?
or
যে বই পড়ে আমি হিমুর ঘোরে বিভোর হয়েছিলাম তার নাম ময়ূরাক্ষী। আচ্ছা, বই সম্পর্কে পরে বলি আগে এই বই কেনার পেছনে গল্প টা বলি৷ আমার প্রিয় বান্ধবী ফেবুতে ময়ূরাক্ষি বইয়ের একটি ছবি দিয়ে আমাকে লিখেছিল gift koro. এত প্রিয় একজন মানুষ সে একটা বই গিফট চেয়েছে আর আমি তাকে দেব না সেটা তো হয় না। আমি তার জন্যে বইটা অর্ডার করলাম আর তাকে গিফট করলাম৷ আর গিফট করার সময় লিখে দিয়েছিলাম, "বই গিফট করা খুব কষ্টের, আর এত সুন্দর বই গিফট করা তো আরও কষ্টের, এই বই টা এখন গিফট করলাম কিন্তু পরে আমাকে দিয়ে দিও"! ??? পরবর্তীতে আমার প্রিয় বান্ধবী আমাকে বই টা না দিলেও আমি পড়ার জন্যে ধার করে এনে আপন করে নিয়েছি। তাকে আর ফেরত দিই নি। আমার গিফট করা জিনিস আমিই নিয়ে নিয়েছি। আসলে বইটা পড়ার পরে আর ফেরত দিতে ইচ্ছা করে নি৷ এত সুন্দর একটা বই নিজের কাছে না থাকলে জীবন অসম্পূর্ন? এবার বইয়ের কথা কথা বলি, ময়ূরাক্ষী হিমু সিরিজের প্রথম বই এবং আমার কাছে এটাই শ্রেষ্ঠ৷ হিমুর বাবার ছেলেকে মহাপুরুষ বানানোর লজিক আর হিমুর জন্যে তার রেখে যাওয়া বাণী গুলো আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। তবে মহাপুরুষ বানানোর জন্যে তার মায়া কাটানোর কান্ডগুলো খুব নৃশংস ছিলো। তবে হিমুর হলুদ পাঞ্জাবি, জোছনা দেখা, রূপা কে নীল শাড়ি পড়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে বলে হিমুর আর রূপাকে দেখতে না যাওয়া এগুলো সবই মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা। ময়ূরাক্ষী পড়ার আগে হিমু সিরিজের কয়েকটি পিডিএফ পড়েছিলাম। কিন্তু আমার তেমন ভালো লাগে নি। কিন্তু ময়ূরাক্ষী পড়েই হিমুর নেশায় নেশাগ্রস্ত হয়ে যাই, আর এখন নেশাগ্রস্তের মতো হিমুসমগ্র পড়ছি।
Was this review helpful to you?
or
ময়ূরাক্ষী নদীকে একবারই আমি স্বপ্নে দেখি। নদীটা আমার মনের ভেতর পুরোপুরি গাঁথা হয়ে যায়। অবাক হয়ে লক্ষ করি কোথাও বসে একটু চেষ্টা করলেই নদীটা আমি দেখতে পাই। তারজন্যে আমাকে কোনো কষ্ট করতে হয় না। চোখ বন্ধ করতে হয় না, কিছু না। একবার নদীটা বের করে আনতে পারলে সময় কাটানো কোনো সমস্যা নয়। ঘন্টার পর ঘন্টা আমি নদীর তীরে হাঁটি। নদীর হিম শীতল জলে পা ডুবিয়ে বসি। শরীর জুড়িয়ে যায়। ঘূঘুর ডাকে চোখ ভিজে ওঠে। ময়ূরাক্ষী – হুমায়ূন আহমেদ
Was this review helpful to you?
or
মন কেড়েছে বইটি আমার
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদকে যদি আজ থেকে ১০০ বছর পড়ে কেউ মনে করে, হিমু ছাড়া সেই স্মৃতি অপুর্ন থেকে যাবে। আর সেই হিমুর যাত্রা শুরু হয় এই বই থেকে। হিমুর চরিত্রকে একটি রিভিউ এর শব্দের মাঝে আটকানো যাবে না। তবে লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর পরিবেশনা ও সাবলীল গল্প বলার ভঙ্গি, নিজেই নিজের তুলনা। সব মিলিয়ে বিভোর করে রাখার মত একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহম্মেদ স্যারের বই গুলো সত্যি অসাধারণ। সারাক্ষণ বসে থাকি কখন স্যারের নতুন বই আসবে তার জন্য। স্যারের এই বই পড়ে অনেক আনন্দ লাগলো। বই পড়ার প্রতি আরও বেশি আগ্রহ জাগায় স্যারের বই গুলো। রকমারি'কে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটা অনলাইনে বইয়ের লাইব্রেরি তৈরি করার মাধ্যমে ঘরে ঘরে পাঠক তৈরি হচ্ছে।
Was this review helpful to you?
or
'ময়ূরাক্ষী' হুমায়ূন আহমেদের লেখা 'হিমু' সিরিজের প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসে ময়ূরাক্ষী একটি নদীর নাম। যেটি হিমু স্বপ্নে দেখেছিল। এই নদীটি শুধু তার। এই নদীর রূপ পরিবেশ তার মনে গেঁথে গেছে। কোথাও বসে কল্পনা করলে সে সহজেই নদীটি দেখতে পারে। হিমুর জীবনের লক্ষ্য মহাপুরুষ হওয়া। ছোটবেলায় সে তার বাবার স্কুলে লেখাপড়া করেছে। যে স্কুলের ছাত্র ছিল মাত্র একজন। আর সেটা হিমু! তার বাবার বিশ্বাস, ট্রেনিং দিয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করা গেলে মহাপুরুষও করা যাবে। হিমুর বাবা চাইত হিমু যেন বড় হয়ে মহাপুরুষ হয়। বাবার স্বপ্ন পূরণে হিমুর পথ চলা। হলুদ পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে হাঁটা ও মহাপুরুষ হওয়ার সাধনা! এছাড়াও উপন্যাসে দেখা যায় অসম্ভব রূপবতী মেয়ে রূপা কে। যে হিমুকে ভালোবাসে। হিমুর জন্য রূপার অপেক্ষার শেষ নেই। হিমুর শৈশব থেকে বড় হওয়ার, হিমুর জীবনে রূপার প্রবেশ ইত্যাদি ভাল করে জানতে হলে পাঠকদের অবশ্যই 'ময়ূরাক্ষী' পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
উম! খুবই ভালো একটা বই ! এত্তো রিভিউ টিভিউ লিখবার পারুম নাহ। বই সুন্দর ঐটাই অনেক। রিভিউ লিখলে পয়েন্ট দিবো এল্লাই লেখতাছি। তার মানে এইটা নাহ যে বই ভালো নাহ। বই অনেক ভালো। ধন্যেপাতা!
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "ময়ূরাক্ষী" রুপা তুমি কি এক্ষুনি একটা নীল রঙের শাড়ি তোমাদের ছাদে উঠে কার্নিশ ধরে নিচের দিকে তাকাবে? তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। একটুখানি দাঁড়াও। আমি তোমাদের রাস্তার সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যাব। জানি রুপা আমার খুব বিশ্বাস করে না, তবুও যত্ন করে শাড়ি পড়ে, চুল বাধে। চোখে কাজলের ছোয়া লাগিয়ে কার্নিশ ধরে দাঁড়ায়। সে অপেক্ষা করে"।আমি কখনো জাই না।
Was this review helpful to you?
or
নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিমু। ভবঘুরে বিশেষ কিছু অতি মানবীয় গুণের অধিকারী হিমু চরিত্রটি। হিমুকে নিয়ে লেখা হয়েছে 25 টির মতো বই। আর এই সিরিজের প্রথম বইটি হল ময়ূরাক্ষী। উপন্যাসটিতে দেখা যায় হিমু তার কল্পনায় একটি নদীর চিন্তা করে। যখনই সে রূঢ় বাস্তবতায় হাঁপিয়ে ওঠে তখনই কল্পনার সেই নদীতে চলে যায় সে। নদীর জলে পা ভিজিয়ে রাখে। অনুভব করে কাল্পনিক সুখ। হয়তোবা কঠিন বাস্তবতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না কিন্তু বাস্তব জীবনের মুখোমুখি দাঁড়ানোর শক্তি পাওয়া যায়
Was this review helpful to you?
or
"ময়ূরাক্ষী" হুমায়ুন আহমদের খ্যাতিসম্পন্ন "হিমু সমগ্র"- এর প্রথম উপন্যাস। এ উপন্যাসটির নাম হিমুর স্বপ্ন রাজ্যের ময়ূরাক্ষী নদীর নামকরণে দেয়া হয়। হিমুর শৈশবে একদিন ক্লাসে মফিজ স্যার একটা নদীর নাম জানতে চায়? হিমু ক্ষীণস্বরে বলে, আড়িয়াল খাঁ! এটা শুনে স্যার রাগে হিমুকে একটা চড় মেরে বসে। ক্লাস শেষে স্যার হিমুকে তার কাছে যেতে বলে এবং আদর করে আবার জিজ্ঞাসা করে একটা সুন্দর নদীর নাম। তখন হিমু ময়ূরাক্ষী নদীর নাম বলে। তার কিছুদিন পর রাতে স্বপ্নে তার ময়ূরাক্ষী নদীকে দেখে। এই থেকে হিমু নিজের জন্য আবিষ্কার করে ময়ূরাক্ষী নদী। হিমুর কান্ডকারখানা অনেকের কাছে রহস্যময় লাগে। হিমুকে আর কেউ পছন্দ না করলেও হিমুর ফুফাতো ভাই বাদল হিমুর শিষ্য হিসেবে নিজেকে মনে করে। ফুপার সাথে হিমুর অদ্ভুত সম্পর্ক পাঠকদের অবাক করে দেবে। এভাবেই আমরা হিমুকে একটু একটু করে চিনবো। তার শৈশব থেকে শুরু করে তার বড় হওয়া দেখবো। ময়ূরাক্ষী উপন্যাস দ্বারা হিমুর পথচলা শুরু। এই পথ চলা কখনো আনন্দের, কখনো ভালোবাসার, কখনো অনেক দুঃখময়।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
I love to read all humayun ahmed books.Among them Misir Ali and Himu is the best character I have ever read.Himu is an executive character. I have read almost all books of Himu.Himus all books are amazing.Himu is an great and unique character. I want everyone to read this book. And I am sure you will definitely love it.
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার ছিল বইটা!
Was this review helpful to you?
or
One of the first books I've ever read by the legend himself, Humayun Ahmed. Brings me back so many memories! The way this book hooks you in and you just keep reading it until it ends is unbelievable! Such a brilliant book by such a brilliant writer.
Was this review helpful to you?
or
হিমু আর হুমায়ূন আহমেদের মধ্যে আমি কোনো মিল খুঁজে পেলাম না এই বইটা পড়ার পর। কিছু জায়গায় বাস্তব জীবনের সাথে ভিষন অমিল মনে হয়েছে। তবে বইটা পড়ে আনন্দ পেয়েছি অনেক। আমার মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ স্যার এখন বেঁচে থাকলে উনার সৃষ্ট হিমু নিয়ে কিছু বলতে পারতাম। কিন্তু উনি আর নেই। তাই এমন হিমু ও খুব একটা খারাপ না।
Was this review helpful to you?
or
এই বইয়ের মাধ্যমেই আমাদের মাঝে হিমুর আত্মপ্রকাশ। এই বইটিই প্রথম পাঠকদের মনে হিমু নামে এক অবাক চরিত্রের জন্ম দেয়। হিমুর সকল বইই অনেক চমৎ কার হলেও এই বইটি তাদের মাঝে সেরা।
Was this review helpful to you?
or
হিমু । যিনি মিসির আলীর সম্পূর্ণ বিপরীত স্বভাবের মানুষ। মিসির আলী যেমন যুক্তির পেছনে ছুটেন সেখানে হিমুর গল্পের প্রেক্ষাপট রচিত হয় যুক্তিহীনতায়। তবু দুই মেরুর দুই চরিত্রের মাঝে রয়েছে সমান জাদুর টান। কারণ গল্পের জাদুকর তো একই জন! হুমায়ুন আহমেদ! হুমায়ুন আহমেদের প্রথম হিমু সিরিজের উপন্যাস হল ময়ূরাক্ষী! যারা হিমুকে পছন্দ করেন তারা নিশ্চিত এই উপন্যাস টি মিস করেন নি! বাই এনি চান্স মিস করে ফেললে অবশ্যই পড়া উচিৎ এই উপন্যাস! হিমুর জগতে বিচরণ করতে এই উপন্যাস হুমায়ূন আহমেদের এক অনন্য সৃষ্টি!
Was this review helpful to you?
or
ব্যাক্তি মালিকানায় কত কিছুই তো থাকতে পারে! তবে নিজের একলার একটা নদী থাকতে পারে সে কথা শুধু হিমু'ই ভাবতে পারে। একজন সুখী মানুষের গল্প। যাকে তৈরি হতে হয়েছে নানান জটিলতার মধ্য দিয়ে। এ এক দারুণ গল্প, প্রত্যেকের প্রত্যাশার অপরুপ মেলবন্ধন আমি বলবো। হিমু হচ্ছে সবার কাঙ্ক্ষিত সেই চরিত্র নিজেকে যার মতো ভাবতে ভালো লাগে।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটি চমৎকার লেগেছে আমার কাছে।
Was this review helpful to you?
or
হিমুর প্রথম আবির্ভাব ঘটে এই " ময়ূরাক্ষী" র মাধ্যমে । ময়ূরাক্ষী অর্থ ময়ুরের চোখ । ময়ূরাক্ষী ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় একটি নদী । তবে হিমুর ময়ূরাক্ষী ভারতের নদী নয় । এই ময়ূরাক্ষী শুধুই তার । হিমুর কথায়,"ময়ূরাক্ষী নদীকে একবারই আমি স্বপ্নে দেখি । নদীটা আমার মনের ভেতর পুরোপুরি গাঁথা হয়ে যায় । অবাক হয়ে লক্ষ করি কোথাও বসে একটু চেষ্টা করলেই নদীটা আমি দেখতে পাই । তার জন্যে আমাকে কোনো কষ্ট করতে হয় না । চোখ বন্ধ করতে হয় । না, কিছু না । একবার নদীটা বের করে আনতে পারলে সময় কাটানো কোনো সমস্যা নয় । ঘন্টার পর ঘন্টা আমি নদীর তীরে হাঁটি । নদীর হিম শীতল জলে পা ডুবিয়ে বসি । শরীর জুড়িয়ে যায় । ঘুঘুর ডাকে চোখ ভিজে উঠে ।" গল্পের প্রধান চরিত্র হিমু । যার একমাত্র লক্ষ মহাপুরুষ হওয়া। জাস্টিস সাহেবের মেয়ে আর তার স্ত্রীর ভুলের কারণে হিমুকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় । আর সেখান থেকেই হিমুর জাদুর শুরু । তার বলা কথায় পাঠক নিজেই হারিয়ে যাবে কল্পনায় । আরো আছে অসম্ভব রূপবতী "রুপা" । যে হলুদ পাঞ্জাবি পড়া, খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো হিমুকে ভালোবাসে । হ্যাঁ হিমু হেটে বেড়ায়, খালি পায়ে হেটে বেড়ায় ।কেন এভাবে হেঁটে বেড়ায়? কেন নানা রকম উদ্ভট আচরণ করে? এসব জানতে হলে আজকে থেকেই পড়া শুরু করুন হিমু ।
Was this review helpful to you?
or
হিমুর অনেকগুলো বই পড়া হয়ে গেলেও 'ময়ূরাক্ষী' বইটি আমি জমিয়ে রেখেছিলাম হিমুর প্রথম বই দেখে একটু দেরিতে পড়ার জন্য। যে আশা নিয়ে পড়ার জন্য আমি হিমু সিরিজের প্রথম বইটি জমিয়ে রেখেছিলাম , সেই আশা এই বইটি পূরণ করেছে। হিমু সিরিজের অন্যতম সেরা এই বইটি 'হিমু' সিরিজের প্রথম বই হিসেবে 'যথার্থ'। 'জীবনবোধ', 'হাসি' -- এই বিষয়গুলো 'হিমু ' সিরিজের অন্যান্য বইয়ের মত এই বইতেও আছে, তবে এই বইতে যে বিষয়টি অন্য বই থেকে বেশি আছে সেটা হল 'কষ্ট' । বইটি শেষ করে ব্যক্তি হিমুর জন্য এক ধরণের 'কষ্ট' কাজ করতে থাকে, এক ধরণের 'ঘোরলাগা কষ্ট' ।
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনে পড়া শ্রেষ্ঠ একটি উপন্যাস যেখানে হুমায়ুন আহমেদ "তাঁর হিমুকে" পরিচয় করিয়ে দেন। ময়ূরাক্ষী নদীটি স্বল্পস্থায়ী হলেও মাঝেমাঝে আমার মনে হয় যেন নদীটি ছাড়া হিমুকে পরিচয় করানো কিছুটা অসঙ্গতিপূর্ণ হয়ে যেত। যে হিমু তাঁর মানসিক ক্ষমতার জেরে এত কিছু ঘটাতে পারে, তাঁর কিছু মানসিক কল্পনা থাকা বাঞ্চনীয়। প্রথমদিন পড়ার সময়ে ক্ষণে ক্ষণে পুলকিত হচ্ছিল যে, কীভাবে একজন মানুষের ভাগ্য এতটা সহায় হয়। মাঝেমাঝে একটু ঈর্ষাও জাগে।
Was this review helpful to you?
or
হিমু সিরিজের প্রথম বই "ময়ূরাক্ষী"....সত্যি দারুণ.....ময়ূরাক্ষী হিমুর কল্পনার এক নদীর নাম...যাকে সে যখন খুশি আনতে ও ভেনিশ করতে পারে...তার তীরে বসে বসে সে কল্পনায় হাজারো কিছু করে ফেলে....হিমু স্বম্পর্কে ভালো করে জানতে হলে প্রথমেই পড়তে হবে বইটি....বইটি পড়লে হিমু কে ভালো করে বুঝা যাবে......অসাধারণ একটি বই....আর হ্যা আমার এইটা পড়ার পর থেকে হিমু হিমু ভাব আসছে...???
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুন #বই_রিভিউ_১২ #ময়ূরাক্ষী #লেখক: হুমায়ুন আহমেদ #বইয়ের_ধরণ: সমকালীন উপন্যাস #প্রকাশনী: অনন্যা #পৃষ্ঠা: ৭৯ #মুদ্রিত_মূল্য: ১৩৫ টাকা #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৮.৫/১০ . . হিমু সিরিজের প্রথম বই 'ময়ূরাক্ষী'। ময়ূরাক্ষী কি? হিমুর কাছে ময়ূরাক্ষী একটি নদীর নাম। যে নদীকে সে মাত্র একবার ই স্বপ্নে দেখেছে। তাতেই নদীটি তার অন্তরে গেঁথে গেছে। সে এখন চেষ্টা করলেই যেকোনো পরিস্থিতিতে নদীটিকে কল্পনায় আনতে পারে। . . হিমুর বাবা চেয়েছিল তাকে মহাপুরুষ বানাতে। এমন মহাপুরুষ যার কোনো মায়া থাকবেনা। যার থাকবেনা জাগতিক কোনো বিষয়ে কোনোরকম আগ্রহ। বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই হিমুর ছুটে চলা। যে ছুটে চলা গন্তব্যহীন। . . ফুফাত ভাই বাদল আর ফুফাতো বোন রিনকি হিমুর দারুন ভক্ত। তারা খুব ভালোবাসে হিমুকে। ফুফার ধারণা তার ছেলে বাদলের মাথা খেয়েছে হিমু। ফুফার সাথে হিমুর দার্শনিক টাইপের কথাও পাঠককে মুগ্ধ করবে। এরপর হিমুর, রুপা নামের একটি মেয়ের সাথে মায়ায় জড়িয়ে পড়া, মীরা নামের এক মেয়ের সাথে মায়াময় সংলাপ এসবে এ দেশের হাজারো হিমুরা মুগ্ধ হতে বাধ্য। . . পাঠকের হিমুর সাথে পথচলা একই সাথে আনন্দ দিবে, বিষাদ দিবে, একই সাথে দিবে ময়ূরাক্ষীর তীরে একাকী হেটে যাওয়ার অগাধ তৃপ্তি। . #হ্যাপী_রিডিং
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : ময়ূরাক্ষী কাহিনী : হিমুকে টুটুল মনে করে, তাঁকে নিয়ে গাড়িতে উঠে মীরা নামের এক মেয়ের মা। মীরা আবার এক জাস্টিসের (এম. সোবহান সাহেব) মেয়ে। কিন্তু, কিছুদূর যেতেই মীরার ভুল ভেঙে যায়। হিমুকে তারা গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। একসময় পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয় হিমু। পুলিশ স্টেশনে নিজের সময় কাটানোর জন্য হিমু নিয়ে আসে তার নিজের বানানো নদী ময়ূরাক্ষী। হিমুর বাবার ইচ্ছে ছিল, ছেলেকে মহাপুরুষ বানানো। তিনি সেই কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেন নি। তার সেই মহাপুরুষ বানানোর বিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্র ছিল হিমু। হিমু তার বাবার সেই স্বপ্নপূরণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একসময়, হিমুর প্রতি ভাল লাগার সৃষ্টি হয় মীরার। কিন্তু, হিমুর তো মায়া সৃষ্টি করা নিষেধ। তাহলে, কিভাবে হিমু মীরার জীবন থেকে সরে আসে? কখনো কি জানতে ইচ্ছে করেছে আপনার, হিমুর সাথে কিভাবে রুপার পরিচয় হয়? তাহলে, এই বই আপনার জন্য। কেননা, এই বইয়ে লেখক খুব সুন্দর করে হিমুর সাথে রুপার পরিচয়ের বর্ণনা দিয়েছেন। হিমুর জন্য রুপার যে অপেক্ষা তাও খুব ভালভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। রিভিউ : হিমু সিরিজের প্রথম বই এটি। প্রথম বই থেকেই হিমুর প্রতি ভাল লাগা সৃষ্টি করে দিয়েছেন লেখক। বই পড়ার সময় আপনি মুগ্ধ হতেই থাকবেন হিমুর প্রতি। এই বই পড়ার সময় কখন আপনি নিজেকেই হিমু ভাবা শুরু করবেন, নিজেও জানবেন না। ইচ্ছে করবে, হিমুর মতই কল্পনাশক্তি দিয়ে নিজের জন্য ময়ূরাক্ষীর মত একটা নদী তৈরী করতে। আর আলাদা একটা ভাল লাগা কাজ করবে রুপার প্রতি। সেই ভাল লাগা বাদ যাবে না মীরার প্রতিও। বই পড়ার সময় কখন যে আপনি নিজেকে হিমু ভেবে, উল্লেখিত স্থানগুলোতে যাবেন টেরও পাবেন না। এই বই বারবার পড়ার পরও আপনার কাছে বইটি বিরক্তিকর মনে হবে না। বরং প্রতিবারেই বের করবেন, হবে মুর অজানা অনেক তথ্য। ওভারঅল, অনেক ভাল বই এটা। আমাকে প্রতিবারেই মুগ্ধ করে পড়ার সময়। প্রিয় কিছু উক্তি : ১. ভালোবাসার মানুষদের খুব কাছে কখনো যেতে নেই। ২. কঠিন মানসিক যন্ত্রণায় কাউকে দগ্ধ করার আনন্দের কাছে সব আনন্দ ই ফিকে। ৩. যা পাওয়া যায় না, তার প্রতি মানুষের আগ্রহের সীমা থাকে না লেখক : হুমায়ুন আহমেদ ধরণ : উপন্যাস মোট পৃষ্ঠা : ৭১ প্রকাশনী : অনন্যা প্রচ্ছদ : খালিদ হাসান মূল্য : ১০৪ টাকা ( ২৩% ছাড়ে) ১ম প্রকাশ : মে, ১৯৯০ রকমারি রেটিং : ৪.৫ /৫ পার্সোনাল রেটিং : ৯.৫ /১০
Was this review helpful to you?
or
কিছু গল্প আছে যার ধারা পাঠককে বইয়ের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। যে বইটি সম্পর্কে বলতে চলছি তা এমনি একটি গল্প যার ধারা আপনাকে মোহিত করবে। হৃদয়ের কোণে লুকিয়ে থাকা মুক্ত সত্তাকে নাড়া দেবে, নিঃশব্দে বলে যাবে অনেক কিছু ।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর তৈরী এক চরিত্র হলো হিমু।যে খালি পায়ে হাটে, হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে।আমার খুব প্রিয় একটা চরিত্র হলো হিমু।গল্পে হিমু মুখ ভর্তি দাড়ি গোফ নিয়ে এবং তিনটা পান খেয়ে দাত লাল করে রাস্তায় হাটছেন। তাকে দেখে এক মহিলা টুটুল বলে ডাক দিলেন।ওই মহিলা ভাবলেন যে হিমু তাদের পরিচিত টুটুল।হিমু তা বুজতে পেরে হাসলো যাতে বুজতে পারে যে ও টুটুল না।কিন্তু মহিলা ভাবলেন যে ওই ই টিটুল।তাই তাকে গাড়িতে উঠায়। মহিলার মেয়ে মিরা বুজতে পারে যে ও টুটুল না।তাই তাকে নামাতে গেলে হিমু রাগ দেখায়।ফলে তাকে পুলিশে দেয়।থানায় সে বসে থাকে কারন এখন পর্যন্ত তার নামে কেইস করে নি।হিমুর একটি নদী আছে।নদীর নাম হলো ময়ূরাক্ষী।সে নদী নিয়ে ভাবতে শুরু করে দেই থানায় বসে বসে।হিমু কেবল তার প্রিয় মানুষ দের ই কেবল এই নদী ব্যবহার করতে দেই।পরে সেই মেয়ে অথ্যা মিরা ফোন দিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে বলে।তারা অভিযোগ করবে না।তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।সে থানা থেকে বের হয়ে উপস্থিত হয় ওর বড়ফুফুর বাসায়।বাদল তাকে দেখে অনেক খুশি হয়।সেখানে গিয়ে জানতে পারে যে ওর ফুপাতো বোন রিনকির বিয়ে।যদিও যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে সে খাটো তাও সবাই এই বিয়ে নিয়ে খুশি আ। শুধু মাত্র ফুপা বাদে।ছেলে অবশ্য অনেক ভালো।হিমু ফুফুর বাসা থেকে মিরা কে ফোন দেয়।দিয়ে বলে যে ওকে পুলিশরা অনেক মেরে। হাসপাতালে আসা লাগসে হিমুর।যদিও সব মি। হিমুর অনেক মিথ্যা কথা বলে।মিরা যখন হাসপাতালের নাম যানতে চায় তখন হিমু ইচ্ছা করে ফোন রেখে দেয়।হিমুর কাজ ই অবশ্য এই রকম ই।হিমু সে তার বাবার সপ্ন পুরন করার জন্য রাস্তায় রাস্তায় হাটে।হিমুর মনে হয় ওর বাবার মধ্যে কিছুটা পাগলামি ছিল।কারন কেউ তার ছেলের নাম হিমালয় রাখে না।মহাপুরুষ বানাতে চায় না।এবং মারা যাওয়ার সময় বলে গেছেন যে হিমু যেন ওর মামাদের সাথে থাকে।কারন তারা পিশাচশ্রেনির।এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায়।ঘুম থেকে উঠে দেখে ফুফুর মন খারাপ।এর কারন হলো রিনকির যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে সে গত রাতে রিনকির সাথে গল্প করেছে বাসায় থেকে।তাই এখন যদি কোনো কারনে বিয়ে ভেংগে যায় তখন কি হবে?সেদিন ই বিয়ে হয়ে যায়।যদিও হিমু এইক্ষেত্রে সাহায্য করেছে।হিমুর মতে রিনকির কোনোদিন কষ্ট আসবে না কারন তাকে সে তার ময়ূরাক্ষী নদী ব্যবহার করতে দিয়েছে।তার মতে যাকে সে এই নদী ব্যবহার করতে দেয় তার কোন কষ্ট আসবে না।এই কথা রিনকিকে বললে সে এর কিছুই বুঝে না।এই গল্পে মজিদ এর কথাও উল্লেখ করেছেন লেখক যার কোন কিছু তেই আগ্রহ নেই।হিমু পর্যন্ত অবাক হয় যে একটা মানুষ কিভাবে এত ভাবলেশহীন হয়।এই বইতে রুপার কথাও বলেছে লেখক একজন হিমু ভক্ত হয়ে জানার খুব ইচ্ছাছিল যে রুপা আর হিমুর দেখা হয়েছে কি করে যা এই বইটাতে উওর পেয়ে। হিমুর পাঠকদের এই বই অবশ্যই পড়া উচিত।কারন এই বই পড়ে অনেক অজানা কিছু জানা যাবে হিমু সম্পর্কে।তাই সবাইকে আমি এই বইটি পড়ার জন্য বল। এই বইটা হিমুর সব পাঠকদের ভালো লাগবে এই আমার বিশ্বাস
Was this review helpful to you?
or
হিমুর শুরু
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ৪ বইঃ ময়ূরাক্ষী লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ক্যাটাগরিঃ সমকালীন উপন্যাস মূল্যঃ ১১৯ টাকা প্রকাশনীঃ অনন্যা লেখক পরিচিতিঃ কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বিশাল সাহিত্য ভান্ডার বাংলা সাহিত্যের অনন্য সম্পদ। তার সৃষ্ট চরিত্র হিমু, মিসির আলী ও শুভ্র বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র। হলুদ পাঞ্জাবি পড়া কোনো যুবক যখন চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যায় মনে পড়ে যায় হিমুর কথা, মনে পরে যায় হুমায়ূন আহমেদের কথা। হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য যুবকদের বৃষ্টি আর জোছনাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন, তরুণীদের অবলীলায় প্রেমে পড়তে শিখিয়েছে কাহিনী সংক্ষেপেঃ ময়ূরাক্ষী হুমায়ূন আহমেদের লেখা হিমু সিরিজের প্রথম উপন্যাস। ১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত হলে বিশেষ করে তরুণদের কাছে ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই জনপ্রিয়তার হাত ধরেই হিমু সিরিজের সূচনা! ময়ূরাক্ষী অর্থ ময়ূরের চোখ হলেও উপন্যাসে ময়ূরাক্ষী একটি নদীর নাম। যেটি হিমু স্বপ্নে দেখেছিল। এই নদীটি শুধু তার। এই নদীর রূপ পরিবেশ তার মনে গেঁথে গেছে। কোথাও বসে কল্পনা করলে সে সহজেই নদীটি দেখতে পারে। সে নদীর পারে ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটতে পারে, নিজেকে শীতল করতে পারে। গল্পের প্রধান চরিত্র হিমু তার জীবনের লক্ষ্য মহাপুরুষ হওয়া। ছোটবেলায় সে তার বাবার স্কুলে লেখাপড়া করেছে। যে স্কুলের ছাত্র ছিল মাত্র একজন। আর সেটা হিমু! তার বাবার বিশ্বাস, ট্রেনিং দিয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করা গেলে মহাপুরুষও করা যাবে। হিমুর বাবা চাইত হিমু যেন বড় হয়ে মহাপুরুষ হয়। বাবার স্বপ্ন পূরণে হিমুর পথ চলা। হলুদ পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে হাঁটা ও মহাপুরুষ হওয়ার সাধনা! এই বয়সে মেয়েদের একটা নতুন চপলতা, লালিত্য ভাব আসে। অসাধারন সুন্দর লাবণ্য ময় হয় তারা। তারা হয় খুজে একজন ৫ বছরের বড় প্রতিষ্ঠিত প্রেমিক, নয়তো সেই অমিত কে, নয়তো সেই হিমুকে। যে নাকি কখনোই তার মন মত কাজ করবে না। আর ঠিক সেই বয়সের ছেলেরাই-তাদের প্রেমে পড়বে। হলুদ পাঞ্জাবী পড়বে, আজকাল অবশ্য বাইক চালায়, সেন্ডেল এর যুগ শেষ। পিছনের সিটটা খালি রেখে ঘুরে বেড়াবে। হিমুর বই পড়ে নির্লিপ্ততার বয়স তারই। এছাড়াও উপন্যাসে দেখা যায় অসম্ভব রূপবতী মেয়ে রূপা কে। যে হিমুকে ভালোবাসে। হিমুর জন্য রূপার অপেক্ষার শেষ নেই। হিমুর শৈশব থেকে বড় হওয়ার, হিমুর জীবনে রূপার প্রবেশ ইত্যাদি ভাল করে জানতে হলে অবশ্যই ময়ূরাক্ষী পড়তে হবে। এই বইটি তে লুকিয়ে আছে হিমু সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য। যা হিমু প্রেমিদের জানা আবশ্যক। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বইটা আসলেই অনেক ভালো লেগেছে, অনেক ভালো লাগার বই, প্রিয় একটা বই। বইটা নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করা সম্ভব না বোধহয়।তবে এতটুকু বলতে পারি পড়লে অবশ্যই সবার ভালো লাগবেই লাগবে।হিমুর মত এমন ভবঘুরে চরিত্র গুলো কেমন যেন মজাদার হয়।
Was this review helpful to you?
or
বই: ময়ূরাক্ষী। লেখক: হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশনী: অনন্যা প্রকাশনী। মূল্য: একশত পঁচিশ টাকা। হলুদ পাঞ্জাবী আর নীল শাড়ি পড়ে ময়ূরাক্ষী উপন্যাসের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে আগমন ঘটে হিমু এবং রূপার। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট অমর চরিত্র এই হিমু-রূপা। যে কোন জটিল সমস্যার সহজ সমাধান এবং পরোপকারী কিন্তু রহস্যময় চরিত্রের বর্ণনায় ঘেরা হিমু্। জন্মের পর যেমন কোন শিশুকে নাম-ধাম, বংশপরিচয় দেওয়া হয় তেমনি হিমুর বর্ণনায় বর্ণিত এই উপন্যাস। চৈত্রের ঝাঁঝালো রৌদ্দুর। একটা নোটবুক, দুইটা বলপয়েন্ট, শিশ ভাঙা পেনসিল আর পাঁচটাকা দামের চিপসে ভরা ব্যাগ নিয়ে তপ্ত পিচ ঢালা পথে হেঁটে চলেছে টুটুল। ইন্দিরা রোডে বড় ফুফুর বাসায় দুপুরের দাওয়াতের বদলে টুটুলের যায়গা হলো রমনা থানায়। জেলে বসে কোন কাজ থাকে না। কোন উপায়ন্তর না দেখে টুটুল ময়ূরাক্ষী নদীটা আবিষ্কার করে নিলো। একবার নদীটা আবিষ্কার করতে পারলে অলস সময় পার করা কোন ব্যাপার না। সমস্ত দুপুর ময়ূরাক্ষীতে ডুব দিয়ে সন্ধায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে টুটুল অথ্যাৎ বাদলের হিমু দা উপস্থিত বড় খালার বাসায়। বাদল হিমুর একনিষ্ঠ ভক্ত। বাদল হিমু মামার সাথে জ্যোৎস্না বিলাসের পর থেকে মাথায় তার ভূত লেগেছে। বাড়ি থেকে পরিক্ষা দিতে বের হয় তো পরিক্ষার হলে প্রবেশ করে না। বইয়ের এক পাতা পড়ে তো সেই পাতা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। মাথা ভর্তি উকুন নিয়ে আগুনের উপর মাথা ঝাকা দেয়। এই অদ্ভুত সব সমস্যার উপর বিষ ভোড়া রিংকি। বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হলো। সেই থেকে পাত্রের সাথে রাজ্যের আলাপ। তারা নাকি দু দিন পর পূর্ণিমা দেখতে যাবে সমুদ্রে। অদ্ভুত সব সমস্যার সমাধান করে দেয় হিমু। বড় খালার বাসার সবাই তার ভক্ত হয়ে পড়ে। মানুষকে বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করার এক বিশেষ ক্ষমতা আছে এই হিমুর মাঝে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তৈরির জন্য যেমন মানুষকে গড়ে তুলতে হয়। মহাপুরুষ হওয়ার জন্যও মানুষকে তেমনি তৈরি করতে হয়। হিমুকে তৈরি করেছে তার বাবা। পৃথিবীর সব জটিল, রুক্ষ পরিস্থিতির মাঝে বড় করা হয়েছে হিমুকে। তার মধ্য কোন আবেগের জন্ম হতে দেননি তিনি। হিমু তার বাবার হাতে তৈরি যোগ্য ছাত্র। রূপা নীল শাড়ী পড়ে অপেক্ষা করছে। হিমু কথা দিয়েছে সে আসবে। কিন্তু যায় না। তাঁকে হাঁটতে হবে সারাদিন। গন্তব্যহীন সে যাত্রা - যার কোন শেষ নেই, কোন শেষ থাকার কথাও নয়। আমাদের সমাজে সকলের মাঝে বেড়ে উঠা সহজ সরল সাধারণ একটা যুবক। যার কোন গন্তব্য নেই। আমাদের ভাষায় যাকে বলে বাউণ্ডুলে। এমন একটা সাধারণ চরিত্রকে অসাধারণ করে চিত্রিত করাই একজন লেখকের লেখার সার্থকতা।
Was this review helpful to you?
or
বই-ময়ূরাক্ষী ( হিমু সমগ্রের প্রথম বই ) লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৭১ মূল্য-১২৫ প্রকাশনাঃ অনন্য প্রকাশনী কাহিনিঃ হিমু, আমাদের চোখে ভেসে ওঠে হলুদ পাঞ্জাবী পরা, খালি পা এর মানুষ , আমার মনে হয় হিমু নাম টা জেনেছিলা আজ রবিবার নাটকে... মুখভর্তি দাঁড়ি , চকচকে হলুদ পাঞ্জাবি, তিনটা পান খেয়ে দাঁত –ঠোঁট লাল করা এক যুবক। এক মহিলা যাকে টুটূল বলে ভুল করে... সেই যুবক আমাদের হিমু। হিমুর পুরো নাম হিমালয়। হিমুর একটা নদী আছে কল্পনার, নাম “ ময়ুরাক্ষী” । ময়ূরাক্ষী , ছোট্ট এক নদী, কাঁচ স্বচ্ছ পানি। নিচের বালি গুলো দেখা যায়, দু ধারে দুব্বাঘাসের চাঁদর। একটা বিশাল ছায়াময় পাকুড় গাছে, ঘুঘুর ডাক।। তবে এই নামে পশ্চিমবাংলাতে বাস্তবিক একটা নদী আছে, এই নদীর কল্পনায় বিভোর হয়ে সে কাটিয়ে দিতে পারে ঘন্টার পর ঘন্টা। হিমুর নিজস্ব বলতে এই নদী, নদীটার নাম ”ময়ূরাক্ষী”। আর আছে বাব্র লিখে রেখে যাওয়া ডায়েরি ... সেই ডায়েরির পাতা ধরে জানব জানা না জানা অনেক কথা। বাবা মা কে হারিয়ে ফুফুর কাছে মানুষ, কিংবা আশ্রিত।। ফুফা-ফুফু ফুফাতো ভাই বোন সব এক এক কিসিমের। গল্পে আসে জাস্টিসের মেয়ে মীরা। আছে রূপা। নদীটা ছাড়াও আরও একজন রয়েছে যাকে হিমু “ময়ূরাক্ষী” বলে ডাকে। সে হচ্ছে রূপা। এই বইয়ে হিমুর সাথে রূপার পরিচয়ের বেশ ভালো মজার একটা বর্ণনা রয়েছে। মীরা নামের মেয়েটা হয়তো এই হিমু কে অথবা টুটুল কে ভালবেসে ফেলে।। কি আছে শেষ পরিণাম???? গন্তব্যহীন পথে কে হাঁটবে??? পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ নদীর নামটি ময়ূরাক্ষী কাক কালো তার জল কোন ডুবুরি সেই নদীটির পায়নি খুঁজে তল… না হিমুর নদীর জল কাক কাল জল না ......। হিমু মানে হলুদ পাঞ্জাবী বা খালি পায়ের খেউ না শুধু...।। হিমু , হিমালয়ের মত বিশাল, চিন্তা ভাবনা , সবার থেকে আলাদা, এই বইটি পড়ে হিমু কে চিনবেন ভেবে থাকলে ভুল, হিমু কে চেনা সহজ না... বইটা আসলে কি বলব জানিনা...। অনেক প্রিয় একটা বই্। ভালো লাগার বই, মাঝে মাঝে মনে হয় ময়ূরাক্ষী নদীটা আমার চাইইইই চাইইই.........হিমুর মত কল্পনাশক্তি দিয়ে নদীটা কে আনতে পারব তো? আমার ও বড্ড ইচ্ছে ময়ূরাক্ষী জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকি............ বইটা নিয়ে আর কোন মনব্য করা আসলে সম্ভব না বোধহয়। ভালো লাগার বই, সবার ভাল লাগবেই লাগবে
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-ময়ূরাক্ষী লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৭০ মূল্য-১২৫ অনন্য প্রকাশনী .... "ময়ূরাক্ষী" দিয়েই হুমায়ুন আহমেদ হিমু কে আমাদের সামনে এনেছেন।"এ্যাই ছেলে এ্যাই " বাক্যটি দিয়ে শুরু হওয়া বইটিতে পাঠক হিমুর সাথে পরিচিত হয়। জাস্টিস সাহেবের স্ত্রী আর মেয়ের সাথে ভুলের কারণে হিমু কে থানায় যেতে হয়। তখন থেকে ছেলেটির কথা বলা পাঠকের একটা সুক্ষ আকর্ষন দখল করে নেয়। তার কিছু পর হিমু পরিচয় করিয়ে দেয় তার ময়ূরাক্ষী নদীর সাথে।এর ইতিহাস পাঠক অজান্তে হিমুর মাধ্যমে কল্পনায় পেয়ে যাবে। হিমুর সাথে সাথে পাঠকের পরিচয় হয় তার গন্ডির সাথে। সেখানে তার ফুফাত ভাই বাদল আর ফুফাতো বোন রিনকি হিমুকে প্রচন্ড ভালবাসে। ফুপার সাথে হিমুর আলাপ সালাপ পাঠকদের অবাক করে দেবে। এর পরেই আমরা একটু একটু করে হিমু কে চিনবো। তার শৈশব থেকে শুরু করে তার বড় হওয়া দেখবো। তার বাবার মহাপুরুষ বানানোর প্রক্রিয়া আমাদের একটু হলেও অন্য অনুভূতি দিবে। এর পর পাবো অসম্ভব রুপবতী রুপাকে। তাকে কি হিমু ভালবাসে? কি জানি... আমাদের অবাক করে দেবে হিমুর হাটা। "আমি সারাদিন হাঁটি। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার কথাও নয়..."। ময়ূরাক্ষী উপন্যাস সৃষ্টির সাথে হিমুর পথ চলা শুরু , কিন্তু পাঠকের অন্ত্যহীন পথের সঙ্গী সে । সেই পথ চলা কখনো আনন্দের, কখনো ভালোবাসার, কখনো অনেক দূঃখময়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করলেন হুমায়ুন আহমেদ। কালজয়ী এই ঔপন্যাসিকের সৃষ্ট চরিত্র হিমু , ওরফে হিমালয়। ময়ুরাক্ষী দিয়ে তার প্রবেশ। গল্পের মূল চরিত্র হিমু। তার সাথে পরিচিত হতে পাঠকের মোটেও খারাপ লাগবে না। উপন্যাসের পুরো ফোকাস যে হিমু , পাঠকের তা বুঝতে বড় জোর মিনিট খানেক লাগবে। এই হিমু আপনাকে আস্তে আস্তে করে নিজের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। আপনি অবাক হবেন কি করে, আপনার সকল মনযোগ এই ছেলেটা নিয়ে গেছে। যখন টের পাবেন ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছে। কেন না ততক্ষনে আপনি আাসক্ত। হুমায়ুন আহমেদ এমন একটা চরিত্র তৈরি করেছেন, যাতে আমাদের অপুরনীয় ইচ্ছা গুলো প্রকাশ পায়। হিমু ভক্ত হতে তখন আর দেরি হয় না। বহুদিন পরেও এই বই ছুয়ে মনে হলো আমারও একটা নদীর দরকার ছিলো যেখানে কিছু টা সময় আমি পার করতে পারতাম। তার অগোছালো কাজ গুলোও আকর্ষনীয় মনে হবে। বইয়ের শেষ পাতা গুলো আরো বেশি আচ্ছন্ন করে দিবে, যেখানে সে তার নদীর তীরে অন্য কাউকে হাটতে দিয়েছে। রূপা কত টা পাঠিকাদের আকর্ষন করতে পেরেছে জানি না। তবে পাঠক দের পুরো মনোযোগ নিয়ে গেছে। তারাও রূপার মতো কাউকে চায়। যে তার জন্য অপেক্ষা করবে কিন্তু সে হিমুর মতো ফাকি দিবে। কেন না ভালবাসার মানুষ এর কাছে বেশি যেতে নেই। তারা অপেক্ষা করুক....
Was this review helpful to you?
or
ময়ুরাক্ষী-বুক মিভিউ। হিমুদের জন্য অবশ্য পাঠ্য বই। এক বইতেই হুমায়ুন আহমেদ তার হিমু সিরিজের আলোক রেখা দিয়ে গিয়েছেন। বুক রিভিউ শেষ। আমার হিমুর বই পড়তে ভালো লাগে না। বিশেষ করে কোন একজনের স্ট্যাটাস দেখার পর থেকে। আমাদের হিমু পরিবহণের একজনের সম্ভবত হিমু হবার চেষ্টা ছিল। বেচারীর মধ্যে কিছু নির্লিপ্ততা এখনো আছে। একটার পর একটা জরুরী মেসেজ সিন করে ফেলে রাখার অভ্যাস। হোক গা-কি আর হবে। তাকে আজ প্রোগ্রামের জন্য স্পন্সর খুজতে হয়। স্বার্থপর হতে হয়-দুনিয়ার সবচেয়ে স্বার্থপরতার জন্য। তারা ক্যান্সারের সচেতনতা করবেন। সেই স্ট্যাটাসটা একটু একটু করে কাজে দিচ্ছে হয়তো। হিমু পড়ার একটা বয়স আছে। ক্লাস ৯ থেকে ১২। এই বয়সে মেয়েদের একটা নতুন চপলতা, লালিত্য ভাব আসে। অসাধারন সুন্দর লাবণ্য ময় হয় তারা। তারা হয় খুজে একজন ৫ বছরের বড় প্রতিষ্ঠিত প্রেমিক, নয়তো সেই অমিত কে, নয়তো সেই হিমুকে। যে নাকি কখনোই তার মন মত কাজ করবে না। আর ঠিক সেই বয়সের ছেলেরাই-তাদের প্রেমে পড়বে। হলুদ পাঞ্জাবী পড়বে, আজকাল অবশ্য বাইক চালায়, সেন্ডেল এর যুগ শেষ। পিছনের সিটটা খালি রেখে ঘুরে বেড়াবে। হিমুর বই পড়ে নির্লিপ্ততার বয়স তারই। বইয়ের একটা ঘোর থাকে না, সেই ঘোরটা অনেক মজার। সেই অলৌকিক ক্ষমতা থাকলে অন্তত সিপিয়ার দিয়ে রোগীটা ফিরে আসত। আর ক্যান্সারের ডাক্তার হিসেবে-রোগীর আত্মীয় স্বজনের লাল চোখ দেখতে কারই বা ভালো লাগে বলেন। শুন-তোর জন্যে কোন একদিন আমি সাদা ফুল নিয়ে আসবো, সেদিন তোর চোখ লাল থাকবে না, তোর বাবা সুস্থ হয়ে বাড়িতে বসে তোকে ফোন দিবে। রুপারা খুব সুন্দরী হতে হয়, হিমুদের বাবা মা থাকতে নেই, মায়া থাকতে নেই, নির্লিপ্ত হতে নেই। হিমুর বাবার কথা মালা আপাতত বইয়েই থাক। আমি বরঞ্চ সাধারন জ্ঞান বই পড়ি, সামনে বিসিএস আছে।
Was this review helpful to you?
or
বইটা সত্যিই অসাধারণ ?। হুমায়ুন আহমেদ এর প্রথম বই পড়লাম "ময়ূরাক্ষী" বইটা দিয়ে। বইটা পড়তে পড়তে এর ভিতরে একদম ঢুকে গিয়েছিলাম। বইটা পড়তে পড়তে নিজের মধ্যে হিমু হিমু একটা ফিল পাচ্ছিলাম ?, মনে হলো হিমুর মতো রহস্যময়, অদ্ভুত, পাগলাটে হয়ে যাই ?। হিমু আসলেই অসাধারণ একটা ক্যারেক্টার ??।
Was this review helpful to you?
or
humayon manei agun?
Was this review helpful to you?
or
এটা হুমায়ূন আহমেদের হিমু সিরিজের প্রথম বই। সমগ্র হিমু চরিত্র এই একটি বইয়ে ফুটে উঠেছে। ময়ূরাক্ষী বইয়ে হিমুর একটা কল্পনার উল্লেখ রয়েছে যে, হিমু যেকোনো স্থানে কল্পনা করে গরম পরিবেশেও ঠান্ডা অনুভূতি বের করতে পারেন। এমন একটি কাহিনী হুমায়ূন আহমেদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া হয়েছে। তখন হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। একদিন তিনি বরিশাল বিএম কলেজে আসেন ভাইভার এক্সটার্নাল হিসেবে। তাকে রাতের বেলা থাকতে দেয়া হয়, এমন একটি রুমে যেখানে ফ্যান ছিল না। রাতের হুমায়ুন আহমেদ গরমে ঘেমে একাকার। এরপর হুমায়ূন আহমেদ শীতল একটি পরিবেশ কল্পনা করতে থাকেন। এবং একসময় তিনি খেয়াল করেন, তার আর গরম লাগছে না, সম্পূর্ণ শীতল একটি পরিবেশ। এখান থেকেই ময়ূরাক্ষী বইয়ের কনসেপ্ট আসে। হিমু সিরিজের প্রথম বই ময়ূরাক্ষী প্রকাশের পর পাঠক সমাজে বেশ হৈচৈ হয়। এরপর তিনি তার বড় মেয়ে শীলার অনুরোধে হিমু সিরিজের দ্বিতীয় বই "দরজার ওপাশে" লিখেন। এরপর এই সিরিজ কন্টিনিউ লিখতে থাকেন। লিখতে লিখতে তার হিমু সিরিজের বইয়ের সংখ্যা সম্ভবত ৩০ বা এর কাছাকাছি।
Was this review helpful to you?
or
khub valo boi
Was this review helpful to you?
or
This book’s so good to read. not as a book of humayun Ahmed sir.....your interest in it will be increased when you read this book. this is one of my best book’s I read .........upper than 15 years old’ everyone can read this.
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা।
Was this review helpful to you?
or
"হিমু"।এক অসাধারণ এবং কনফিউজড চরিত্র। যদি ও হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা প্রথম পড়া বই ছিল আজ হিমুর বিয়ে এবং তখন অনেক ছোট ছিলাম তাই হুমায়ুন আহমেদ কে অ চিনতাম না। সে থেকে ই নেশা ধরেছিল হিমু সমন্ধে জানার এবং শুরু করি ময়ূরাক্ষী থেকে। বই এর প্রতিটি পৃষ্টার প্রতিটি লাইনে আছে নেশা। এক কথায় মনোমুগ্ধকর।
Was this review helpful to you?
or
A brilliant novel! A brilliant protagonist! A brilliant series! Looking forward to this phenomenon called HIMU!! Such an ingenious form of fiction! Really impressed! Startling to Normal to Abnormal, this writing shocked me, made me laughed out loud, at times made me search for solitary moments of my past while comparing it with, and most of all made me really really satisfied as a reader! It has the exact type of irony and sentiment that I think would suit me. . . . . . . . Next Please!! © Soumyabrata Sarkar
Was this review helpful to you?
or
“জানি না, আপনাদের ‘হিমুর’ সাথে পরিচয় আছে কী না! হুমায়ূন স্যারের এক অনবদ্ধ সৃষ্টি! স্যারের লেখা বই গুলোর মাঝে সবচেয় জনপ্রিয় এই সিরিজ! মোট ২৩ বই আছে হিমু সিরিজের, এর প্রথম উপন্যাস হলো ‘ময়ুরাক্ষী’ উপন্যাসটির নাম করন এমন হলো কেনো সে এক মজার ঘটনা! এই উপন্যাসটি হিমু চরিত্রের সুচনা, হিমু কে কেমন কী, তার পরিচয় পাবেন! হিমু হলো এক মহাপুরুষ টাইপেরম চরিত্র, হলুদ পান্জাবী খালি পায়ে হাটে! মাঝে মাঝে উদ্ভুট সব আচরন করে...!! আপনি এই সিরিজের বই গুলো পড়লে অবশ্যই এই চরিত্রের ভক্ত হবেন, নিজে হিমু হতে চাইবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই! এই সিজিরের বই গুলো পড়া শুরু করলে অন্য বই এর প্রতি ভালোবাসা কমে যাবার সম্ভাবনা আছে!! পড়ে দেখুন শান্তি শান্তি লাগবে মনে!!?
Was this review helpful to you?
or
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের "হিমু" সিরিজের প্রথম বই ময়ূরাক্ষী। নাম শুনলেই পড়তে ইচ্ছে করে। কল্পিত ময়ুরাক্ষী নদী এবং হিমুর বাবা, মামা, চাচা, ফুফু ও হিমুর শৈশবে বাবার উপদেশ এই বই এ লেখা হয়েছে। হিমুর নিত্যদিনের চলাফেরা ও কাজকর্ম পাঠকদের আনন্দ দিতে সক্ষম এতে কোন সন্দেহ নাই!
Was this review helpful to you?
or
Boi ta pora onk balo laglo , 1st a gift korar jonno kinsilam , but gift nah kora nijaeee pora fellam. humaun ahmed was legend . always be legend
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ যে কয়েকটি চরিত্র সৃষ্টি করেছেন তার লেখনীতে, হিমু তার মধ্যে অন্যতম সৃষ্টি। আর এই হিমু সিরিজের প্রথম বই ময়ূরাক্ষী। মুলত এই বইটিতেই আত্মপ্রকাশ ঘটে হিমুর। বইটিতে হিমুর বাবার কিছু অমিয় বানী, সাথে রুপার সাথে পরিচয় পর্ব, আবার তার ফুপাতো ভাইবোন তাকে যে পরিমাণ পছন্দ করে সেগুলো অবলীলায় উঠে এসেছে। আশা করি ভালো লাগবে সবার।
Was this review helpful to you?
or
হিমুর অন্যান্য সকল গ্রন্থের মতো হাস্যরসে ভরপুর ময়ুরাক্ষী। আড়িয়াল খা নদীর নাম বলে স্যারের হাতে চড় খাওয়ার পর হিমুর একান্ত নিজস্ব নদী "ময়ুরাক্ষী পাওয়ার যে অসাধারণ বর্ণনা লেখক দিয়েছেন তা আসলেই অতুলনীয়।হিমুর ফুপার ভাষ্যমতে,"You(Himu) are a sick man" হলেও বাংলার পাঠক সমাজের কাছে বহুল কাং্খিত এই হিমু।হিমু সিরিজের অন্যান্য বইয়ের মতো এই বইও সকলের ভালো লাগবে,ইনশাল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
This book is really fun to read and much enjoyable. I'm enjoyed this a lot , thanks to rokomari.
Was this review helpful to you?
or
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের হ্যামিলনের বাঁশিঅলা হুমায়ুন আহমেদ । যার লেখার টানে আবার বইমুখী হয়েছিল বাংলার মানুষজন । আর সেই জাদুর একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল হিমালয় ওরফে "হিমু" । হিমুর প্রথম আবির্ভাব ঘটে এই " ময়ূরাক্ষী" র মাধ্যমে । ময়ূরাক্ষী অর্থ ময়ুরের চোখ । ময়ূরাক্ষী ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় একটি নদী । তবে হিমুর ময়ূরাক্ষী ভারতের নদী নয় । এই ময়ূরাক্ষী শুধুই তার । হিমুর কথায়,"ময়ূরাক্ষী নদীকে একবারই আমি স্বপ্নে দেখি । নদীটা আমার মনের ভেতর পুরোপুরি গাঁথা হয়ে যায় । অবাক হয়ে লক্ষ করি কোথাও বসে একটু চেষ্টা করলেই নদীটা আমি দেখতে পাই । তার জন্যে আমাকে কোনো কষ্ট করতে হয় না । চোখ বন্ধ করতে হয় । না, কিছু না । একবার নদীটা বের করে আনতে পারলে সময় কাটানো কোনো সমস্যা নয় । ঘন্টার পর ঘন্টা আমি নদীর তীরে হাঁটি । নদীর হিম শীতল জলে পা ডুবিয়ে বসি । শরীর জুড়িয়ে যায় । ঘুঘুর ডাকে চোখ ভিজে উঠে ।" গল্পের প্রধান চরিত্র হিমু । যার একমাত্র লক্ষ মহাপুরুষ হওয়া। জাস্টিস সাহেবের মেয়ে আর তার স্ত্রীর ভুলের কারণে হিমুকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় । আর সেখান থেকেই হিমুর জাদুর শুরু । তার বলা কথায় পাঠক নিজেই হারিয়ে যাবে কল্পনায় । আরো আছে অসম্ভব রূপবতী "রুপা" । যে হলুদ পাঞ্জাবি পড়া, খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো হিমুকে ভালোবাসে । হ্যাঁ হিমু হেটে বেড়ায়, খালি পায়ে হেটে বেড়ায় ।কেন এভাবে হেঁটে বেড়ায়? কেন নানা রকম উদ্ভট আচরণ করে? এসব জানতে হলে আজকে থেকেই পড়া শুরু করুন হিমু ।
Was this review helpful to you?
or
Moyurakkhi Is the first book of himu series by Humayun Ahmed. Like The Other books of the series I also like this book very much. this book provides us the story of young himu and what his childhood was like. There is also some memories of his father before he died. The Rupa character was also introduced in this book.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ ময়ূরাক্ষী লেখকের নামঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅনন্যা মূল্যঃ১১৯ টাকা মাত্র এটি হুমায়ূন আহমেদের রচিত 'হিমু' সিরিজের প্রথম বই। ময়ূরাক্ষী এমন একটি উপন্যাস যা আমি ৪ বার পড়েছি। ময়ূরাক্ষী উপন্যাসের নদীকে একবারই নিজের স্বপ্নে অনুভব করে নিয়েছি। নদীটা আমার মনের ভেতর পুরোপুরি গাঁথা হয়ে যায়। অবাক হয়ে লক্ষ করি কোথাও বসে একটু চেষ্টা করলেই নদীটা আমি দেখতে পাই। তারজন্যে আমাকে কোনো কষ্ট করতে হয় না। চোখ বন্ধ করতে হয় না, কিছু না। একবার নদীটা বের করে আনতে পারলে সময় কাটানো কোনো সমস্যা নয়। কথাসাহিত্যের এমন একটি উদ্ভাবনী রূপ! সত্যিই মুগ্ধ! অস্বাভাবিক থেকে শুরু করে অস্বাভাবিক, এই লেখাটি আমাকে চমকে দিয়েছে, আমাকে উচ্চস্বরে হেসেছিল, মাঝে মাঝে আমার অতীতের একাকী মুহুর্তগুলির সাথে তুলনা করার জন্য অনুসন্ধান করতে বাধ্য করেছিল এবং বেশিরভাগই আমাকে পাঠক হিসাবে সত্যই সন্তুষ্ট করেছিল!
Was this review helpful to you?
or
১৯৯০ সালে হিমু সিরিজেরএই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়।এই বইয়ের মাধ্যমে লেখক হিমালয় অর্থাৎ বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় চরিত্র হিমুর আত্নপ্রকাশ করান।অসাধারন একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
আলমারির পুরনো বইয়ের গাদা থেকে উঠে আসা বই এমনেই দেখছিলাম।টেক্সট বইয়ের চাইতে যেকোনো বইই ভালো তাই টাইমপাস এর জন্যই পৃষ্টা উলটানো আর কি।গুপ্তধন বলে যে একটা শব্দ আছে তার অর্থ হয়তো সেদিন বুঝলাম।। হিমুদার সাথে সেই থেকে পথচলা। এখনো মাঝেমধ্যেই যাই উনার সাথে খালি পায়ে হাটতে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ এর ময়ূরাক্ষী বই তা হিমু সিরিজের একটি বই ।হিমু এমন একটি চরিত্র যে খালি পায়ে হাটে , পরনে হলুদ পাঞ্জাবী , সে কখন জঙ্গলে চাঁদ দেখতে যায়। তার কোন চিন্তা নাই । রোদের তাপে তার শরীর ঘামে তার নাকি ঘামের গন্ধ ভালো লাগে । সে মানুষকে সাহায্য করে । আর এই বইয়ের ময়ূরাক্ষী নদী তার কল্পনার নদী । তার যখন গরম লাগে সে নদীর কাছে চলে যায় । আমি বইটি পড়ার সময় গিয়েছিলাম । সত্যিই অসাধারণ ............।
Was this review helpful to you?
or
ময়ুরাক্ষী বইটি পড়ার মাধ্যমেই আমি হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যের রাজ্যে প্রবেশ করেছিলাম। বই পড়েই হুমায়ুন আহমেদের একজন বড় বক্ত হয়ে গেলাম। আমার মাথায় হিমুর ঘোর ঢুকে গেলো। রাস্তায় হাটার সময় নিজেকে হিমু মনে করতে থাকি। আমার আরো কিছু বন্ধুকে এই বই পড়ার পরামর্শ দেই এবং তাদের ও আমার মতো অবস্থা হয়। সব মিলিয়ে ময়ুরাক্ষী মাধ্যমেই আমি অন্যএক জগতে প্রবেশ করলাম। তার পর একের পর এক হুমায়ুন আহমেদের অনেক গুলো বই পড়তে থাকি।
Was this review helpful to you?
or
হিমুকে যিনি ডাকছেন তিনি মধ্যবয়স্কা এক জন মহিলা। চোখে সোনালি ফ্রেমের চশমা। তাঁর সঙ্গে হিমুর একটি ব্যাপারে মিল আছে। তিনিও পান খাচ্ছেন। ===”আমি বললাম, আমাকে কিছু বলছেন?/তোমার নাম কি টুটুল?”হিমু জবাব না দিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। এই মহিলাকে সে আগে কখনো দেখে নি। অথচ তিনি এমন আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন যেন সে যদি বলে ‘হ্যাঁ আমার নাম টুটুল’ তাহলে ছুটে এসে আমার হাত ধরবেন।===কথা বলছ না কেন? তোমার নাম কি টুটুল? হিমুর হাসলো। হাসলো এই আশায়ে যেন তিনি ধরতে পারেন সে টুটুল না। হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে, কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে। হিমুর হাসি নিশ্চয়ই ঐ টুটুলের হাসির মত না। আশ্চর্যের ব্যাপার এই ভদ্রমহিলা হাসিতে আরো প্রতারিত হলেন।===” চোখমুখ উজ্জ্বল করে বললেল, ওমা টুটুলই তো। ভাবছিলাম তিনি আমার দিকে ছুটে আসবেন, তা না করে ছুটে গেলেন রাস্তার ওপাশে পার্ক-করা গাড়ির দিকে। আমি শুনলাম তিনি বলছেন, তোকে বলি নি ও টুটুল! তুই তো বিশ্বাস করলি না। ওর হাঁটা দেখেই আমি ধরে ফেলেছি। কেমন দুলে দুলে হাঁটছে।” === অতঃপর গাড়িতে উঠে বসা এবং বিপদ===ভদ্রমহিলার পাশে বসে-থাকা মেয়েটি বলল, মা, এ টুটুল ভাই নয়।/আমি ঘাড় ঘুরিয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ঠিক আগের ভঙ্গিতে হাসলাম। যে হাসি দিয়ে মেয়ের মাকে প্রতারিত করেছিলাম, সেই হাসিতে মেয়েটিকে প্রতারিত করার চেষ্টা। মেয়ে প্রতারিত হলো না। এই যুগের মেয়েদের প্রতারিত করা খুব কঠিন। মেয়েটি দ্বিতীয় বার আগের চেয়েও কঠিন গলায় বলল, মা, তুমি কাকে তুলছ? এ টুটুল ভাই নয়। হতেই পারে না। অ অন্য কেউ।/মেয়ের মা বললেন, আচ্ছা তুমি টুটুল না?/না।/মেয়েটি কঠিন গলায় বলল, তাহলে টুটুল সেজে গাড়িতে উঠে বসলেন যে?” ===জাস্টিস সাহেবের স্ত্রী আর মেয়ের সাথে ইচ্ছাকৃত জটিলতার কারণে থানায় যাওয়া এবং অতঃপর স্বভাবসুলভ বিভ্রান্তিমূলক কাজকর্ম শুরু করা। গল্পের শুরু এভাবেই..........
Was this review helpful to you?
or
boiti porle nijossho shotta k upolobdhi kora jay..proti ta manus je vinno ta bojha jay.nirob valo lagar j bishoyti ase...amk khub besi kase tenese himu rupa k nil shari porte bolar take opekkha korano..ei sob kisu miliye romantic er sathe interesting golpo.over all boiti theke himur suchona jana jabe ja himu series er onno boigulo porar somoy himu k chinte sahajjo korbe.. lovely book??
Was this review helpful to you?
or
বই: ময়ূরাক্ষী হলুদ পাঞ্জাবী আর নীল শাড়ি পড়ে ময়ূরাক্ষী উপন্যাসের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে আগমন ঘটে হিমু এবং রূপার। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট অমর চরিত্র এই হিমু-রূপা। যে কোন জটিল সমস্যার সহজ সমাধান এবং পরোপকারী কিন্তু রহস্যময় চরিত্রের বর্ণনায় ঘেরা হিমু্। জন্মের পর যেমন কোন শিশুকে নাম-ধাম, বংশপরিচয় দেওয়া হয় তেমনি হিমুর বর্ণনায় বর্ণিত এই উপন্যাস। চৈত্রের ঝাঁঝালো রৌদ্দুর। একটা নোটবুক, দুইটা বলপয়েন্ট, শিশ ভাঙা পেনসিল আর পাঁচটাকা দামের চিপসে ভরা ব্যাগ নিয়ে তপ্ত পিচ ঢালা পথে হেঁটে চলেছে টুটুল। ইন্দিরা রোডে বড় ফুফুর বাসায় দুপুরের দাওয়াতের বদলে টুটুলের যায়গা হলো রমনা থানায়। জেলে বসে কোন কাজ থাকে না। কোন উপায়ন্তর না দেখে টুটুল ময়ূরাক্ষী নদীটা আবিষ্কার করে নিলো। একবার নদীটা আবিষ্কার করতে পারলে অলস সময় পার করা কোন ব্যাপার না। সমস্ত দুপুর ময়ূরাক্ষীতে ডুব দিয়ে সন্ধায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে টুটুল অথ্যাৎ বাদলের হিমু দা উপস্থিত বড় খালার বাসায়। বাদল হিমুর একনিষ্ঠ ভক্ত। বাদল হিমু মামার সাথে জ্যোৎস্না বিলাসের পর থেকে মাথায় তার ভূত লেগেছে। বাড়ি থেকে পরিক্ষা দিতে বের হয় তো পরিক্ষার হলে প্রবেশ করে না। বইয়ের এক পাতা পড়ে তো সেই পাতা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। মাথা ভর্তি উকুন নিয়ে আগুনের উপর মাথা ঝাকা দেয়। এই অদ্ভুত সব সমস্যার উপর বিষ ভোড়া রিংকি। বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হলো। সেই থেকে পাত্রের সাথে রাজ্যের আলাপ। তারা নাকি দু দিন পর পূর্ণিমা দেখতে যাবে সমুদ্রে। অদ্ভুত সব সমস্যার সমাধান করে দেয় হিমু। বড় খালার বাসার সবাই তার ভক্ত হয়ে পড়ে। মানুষকে বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করার এক বিশেষ ক্ষমতা আছে এই হিমুর মাঝে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তৈরির জন্য যেমন মানুষকে গড়ে তুলতে হয়। মহাপুরুষ হওয়ার জন্যও মানুষকে তেমনি তৈরি করতে হয়। হিমুকে তৈরি করেছে তার বাবা। পৃথিবীর সব জটিল, রুক্ষ পরিস্থিতির মাঝে বড় করা হয়েছে হিমুকে। তার মধ্য কোন আবেগের জন্ম হতে দেননি তিনি। হিমু তার বাবার হাতে তৈরি যোগ্য ছাত্র। রূপা নীল শাড়ী পড়ে অপেক্ষা করছে। হিমু কথা দিয়েছে সে আসবে। কিন্তু যায় না। তাঁকে হাঁটতে হবে সারাদিন। গন্তব্যহীন সে যাত্রা - যার কোন শেষ নেই, কোন শেষ থাকার কথাও নয়। আমাদের সমাজে সকলের মাঝে বেড়ে উঠা সহজ সরল সাধারণ একটা যুবক। যার কোন গন্তব্য নেই। আমাদের ভাষায় যাকে বলে বাউণ্ডুলে। এমন একটা সাধারণ চরিত্রকে অসাধারণ করে চিত্রিত করাই একজন লেখকের লেখার সার্থকতা। ব্যক্তিগত মতামতঃ হিমু নিয়ে মতামত দিতে গেলে বলতে হবে,,বই এর কথাগুলো, কথোপকথন গুলো অসাধারন। ভবঘুরে জীবন কাকে বলে তা বুঝতে হিমু আপনাকে পড়তেই হবে।ইচ্ছে করছে বেশ কিছু কথোপকথন তুলে দেই, কিন্তু দিব না।বইটা পড়ুন।ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলা তথা বাংলাদেশের সাহিত্য জগৎকে নতুন করে আলোর মুখ দেখিয়েছিলেন যে মানুষটি তার নাম হুমায়ুন আহমেদ।তিনি আসলেন,লিখলেন,পাঠক হৃদয় জয় করলেন।কালজয়ী এই ঔপন্যাসিক এর অনবদ্য সৃষ্টি হিমু ওরফে হিমালয়।ম্যাজিশিয়ান হিমু কে নিয়ে লেখা তাঁর প্রথম উপন্যাস "ময়ূরাক্ষী"। গপ্লের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিমু।'অ্যাই ছেলে অ্যাই" দিয়ে শুরু হওয়া উপন্যাসটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনাকে সম্মোহিত করবে।আপনি তখন হিমুতে খাবেন,হিমুতে বসবেন,হিমুতে পড়বেন।হিমুর এক নিজস্ব জগৎ রয়েছে,যেখানে রয়েছে ময়ূরাক্ষী নামক এক নদী,যে নদীকে কেবল হিমুর চোখ দিয়েই দেখা যাই।জাস্টিস সোবহান সাহেবের স্ত্রী ও কণ্যাকে অপহরণের অভিযোগে হিমুকে থানায় নিয়ে আসা হয়।পুলিশ অফিসার এর সাথে হিমুর আলাপচারিতায় পাঠককুল হিমুর এক নতুন পরিচয় পাবেন।পরিচয় পাবেন এমন এক হিমুর যে হিমু ভবিষ্যৎ বলার ক্ষমতা রাখে।এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে গল্পের কাহিনী।হিমুর জীবিত আত্নীয়স্বজন বলতে তাঁর বড় ফুপু,ফুপা,ফুপাতো ভাই বাদল,ফুপাতো বোন রিনিকি।ফুপার সাথে হিমুর আলাপচারিতা পাঠককূলে আনন্দের খোরাক হবে।গল্পের এক পর্যায়ে হিমুর জীবনে আবির্ভাব ঘটে রূপা নামক প্রচন্ড রূপবতী এক তরুণীর।বাবা মা বিহীন,পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী পড়া ছেলেটিকে ভালোবেসে ফেলে রূপা।নীল শাড়িতে রূপাকে দেখতে বড্ড বেশি ভালো লাগে হিমুর।হঠাৎ করে ফোন রেখে দেওয়া,দেখা করার স্থান ঠিক করেও দেখা না করা,তুমি তুই তে মানুষকে বিভ্রান্ত করা এগুলো কি শুধুই উদাসীনতা নাকি এর পিছনে রয়েছে হিমুর কোন উদ্দেশ্য?????? জানতে হলে পড়ে ফেলুন হুমায়ুন আহমেদের আরেকটি অনবদ্য সৃষ্টি "ময়ূরাক্ষী"।কথা দিচ্ছি আপনার মূল্যবান সময়ের একটি কানাকড়িও অপচয় হবে না।
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
নীললোহিতের চেয়ে জটিল, আর সাগরের চেয়ে সরল: এরকম সরলীকৃত বিশেষণে হিমালয় ওরফে হিমুকে ধরতে গেলে ঘোর অন্যায় হবে, তবে অপ্রিয় হলেও মনের ভাবটা প্রকাশ করেই ফেলা যাক (এক মহাপুরুষের উপাখ্যান প্রসঙ্গেও যদি সৎ হতে না পারি তাহলে খুব কষ্ট হবে)। কিন্তু হিমু আকর্ষণীয় হলেও এই লেখাটা আমার খুব স্পেশাল লাগল, যথারীতি, হুমায়ূন আহমেদের লেখার জন্যে। রোমান্স, সূক্ষ্ম হাস্যরস, গভীর বেদনা, আর এক সপ্রাণ শীতলতা এই লেখাকে অনন্য করেছে, যা অনেক চেষ্টা করলেও নকল করা যায় না। আমি আরও পড়ব। কথা দিচ্ছি।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্য তার ভান্ডারে 'উপন্যাস' কে নিয়ে আসে প্যারীচাঁদ মিত্রের হাত ধরে। তারপর, রবীন্দ্রযুগ বাংলা উপন্যাসে এনে দিয়েছে স্বর্ণসময়, বঙ্কিমের হাতে হয়েছে সমৃদ্ধ, বিভূতিভূষণ আবেগ আর ভালবাসা দিয়ে উপন্যাসকে দিয়েছেন নতুন মাত্রা, নিচুতলার মানুষদের চাওয়া বইয়ের কালো অক্ষরে মমতায় তুলে এনেছেন শরৎচন্দ্র, মানিক বন্দোপাধ্যায় জুড়ে দিয়েছে্ন আধুনিকতা, এবং তারপর আখতারুজ্জামান ইলিয়াস যুগিয়েছেন ভাবনার খোরাক, আহমদ ছফা দিয়েছেন শক্তি আর নতুন একটি বিপ্লবের শুরু করে দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। "নন্দিত নরক" দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ যে জাদুকরী ক্ষমতা তৈরী করেছিলেন, তার মধ্যে তার সৃষ্টি চরিত্র 'হিমু' সাহিত্যানুরাগীদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছিলো। "ময়ূরাক্ষী" দিয়েই ম্যাজিশিয়ান হিমুর পথচলা শুরু। "ময়ূরাক্ষী" প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯০ সালে এবং বাংলা সাহিত্যে রীতিমত সাড়া জাগিয়ে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে 'হিমু'। "এ্যাই ছেলে এ্যাই " বাক্যটি দিয়ে শুরু হওয়া বইটিতে পাঠক হিমুর স্বভাবসুলভ রসিকতা, মুগ্ধময় বিভ্রান্তিকরণ, অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা আর তাৎক্ষণিক বাচিক ক্ষমতা শুরুতেই পেয়ে যাবেন। জাস্টিস সাহেবের স্ত্রী আর মেয়ের সাথে ইচ্ছাকৃত জটিলতার কারণে থানায় যাওয়া এবং অতঃপর ওসির সাথে হিমুর কথোপকথন পাঠক হিসেবে আমাদের হাসাতে বাধ্য করবে। এর পরপর-ই ময়ূরাক্ষী নদীর ইতিহাস পাঠক অজান্তে হিমুর মাধ্যমে কল্পনায় পেয়ে যাবো-"নদীর ধার ঘেঁষে পানি ছিটাতে ছিটাতে ডোরাকাটা সবুজ শাড়ি পরা একটি মেয়ে ছুটে যাচ্ছে। আমি শুধু এক ঝলক তাকে দেখতে পেলাম। স্বপ্নের মধ্যেই তাকে খুব চেনা, খুব আপন মনে হল"। হিমুর ফুফাতো ভাই বাদল আর ফুফাতো বোন রিনকি হিমুকে প্রচন্ড ভালবাসে। ফুপার সাথে হিমুর ছোট ছোট দার্শনিক সংলাপ য়ামাদের ভাবিয়ে তুলবে। ধীরে ধীরে আমরা হিমুর শৈশব থেকে শুরু করে তার বড় হওয়া দেখবো। প্রচন্ড নির্মমতায় মহাপুরুষ বানানোর লক্ষ্যে হিমুকে হিমুর বাবার সাথে ফ্ল্যাশব্যাকে দেখতে পাবো এবং চোখ নোনাময় হয়ে যাবে। পরক্ষণেই অসম্ভব রুপবতী তরুণী, রুপার সাথে সাথে আমাদেরও হিমুকে ভালবাসতে ইচ্ছে করবে; যে রুপা প্রতিদিন নীল শাড়ি পরে বারান্দায় হিমুর জন্য অপেক্ষা করে। বইয়ের শেষে হিমুর অনন্ত পথচলা দেখে আমাদের থমকে যেতেই হবে। "আমি সারাদিন হাঁটি। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার কথাও নয়..."। একজন পাঠকের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলো হুমায়ূন আহমেদ খুব যত্নের সাথে হিমুর মাধ্যমে তুলে এনেছেন। "ময়ূরাক্ষী" দিয়ে যে হিমুর যাত্রা, তা পাঠককে আমৃত্যু অন্ত্যহীন পথে সঙ্গী করে নিয়ে বেড়াবে। যে ভ্রমণ আনন্দের, ভালোবাসার এবং এক-ই সাথে গভীর বিষাদের।
Was this review helpful to you?
or
হিমু সিরিজের সব কয়টা বই পড়েছে বা হিমু চরিত্রের এমন কোনো ভক্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না যে " হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম " বইটি বইটি পড়ে নাই। মারিয়া নামের মেয়েটি হিমুকে বহুদিন আগে খুবই সহজ একটি সাংকেতিক চিঠি দেয় যার ভাবার্থ হিমু বের করতে না পেরে বাদলের কাছে দেয়। বহু বছর পূর্বে মারিয়ার বাবা আসাদুল্লাহ সাহেবের সাথে হিমুর পরিচয় হয় কোনো এক বইয়ের দোকানে। সেখান থেকেই হিমুর মারিয়াদের বাসায় যাওয়া আসা, তবে মারিয়ার কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর আর যায় না। কাকতালীয়ভাবে সেই সাক্ষাতের পর মারিয়াদের বাসায় আবার হিমুর সাথে আসাদুল্লাহ সাহেবের কথা হয় এবং পাঁচটি নীলপদ্ম থিওরিটি হিমুর সাথে শেয়ার করেন তিনি। বইটির শেষদিকে পড়তে গেলে আপনার চোখ ভিজে উঠবে হিমুর সাথে সাথে।