User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Nur Jannat

      29 Jan 2025 12:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নিপুণ লেখকের লেখা অসাধারণ লেখনী,

      By Tahminur Rahman

      16 Jan 2025 12:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Quality best ❤️‍?

      By sam****com

      15 Jan 2025 01:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি সুন্দর। শেষের দিকে পড়তে যেয়ে কেন যেন চোখে পানি চলে এসেছিল।।

      By Jahid Hasan

      30 Dec 2024 02:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      : "বৃষ্টি বিলাস" হুমায়ূন আহমেদের একটি হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস, যা পাঠকের মনকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। লেখক তার অসামান্য লেখনীর মাধ্যমে প্রেম, একাকীত্ব এবং জীবনের অস্থিরতা নিয়ে একটি সুন্দর গল্প তৈরি করেছেন। বইটির কাহিনী খুবই বাস্তব এবং অনুভূতির সাথে মিশে থাকা, যা পাঠকদের নিজেদের জীবনের অনুভূতির সাথে একাত্ম করে তোলে। হুমায়ূন আহমেদের ভাষা অত্যন্ত প্রাঞ্জল এবং সহজবোধ্য, যা গল্পের আবেগকে আরও জীবন্ত করে তোলে। তার লেখা এতটাই সাবলীল যে, পাঠক যেন চরিত্রগুলোর মধ্যে হারিয়ে যায়।

      By Mehedi

      15 Nov 2024 10:08 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Thank You Rokomari.........

      By md ruman

      10 Nov 2024 06:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের কলেটি ভালো আমি এখান থেকে দুটি বই অর্ডার করেছিলাম দুটিই ভালো।

      By 880****860

      26 Oct 2024 08:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ বই

      By shs****com

      16 Oct 2023 11:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ami rokomari theke onk somoy boi kinechi and i think Bangladesh er onna site theke ei site ta onktai reliable.

      By Faiza Ishmam

      08 Jun 2023 05:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার। পড়ে খুব ভালো লাগলো????

      By MD Adib Al Zian

      28 Mar 2023 07:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Pretty good?

      By misbah likhon

      02 Dec 2022 01:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটা উপন্যাস! হুমায়ূন আহমেদ মানেই নতুন স্বাদ। উপন্যাসটা পড়ে ভালো লাগবে সবার। পারিবারিক গল্প নিয়ে কাহিনীগুলো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন হুমায়ূন স্যার

      By Mushfika Tabassum

      30 Aug 2022 08:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Onk sndr,,,,

      By MH Kanok

      09 Aug 2022 12:28 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      "বৃষ্টি বিলাস" হুমায়ন আহমেদের লেখা খুব সুন্দর একটি উপন্যাস। উপন্যাসে মূল চরিত্র মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে শামাকে নিয়ে। বিয়ে নিয়ে শুরু উপন্যাস এবং মাকড়সা জাল, এই বইটার নাম "বৃষ্টি বিলাস" হবার কারন আতাউর শাহেব; যে কিনা বৃষ্টি আসলে ভয় পায়। ? তো জানতে হলে পড়তে হবে বইটা ?আশা রাখি ভাল লাগবে। যারা পড়েছেন তারা বাদ ?

      By Sheikh Tanjurur Rahaman Minar

      20 May 2022 12:57 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুন্দর যেমনটা উনার সব লেখাগুলো হয় ।

      By HZB Khan

      28 Mar 2022 08:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Akib Jawad

      20 Feb 2022 09:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Motamoti

      By Nafiz Omar

      31 Jan 2022 11:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Book and Service both were best. Thank You, Rokomari

      By Provat paul

      28 Jan 2022 01:40 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By Sultana

      13 Jan 2022 07:52 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের কোয়ালিটি বেশি ভালো ছিলো না। পেইজ গুলো অনেকটা ছিড়ে গিয়েছিল। তারপরও উপন্যাস এতটাই মনোমুগ্ধকর ছিলো যে পেইজ কোনো বাধা হতে পারেনি। ?

      By Shahriar Mehedi

      31 Dec 2021 10:04 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      besttttt

      By zannat ara liku

      14 Dec 2021 03:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice book

      By Masud Rohan

      28 Aug 2021 07:18 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এর নামই হয়তো ভালোবাসা

      By SB Marjuk

      30 Jul 2021 05:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By Abrahum

      14 Dec 2020 10:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার একটি বই,পড়তে পড়তে কখন শেষ হয়ে গেলো বুঝতেই পেরলাম না। প্রত্যেকটা চরিত্র অসাধারণ এবং শেষটাও অনেক সুন্দর ছিল। আমার পড়া বেস্ট উপন্যাস এর মধ্যে এটি একটি।

      By ahmad shakib

      23 Oct 2020 07:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই অসাধারন একটা বই

      By Rizal Fathoni Kabir

      13 May 2020 07:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার অসম্ভব প্রিয় একটা উপন্যাস। প্রথম কবে পড়েছিলাম মনে নেই, তবে এরপরেও একাধিকবার পড়া বই বৃষ্টি বিলাস। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে এক তরুণী, যার বিয়ের কথাবার্তা হচ্ছে। সম্ভাব্য পাত্র হিসেবে একজন সহজ সরল সাদামাটা যুবক। সেই অদ্ভুত মানুষটার জীবনে রয়েছে বিষাদময় এক অতীত, কিন্তু তার ভালবাসার বিস্তৃতি বিস্ময়কর। পুরো উপন্যাসটাই মনোযোগ ধরে রাখার মত চমৎকার এক লেখা, তবে শেষের দিকে এসে কাহিনীর অপূর্ব বাঁকগুলো অসাধারণ। এখানকার কিছু লাইন এখনো আমার মনে আছে। আরেকটা ব্যাপার না বললেই নয়, সাধারণ হলেও প্রচ্ছদটাও বেশ চিত্তাকর্ষক। নিঃসন্দেহে হুমায়ূন আহমেদের মাস্টারপিস ধাঁচের লেখার মধ্যে বৃষ্টি বিলাস অন্যতম।

      By Md. Al Farukh Salim

      07 Feb 2020 10:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Bristy Bilash....anek valo ekti uponnash....jodio ami boiti pori nai... tobe jake gift koresi...tar onek valo legese...Humayon Sir er boi valo na hoye pare...Thanks... Rokomari...

      By Tamjid Shajol

      19 Dec 2019 04:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন স্যারের বই নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চাইনা।হুমায়ূন ভক্তরা জানে গল্পের জাদুতে তিনি পাঠককে কতটা মোহবিষ্ট করে রাখতে পারেন।তিনি বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য নক্ষত্র। স্যারের বই আমার বরাবরই পছন্দের। হুমায়ূন স্যারের অনেক বই পড়েই আমি আশাহত হয়েছি।কেননা উনার প্রায় বইয়ের-ই শেষটা কেমন যেন এলোমেলো লাগে আমার কাছে।কিন্তু সেইদিক থেকে এই বইটার শুরু থেকে শেষটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।এতো সুন্দর করে গল্পটা তিনি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।শুধু শামার বোন এশার ব্যাপারটা একটু ধোয়াশা থেকে গেছে।এশা চরিত্রটা তিনি অন্যান্য চরিত্রগুলোর মত ফুটিয়ে তোলেন নি। এই দিকটা বাদ দিলে বাকি সবকিছু অত্যন্ত চমৎকার ছিলো। ছোট পরিসরে চমৎকার এই বইটি চাইলে আপনারাও পড়ে ফেলতে পারেন।

      By Anirban Maitra

      22 Nov 2019 06:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ?বইয়ের নাম: বৃষ্টি বিলাস ? লেখক: হুমায়ূন আহমেদ ? প্রকাশনা:অন্যপ্রকাশ ? ক্যাটাগরি: উপন্যাস ?পৃষ্ঠা সংখ্যা:১০৪ ? মূল্য: ১৭৬ ৳ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে শামা একদিন কলেজ থেকে ফিরে শুনতে পেলো, তার বাবা, একজন সাধারণ ব্যাংক-চাকুরে আবদুর রহমান সাহেব,তার বড় মেয়ে শামার বিয়ের জন্য পাত্র ঠিক করে ফেলেছেন।পাত্র তার ব্যাংকেরই কলিগ,নতুন আসা এক জুনিয়র কর্মকর্তা-নাম আতাউর রহমান।পাত্রী দেখতে এসে পাত্রপক্ষের পছন্দ হয়ে যায় এবং আংটি পরিয়ে তারা বিয়ের কথা পাকাপাকিও করে ফেলে।হবু স্বামী আর সংসার নিয়ে রূপবতী শামাও স্বপ্ন দেখতে থাকে।কিন্তু মেয়েটির মন দোটানায় পরে যখন সে জানতে পারে তার হৃদয়সাগরে যে মানুষটি ভালোবাসার হিন্দোল তুলেছিল,তার জটিল এক সমস্যা রয়েছে।ছোটবেলার এক দুঃসহ স্মৃতি তার মধ্যে এক জটিল মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে-প্রত্যেক বর্ষায় সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এ খবর জানাজানি হলে শামার পরিবার ছেলটির সাথে শামার বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে যায়।কিন্তু এতে আতাউরের জন্য শামার মনে যে অনুভূতি,তাতে বিন্দুমাত্র চিড় ধরে না, বরং শামা আরো সহানুভূতিশীল হয়ে পরে।অন্যদিকে,শামার এক বান্ধবী মীরার বিয়েতে শামার সঙ্গে পরিচয় হয় ধনী পরিবারের ছেলে আশফাকুর রহমানের। তাদের পরিচয়টা এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে হলেও, তার সাথেই নতুন করে বিয়ের কথা ওঠে শামার। ঘটকালিতে লেগে যায় তার আরেক বান্ধবী তৃণা।তৃণা আশফাকুরের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের রাজি করায় এবং তাঁরা শামার বাবার সাথে দেখা করতে রাজি হন।এর মধ্যে আতাউরের একটি চিঠি পায় শামা, যেখানে সে নিজের অসুস্থতার কারণ বর্ণনা করে। চিঠিটা পড়ার পর শামার দু'চোখ বেয়ে অঝোরে ঝরতে থাকে অশ্রু--সে ছুটে যায় আতাউরের কাছে-তার সাথে বৃষ্টিবিলাস করতে । কি ছিলো সেই চিঠিতে? আতাউরের সাথে কি মিলন হয়েছিলো শামার? জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এই মাস্টারপিসটি।চিরাচরিত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের খুবই সাধারণ কাহিনীকে হুমায়ূন আহমেদ স্যার তার স্বভাবসুলভ জাদুকরী লেখনীতে অসাধারণত্ব দিয়েছেন। শুরু থেকে উপন্যাসটি বেশ সাবলীল গতিতে এগিয়েছে,আদ্যন্ত পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলেই আশা রাখি। কাহিনী বর্ণনার ক্ষেত্রে বোধ করি "হুমায়ূন আহমেদ" নামটিই যথেষ্ঠ,আর বিস্তৃত বিবরণের প্রয়োজন নেই,আর সবশেষে বলবো,হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য চমৎকার উপন্যাসগুলোর মতো এটিও পাঠক-হৃদয়ে জায়গা করে নেবে। #হ্যাপি_রিডিং?

      By Rakib ul Hafiz

      22 Nov 2019 12:41 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে তাকে একটু বাজিয়ে নিবি না ? সামান্য লাউ কেনার সময়ও তো মানুষ লাউ- এ চিমটি দিয়ে দেখে, টোকা দিয়ে দেখে । তুই টোকা দিবি না ? শামা নামের এক মেয়ে নিয়ে কাহিনী । সাধারণ কাহিনী কিন্তু খুব ই অদ্ভুত ভাবে লিখা হয়েছে । খুব সাধারণ একটি গল্প কে দৈনন্দিন জীবন যাত্রার মধ্যে এনে চরিত গুলোর মধ্যে অন্য রকম রং আনা হয়েছে । সকলের ভাল লাগবে কিনা , আমার জানা নেই, তবে শামা মেয়ে টির ভাগ্যে বৃষ্টি এর যে পরিণতি আনা হল , তা মন ছুয়ে গেছে । লেখকের অনেক গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ।

      By Pie

      21 Nov 2019 07:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      শামাকে দেখতে এসে পাত্রপক্ষের পছন্দ হয়ে যায়। শামার বিয়ে ঠিক হয়েছে তার বাবার অফিসের এক ছেলে আতাউরের সাথে। আতাউর অত্যন্ত ভদ্র,বিনয়ী, শিক্ষিত ছেলে বলে শামার বাবার তাকে খুব পছন্দ হয়ে যায়। শামার ছোট বোন এশা,খুবই বুদ্ধিমতি মেয়ে। সে সবসময় কি যেন ভাবে! সবসময় গম্ভীর হয়ে থাকে।খোলামেলা ভাবে কারো সাথে কথা বলেনা। সে একজনকে ভালোবাসে।যে কিনা মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে চাঁদা তুলে বেড়ায়।কিন্তু কি তার পরিচয়? শামার বান্ধবী মীরার বিয়েতে মীরার এক দূর সম্পর্কের ভাই আশফাকুর রহমান সাহেবকে নিয়ে শামার অন্য সব বান্ধবীরা হাসিঠাট্টা মজা করে। ভদ্রলোক সুদর্শনা,পিএইচপি করা অর্থবিত্তশালী। ঘটনাক্রমে শামাকে তারা জড়িয়ে ফেলে সেখানে।এবং সেই ঘটনার সুবাদেই আশফাক সাহেবের সাথে শামার পরিচয় হয়।আর তখনই শামাকে ভালো লেগে যায় আশফাকের। অন্যদিকে শামার বিয়েটা ভেঙে দেয় তার বাবা। কিন্তু কেন?কি এমন হলো যে বিয়েটাই ভেঙ্গে দিতে হলো? এরই মধ্যে মীরার সেই দূর সম্পর্কের ভাই আশফাক সাহেবের মা শামার এবং তার পরিবারের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করে। শামার বান্ধবী তৃণা আশফাকুর রহমানকে মাকড়সার একটা জটিল ধাধা দেয়।আশফাকুর রহমানও তৃণার মাকড়সার ধাধা নামক জটিল প্রশ্নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। এরইমধ্যে আতাউর শামাকে একটা চিঠি দেয়।যেটা পড়ে শামার মন খারাপ হয়। কিন্তু কি লেখা ছিলো চিঠিতে? আতাউর বৃষ্টি সহ্য করতে পারেনা।কিন্তু তার বড় ইচ্ছে ছিলো কোন এক বৃষ্টিস্নাত ক্ষণে কেউ একজন তার কানে কানে বলবে, "কোন ভয় নেই,পাশে আছি তোমার"। কিন্তু হায়! এভাবে পাশে থেকে ভরসা দেয়ার মত কেউ কি আসবে তার জীবনে? শামা বড় কোন স্বীদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কি সেই স্বীদ্ধান্ত? যে মানুষটা মাকড়সা ধাধার জবাব ঠিকঠাক ভাবে দিয়েছে তার সাথে জীবন শুরু করবে না-কি আতাউর নামের ছেলেটাকে বলবে হ্যালো মিস্টার আসুনতো আমার সঙ্গে বৃষ্টি দেখবেন।আমরা একসাথে বৃষ্টি বিলাস করবো? পাঠ প্রতিক্রিয়া : কবিগুরুর পরে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই পড়ার মাধ্যমেই আমার সাহিত্য জগতের পদচারনার শুরু। হুমায়ূন স্যারের বই নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চাইনা।হুমায়ূন ভক্তরা জানে গল্পের জাদুতে তিনি পাঠককে কতটা মোহবিষ্ট করে রাখতে পারেন।তিনি বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য নক্ষত্র। স্যারের বই আমার বরাবরই পছন্দের। হুমায়ূন স্যারের অনেক বই পড়েই আমি আশাহত হয়েছি।কেননা উনার প্রায় বইয়ের-ই শেষটা কেমন যেন এলোমেলো লাগে আমার কাছে।কিন্তু সেইদিক থেকে এই বইটার শুরু থেকে শেষটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।এতো সুন্দর করে গল্পটা তিনি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।শুধু শামার বোন এশার ব্যাপারটা একটু ধোয়াশা থেকে গেছে।এশা চরিত্রটা তিনি অন্যান্য চরিত্রগুলোর মত ফুটিয়ে তোলেন নি। এই দিকটা বাদ দিলে বাকি সবকিছু অত্যন্ত চমৎকার ছিলো। ছোট পরিসরে চমৎকার এই বইটি চাইলে আপনারাও পড়ে ফেলতে পারেন।

      By Shahrier Rahman Anik

      14 Nov 2019 04:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের বই মানেই গল্পের জাদুর রাজ্যে প্রবেশ ঘটতে চলছে। আর তার "বৃষ্টি বিলাস" ও তেমনি একটি সৃজন।স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ে শ্যামার ছোট একটি কাহিনী দিয়েই এই সমকালীন উপন্যাস এর সৃষ্টি।

      By হিমু

      05 Nov 2019 08:38 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে শামা।তার পরিবারে রয়েছে ছোট বোন এশা,ছোট ভাই মন্টু এবং তাদের বাবা-মা।বাবা একটা চাকরি করে,সংসার চালাতে প্রয়োজন হয় শামার ফুপুর সাহায্য। গল্পের প্রধান চরিত্র শামা এবং পুরো গল্পটাই তাকে ঘিরে।যদিও গল্পের ভেতর সবার চরিত্রকেই অত্যন্ত নিখুঁতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।গল্পের বিভিন্ন যায়গায় শামার ছোট বোন নাদিয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের চরম সাহসি সত্য কথাগুলো অত্যন্ত সাবলীলভাবে বলে গেছেন। একদিন হঠাৎ শামার বাবার অফিসের এক জুনিয়র অফিসারের সাথে শামার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়,নাম আতাউর।শামাও দুই-এক দিনের আলাপে লোকটাকে প্রচণ্ড ভালোবেসে ফেলে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত আতাউর এর এক মিথ্যার কারণে বিয়ে ভেঙ্গে যায়।সে কথা এখনই বলছি না। শামার এক বান্ধবীর বিয়েতে বান্ধবীদের সুবাদে পরিচায় মি.হুক্কার সাথে।যদিও এটা তার সুন্দর নাম নয়।সুন্দর নামটা জানতে গল্পটা পড়তে হবে।এমন একজন মানুষ যাকে দেখলে চোখ ফেরাতে মন চায় না বরং যেকেউ হয়ত তার শিশুসুলভ চেহারার দিকে তাকিয়ে সারাটা দিন কাটিয়ে দিতে পারবে। গল্পে নেয় নতুন মোড়।মি.হুক্কাদের পরিবার অত্যন্ত বড়লোক।মি.হুক্কার পছন্দের কারণে শামার সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।যদিও শেষ পর্যন্ত তা ঘটেছে কিনা তার উল্লেখ রয়েছে গল্পের শেষ পৃষ্ঠায়।এরমধ্যে শামা আতাউর এর সমস্যটার কথা জানতে পারে একটা চিঠির মাধ্যমে।যেই চিঠি পথ দেখায়, পথের দিকে টানে। পাঠ প্রতিক্রিয়া: হুমায়ূন আহমেদ স্যার,আমার ভীষণ প্রিয় লেখকদের ভেতরের একজন।তার লেখা পড়তে কখনো ক্লান্তি আসেনি,বিরক্তিভাব আসেনি।মনে হয় এক বসায় ২-৩শ পৃষ্ঠা পড়ে ফেলা একেবারেই সহজ। প্রতিটা গল্পতে তিনি অনেকগুলো সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং সব চরিত্রেরই অত্যন্ত নিখুঁত এবং সাবলীল বর্ণনা দেয়।তার লেখায় একইসাথে ফুটে উঠে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত মানুষদের জীবন যাপন।এটাতেও তার ব্যতিক্রম নয়। হুমায়ূন স্যার তার লেখায় প্রতিটা চরিত্রের গোপন ইচ্ছা প্রকাশ করে দেন।লেখা পড়তে গেলে মনে হয় যেকোনো সময় মূল চরিত্রকে ছাপিয়ে পার্শ্ব চরিত্রই হয়ত গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিবে। বৃষ্টি বিলাস নামটা দেখে মনে হয়নি যে এই বৃষ্টি ভালোবাসার বৃষ্টি না বরং এই বৃষ্টির সাথেই জড়িয়ে আছে একটা মানুষের সব খারাপ লাগা আর ক্রন্দন।শামা কী পারবে বৃষ্টির প্রতি সেই মানুষটার ভালোবাসা ফিরয়ে আনতে।

      By Adiba Khondokar

      07 Oct 2019 05:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাধারন একটা নিম্নবিত্ত পরিবারের গল্প কত সুন্দর করে লেখা জেতে পারে তা হুমায়ুন আহমেদের বই না পরলে জানা যাবে না। শামা এক মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় মেয়ে এই বইএর কেন্দ্রীয় চরিত্র। তার বিয়ে ঠিক হয় একটি সাধারন ছেলের সাথে। ছেলেটি শামা কে খুব পছন্দ করে। কিন্তুু কিছু দিন পর জানা যায় ছেলেটি মানসিকভাবে অসুস্থ। বিয়েটা ভেঙে যায়। অন্য দিকে আশফাকুর নামে এক ধনী ব্যবসায়ি শামাকে পছন্দ করে এবং তার সাথে বিয়ের কথা ঠিক করে। অন্য দিকে যেই ছেলেটির বিয়ে ভেঙে গেছে, সে একটি চিঠি দেয়। চিঠিটা পড়ে সে এক অদ্ভুত দোটানার মধ্যে পরে। পুরাটা জানতে হলে অবশ্যই বইটা পড়তে হবে। সুন্দর এবং আমার খুব পছন্দের বই এটি। বইটা শেষ করার পরেও রেশ থেকে যায়।

      By Md. Shahrul Islam sayem

      24 Nov 2018 02:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_নভেম্বর বইয়ের নামঃ বৃষ্টি বিলাস লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের ধরনঃ সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনঃ অন্যপ্রকাশ প্রথম প্রকাশঃ একুশে বইমেলা, ২০০০ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১০৪ মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা অনলাইন পরিবেশকঃ rokomari.com ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৪ / ৫ #লেখক পরিচিতিঃ বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম হুমায়ূন আহমেদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে গণ্য করা হয় হুমায়ূন আহমেদকে। তিনি একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচিত্রনির্মাতা। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। হুমায়ূন আহমেদেরবাবা চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিজ্ঞানে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ৫৬৪ নং কক্ষে তার ছাত্রজীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৭২ সালে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয়। ‘নন্দিত নরকে’ প্রথমে প্রকাশিত হলেও হুমায়ূন আহমেদের লেখা প্রথম উপন্যাস ছিল ‘শঙ্খখনীল কারাগার’। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি লিখেছিলেন ‘শঙ্খনীল কারাগার’। কোথাও কেউ নেই, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া, লীলাবতী, কবি, বাদশাহ নামদার, প্রিয়তমেষু, আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারী ইত্যাদি হুমায়ূন আহমেদ রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ। হুমায়ূন আহমেদ বহুমাত্রিক প্রতিভার জন্য অসংখ্য পুরষ্কারে ভূষিত হন। বাংলা একাডেমী পুরষ্কার, একুশে পদক, লেখক শিবির পুরষ্কার, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পুরষ্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার সহ আরো অসংখ্য পুরষ্কার অর্জন করেন তিনি। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্লোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হসপিটালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। //রিভিউ\\ #ভূমিকাঃ ভালোবাসা, এক অদ্ভুত অনুভূতির অপর নাম। যা কখনো কাউকে বলে কয়ে আসে না। কখনো কখনো সেটা হঠাৎ করেই চলে আসে, আবার তেমন করে হঠাৎ করেই চলে যায়। কার যে কখন, কাকে ভালো লেগে যেতে পারে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রথমে যাকে দেখে বিরক্তি ভাব চলে আসে হয়তো তার জন্যই পরে অনুভূত হয় এক ধরণের আবেগ কিংবা ভালোবাসা। #গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহঃ আবদুর রহমান, সুলতানা, শামা, এশা, আতাউর, তৃণা, আশফাকুর রহমান, মুত্তালিব সাহেব (শামাদের বাড়িওয়ালা) #কাহিনী সংক্ষেপঃ কলেজ পড়ুয়া সাধারণ এক মেয়ে শামা। একদিন কলেজ থেকে ফিরে শামা দেখলো তার বাবা অফিস থেকে ফিরে এসেছেন। সাধারণত তিনি সন্ধ্যার আগে বাসায় ফেরেন না। আর তাকে বেশ হাসিখুশিও দেখাচ্ছিলো। ঘরের ভিতরে যাওয়ার পরে শামা তার মা সুলতানার কাছ থেকে জানতে পারলো তার নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে এবং বিকালে পাত্র পক্ষের তাকে দেখতে আসার কথা। পাত্র আতাউর শামার বাবার অফিসের জুনিয়র অফিসার। বিকালে পাত্র পক্ষ শামাকে দেখতে আসে এবং শামাকে তাদের পছন্দ হয়ে যায়। সেজন্য পাত্রের চাচা শামাকে একটা আংটি এবং এক হাজার এক টাকা দিয়ে যায়। তবে এই পুরো সময়ে পাত্র আতাউর ছিলো চুপচাপ এবং সে মাথা নিচু করে বসেছিলো। তবে শামার তাকে কেমন যেনো মনে হতে লাগলো। ওদিকে শামার বোন এশা মাহফুজ নামের এক ছেলের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং অদ্ভুত কিন্তু বেশ যুক্তিযত কথা বলতে থাকে। আর এশার এসকল কথা শুনে আতাউরের জন্য ভালোলাগা জাগতে থাকে শামার মনে। ওদিকে শামার মাথায় একটু অন্যরকম চিন্তা আসে। সে তার ছোট বোন এশা সেজে আতাউরকে ফোন করে এবং আতাউরকে শামার সাথে দেখা করতে বলে। আতাউর প্রথমে দেখা করতে না চাইলেও পরে ঠিকই সময়মতো শামার কলেজের সামনে উপস্থিত হয়। দেখা হওয়ার পরে দুজনই কেমন যেন বিব্রত বোধ করতে থাকে। এই বিব্রত অবস্থাতেই তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকে। আতাউরকে নিয়ে বাসায় ফেরে শামা। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করার পরে বান্ধবী মীরার বিয়েতে যাওয়ার জন্য আতাউরকে নিয়ে উপহার কিনতে বের হয় শামা। উপহার কিনে শামাকে তার বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছে দেয় আতাউর। অপরদিকে আতাউরের সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিতে গিয়ে শামার বাবা জানতে পারেন আতাউর মানসিক ভাবে অসুস্থ। আর এই অসুস্থতার পাত্র পক্ষ তাদের কাছে আড়াল করেছিলো। যার ফলে আবদুর রহমান সাহেব এই বিয়ে ভেঙে দেন। কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরেও আতাউরের জন্য শামার যে অনুভূতি জেগেছিলো সেটা কমলো না একটুও। মীরার বিয়েতে শামার সাথে পরিচয় হয় আশফাকুর রহমানের। আশফাকুররা বিশাল বড়লোক। তবে তাদের পরিচয়টা হয় এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। আর সেই আশফাকুরের সাথে শামার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায় তৃণা। তৃণা আশফাকুরের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের রাজি করায় এবং আশফাকুরের পরিবারও শামার বাবার সাথে দেখা করতে আসতে রাজি হন। যেদিন আশফাকুরের পরিবারের শামাকে দেখতে আসার কথা সেদিন শামা তার মা কে একটা চিঠি দেখায়। চিঠিটা আতাউর পাঠিয়েছিলো শামাকে। সেখানে সে শামাকে জানিয়েছিলো তার মানসিক অসুস্থতার কারণ। সেই চিঠি পড়ে সুলতানা চুপ করে বসে রইলেন। আর শামা, মুত্তলিব সাহেবের গাড়ি নিয়ে বের হলো আতাউরের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে, আতাউরের মনের বাসনা বৃষ্টি বিলাস করতে। কি হয়েছিলো শেষ পর্যন্ত? শামা কি গিয়েছিলো আতাউরের কাছে? তারা কী করেছিলো বৃষ্টি বিলাস? কি কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলো আতাউর। নাকি আশফাকুরের সাথেই বিয়ে হয়েছিলো শামার? সবকিছুর উত্তর রয়েছে ‘বৃষ্টি বিলাস’ বইটিতে। #পাঠ প্রতিক্রিয়া ও ব্যক্তিগত মতামতঃ মধ্যবিত্ত পরিবারের কিছু সীমাবদ্ধতা, একটি সাধারণ মেয়ের মনের আশা-ভালোবাসা, স্ত্রী-সন্তানকে ছাড়া জীবন কাটানো একজন মানুষের নিঃসঙ্গতা, পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের মেলবন্ধন হয়েছে এই বইটিতে। একই বইয়ের ভেতর কয়েকটি বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপন করা বেশ কঠিন একটা কাজ। তবে সেই কাজে যে হুমায়ূন স্যার অত্যন্ত পারদর্শী, সেটার পরিচয় এই উপন্যাসেও বেশ যথার্থ ভাবেই ফুটে উঠেছে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শামা এক্ষেত্রে বেশ আকর্ষণীয় চরিত্র। তার কথাবার্তা এবং আচরনের দিকটা খুবই ভালো লেগেছে। আর সেই সাথে শামার বাবার ধীরে ধীরে তার ছেলেমেয়েদের প্রতি ভালোবাসা জাগার বিষয়টিও উপভোগ্য ছিলো। তবে আতাউর চরিত্রের মানসিক অসুস্থতা আর একাকীত্বটা মনে খুব ছাপ ফেলেছে। আর মুত্তালিব সাহেব হলো নিঃসঙ্গ মানুষের এক উৎকৃষ্ট বহিঃপ্রকাশ এবং উদাহরণ। বইটি শেষ করার পরে কেমন যেনো একটা শূন্যতা অনুভব করছিলাম। ভাবছিলাম, সত্যিই কি মানুষের জীবনে এরকম হয়? ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে উপন্যাসটি বেশ উপভোগ্য এবং সুখপাঠ্য। শুরু থেকেই উপন্যাসটা বেশ সাবলীল গতিতে এগিয়েছে। কাহিনীর বর্ণনার ক্ষেত্রে হুমায়ূন স্যারের দক্ষতা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এই বইয়ের বর্ণনাও তার ব্যতিক্রম নয়। ‘বৃষ্টি বিলাস’ পাঠক মনযোগ ধরে রাখার মতো একটি বই। #ভালোলাগা লাইনগুলোঃ ‘মিথ্যা দু’রকমের আছে। হঠাৎ মুখে এসে যাওয়া মিথ্যা, আর ভেবে চিনতে বলা মিথ্যা। হঠাৎ মিথ্যা আপনা আপনি মুখে এসে যায়। কোনো পরিশ্রম করতে হয় না। ভেবে চিনতে মিথ্যা বলাটাই কঠিন। এই মিথ্যা সহজে গলায় আসে না। বারবার মুখে আটকে যায়।‘ ‘ছেলেদের চেহারা সমগ্র জীবনে খুব একটা পাল্টায় না, কিন্তু মেয়েদের চেহারা পাল্টাতে থাকে। কুমারী অবস্থায় থাকে এক রকম চেহারা, বিয়ের কথাবার্তা ঠিকঠাক হওয়ার সময় অন্য এক রকম চেহারা, বিয়ের পর আরেক রকম চেহারা। মা হওয়ার পর চেহারা আবার পাল্টায়। যখন শাশুড়ি হয় তখন আরেক দফা চেহারা বদল।‘ ‘বড়লোকেরা যা করে নিজের জন্য করে। অন্যের জন্য করে না।‘

      By Mehedi

      20 Nov 2018 02:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মন্দ না!

      By Md. Saiful Islam Sohel

      18 Aug 2018 12:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৪ পর্ব – ৪ মাসঃ আগস্ট বইয়ের নামঃ বৃষ্টি বিলাস লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের ধরনঃ সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনঃ অন্যপ্রকাশ প্রথম প্রকাশঃ একুশে বইমেলা, ২০০০ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১০৪ মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা অনলাইন পরিবেশকঃ rokomari.com ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৯ / ৫ ◆লেখক পরিচিতি◆ বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম হুমায়ূন আহমেদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে গণ্য করা হয় হুমায়ূন আহমেদকে। তিনি একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচিত্রনির্মাতা। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। হুমায়ূন আহমেদেরবাবা চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিজ্ঞানে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ৫৬৪ নং কক্ষে তার ছাত্রজীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৭২ সালে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয়। ‘নন্দিত নরকে’ প্রথমে প্রকাশিত হলেও হুমায়ূন আহমেদের লেখা প্রথম উপন্যাস ছিল ‘শঙ্খখনীল কারাগার’। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি লিখেছিলেন ‘শঙ্খনীল কারাগার’। কোথাও কেউ নেই, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া, লীলাবতী, কবি, বাদশাহ নামদার, প্রিয়তমেষু, আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারী ইত্যাদি হুমায়ূন আহমেদ রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ। হুমায়ূন আহমেদ বহুমাত্রিক প্রতিভার জন্য অসংখ্য পুরষ্কারে ভূষিত হন। বাংলা একাডেমী পুরষ্কার, একুশে পদক, লেখক শিবির পুরষ্কার, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পুরষ্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার সহ আরো অসংখ্য পুরষ্কার অর্জন করেন তিনি। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্লোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হসপিটালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রিভিউ ◆ভূমিকা◆ ভালোবাসা, এক অদ্ভুত অনুভূতির অপর নাম। যা কখনো কাউকে বলে কয়ে আসে না। কখনো কখনো সেটা হঠাৎ করেই চলে আসে, আবার তেমন করে হঠাৎ করেই চলে যায়। কার যে কখন, কাকে ভালো লেগে যেতে পারে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রথমে যাকে দেখে বিরক্তি ভাব চলে আসে হয়তো তার জন্যই পরে অনুভূত হয় এক ধরণের আবেগ কিংবা ভালোবাসা। ◆গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহ◆ আবদুর রহমান, সুলতানা, শামা, এশা, আতাউর, তৃণা, আশফাকুর রহমান, মুত্তালিব সাহেব (শামাদের বাড়িওয়ালা) ◆কাহিনী সংক্ষেপ◆ কলেজ পড়ুয়া সাধারণ এক মেয়ে শামা। একদিন কলেজ থেকে ফিরে শামা দেখলো তার বাবা অফিস থেকে ফিরে এসেছেন। সাধারণত তিনি সন্ধ্যার আগে বাসায় ফেরেন না। আর তাকে বেশ হাসিখুশিও দেখাচ্ছিলো। ঘরের ভিতরে যাওয়ার পরে শামা তার মা সুলতানার কাছ থেকে জানতে পারলো তার নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে এবং বিকালে পাত্র পক্ষের তাকে দেখতে আসার কথা। পাত্র আতাউর শামার বাবার অফিসের জুনিয়র অফিসার। বিকালে পাত্র পক্ষ শামাকে দেখতে আসে এবং শামাকে তাদের পছন্দ হয়ে যায়। সেজন্য পাত্রের চাচা শামাকে একটা আংটি এবং এক হাজার এক টাকা দিয়ে যায়। তবে এই পুরো সময়ে পাত্র আতাউর ছিলো চুপচাপ এবং সে মাথা নিচু করে বসেছিলো। তবে শামার তাকে কেমন যেনো মনে হতে লাগলো। ওদিকে শামার বোন এশা মাহফুজ নামের এক ছেলের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং অদ্ভুত কিন্তু বেশ যুক্তিযত কথা বলতে থাকে। আর এশার এসকল কথা শুনে আতাউরের জন্য ভালোলাগা জাগতে থাকে শামার মনে। ওদিকে শামার মাথায় একটু অন্যরকম চিন্তা আসে। সে তার ছোট বোন এশা সেজে আতাউরকে ফোন করে এবং আতাউরকে শামার সাথে দেখা করতে বলে। আতাউর প্রথমে দেখা করতে না চাইলেও পরে ঠিকই সময়মতো শামার কলেজের সামনে উপস্থিত হয়। দেখা হওয়ার পরে দুজনই কেমন যেন বিব্রত বোধ করতে থাকে। এই বিব্রত অবস্থাতেই তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকে। আতাউরকে নিয়ে বাসায় ফেরে শামা। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করার পরে বান্ধবী মীরার বিয়েতে যাওয়ার জন্য আতাউরকে নিয়ে উপহার কিনতে বের হয় শামা। উপহার কিনে শামাকে তার বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছে দেয় আতাউর। অপরদিকে আতাউরের সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিতে গিয়ে শামার বাবা জানতে পারেন আতাউর মানসিক ভাবে অসুস্থ। আর এই অসুস্থতার পাত্র পক্ষ তাদের কাছে আড়াল করেছিলো। যার ফলে আবদুর রহমান সাহেব এই বিয়ে ভেঙে দেন। কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরেও আতাউরের জন্য শামার যে অনুভূতি জেগেছিলো সেটা কমলো না একটুও। মীরার বিয়েতে শামার সাথে পরিচয় হয় আশফাকুর রহমানের। আশফাকুররা বিশাল বড়লোক। তবে তাদের পরিচয়টা হয় এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। আর সেই আশফাকুরের সাথে শামার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায় তৃণা। তৃণা আশফাকুরের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের রাজি করায় এবং আশফাকুরের পরিবারও শামার বাবার সাথে দেখা করতে আসতে রাজি হন। যেদিন আশফাকুরের পরিবারের শামাকে দেখতে আসার কথা সেদিন শামা তার মা কে একটা চিঠি দেখায়। চিঠিটা আতাউর পাঠিয়েছিলো শামাকে। সেখানে সে শামাকে জানিয়েছিলো তার মানসিক অসুস্থতার কারণ। সেই চিঠি পড়ে সুলতানা চুপ করে বসে রইলেন। আর শামা, মুত্তলিব সাহেবের গাড়ি নিয়ে বের হলো আতাউরের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে, আতাউরের মনের বাসনা বৃষ্টি বিলাস করতে। কি হয়েছিলো শেষ পর্যন্ত? শামা কি গিয়েছিলো আতাউরের কাছে? তারা কী করেছিলো বৃষ্টি বিলাস? কি কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলো আতাউর। নাকি আশফাকুরের সাথেই বিয়ে হয়েছিলো শামার? সবকিছুর উত্তর রয়েছে ‘বৃষ্টি বিলাস’ বইটিতে। ◆পাঠ প্রতিক্রিয়া ও ব্যক্তিগত মতামত◆ মধ্যবিত্ত পরিবারের কিছু সীমাবদ্ধতা, একটি সাধারণ মেয়ের মনের আশা-ভালোবাসা, স্ত্রী-সন্তানকে ছাড়া জীবন কাটানো একজন মানুষের নিঃসঙ্গতা, পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের মেলবন্ধন হয়েছে এই বইটিতে। একই বইয়ের ভেতর কয়েকটি বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপন করা বেশ কঠিন একটা কাজ। তবে সেই কাজে যে হুমায়ূন স্যার অত্যন্ত পারদর্শী, সেটার পরিচয় এই উপন্যাসেও বেশ যথার্থ ভাবেই ফুটে উঠেছে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শামা এক্ষেত্রে বেশ আকর্ষণীয় চরিত্র। তার কথাবার্তা এবং আচরনের দিকটা খুবই ভালো লেগেছে। আর সেই সাথে শামার বাবার ধীরে ধীরে তার ছেলেমেয়েদের প্রতি ভালোবাসা জাগার বিষয়টিও উপভোগ্য ছিলো। তবে আতাউর চরিত্রের মানসিক অসুস্থতা আর একাকীত্বটা মনে খুব ছাপ ফেলেছে। আর মুত্তালিব সাহেব হলো নিঃসঙ্গ মানুষের এক উৎকৃষ্ট বহিঃপ্রকাশ এবং উদাহরণ। বইটি শেষ করার পরে কেমন যেনো একটা শূন্যতা অনুভব করছিলাম। ভাবছিলাম, সত্যিই কি মানুষের জীবনে এরকম হয়? ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে উপন্যাসটি বেশ উপভোগ্য এবং সুখপাঠ্য। শুরু থেকেই উপন্যাসটা বেশ সাবলীল গতিতে এগিয়েছে। কাহিনীর বর্ণনার ক্ষেত্রে হুমায়ূন স্যারের দক্ষতা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এই বইয়ের বর্ণনাও তার ব্যতিক্রম নয়। ‘বৃষ্টি বিলাস’ পাঠক মনযোগ ধরে রাখার মতো একটি বই। ◆ভালোলাগা লাইনগুলো◆ ‘মিথ্যা দু’রকমের আছে। হঠাৎ মুখে এসে যাওয়া মিথ্যা, আর ভেবে চিনতে বলা মিথ্যা। হঠাৎ মিথ্যা আপনা আপনি মুখে এসে যায়। কোনো পরিশ্রম করতে হয় না। ভেবে চিনতে মিথ্যা বলাটাই কঠিন। এই মিথ্যা সহজে গলায় আসে না। বারবার মুখে আটকে যায়।‘ 'ছেলেদের চেহারা সমগ্র জীবনে খুব একটা পাল্টায় না, কিন্তু মেয়েদের চেহারা পাল্টাতে থাকে। কুমারী অবস্থায় থাকে এক রকম চেহারা, বিয়ের কথাবার্তা ঠিকঠাক হওয়ার সময় অন্য এক রকম চেহারা, বিয়ের পর আরেক রকম চেহারা। মা হওয়ার পর চেহারা আবার পাল্টায়। যখন শাশুড়ি হয় তখন আরেক দফা চেহারা বদল।‘ 'বড়লোকেরা যা করে নিজের জন্য করে। অন্যের জন্য করে না।‘ বইটি রকমারি থেকে সংগ্রহ করার লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/908/bristi-bilas?ref=null শাহরুল ইসলাম সায়েম

      By Mahbuba Supti

      31 May 2017 02:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক মধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিনী নিয়ে তৈরি "বৃষ্টি বিলাস" এর কাহিনী। এই গল্পের নায়িকাই হলো এই পরিবারের বড় মেয়ে শামা। দেখতে বেশ রুপবতী। কলেজে পড়ে। তার বাবা আবদুর রহমান অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার। একদিন কলেজ থেকে বাসায় এসে জানতে পারে বাবা তার বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলে বাবারই অফিসে চাকরি করে। নতুন এসেছে। জুনিয়র অফিসার। আজই দেখতে আসবে। ছেলের নাম আতাউর। শামা ছেলের নাম জানার পর মনে মনে তাকে খাতাউর বলে ডাকে। ছেলেপক্ষ বাসায় আসে শামাকে পচ্ছন্দ করে আংটিও পড়িয়ে রেখে যায়। সেদিন রাতেই বাবা আতাউরের সাথে কথা বলার জন্য আতাউরের বড় বোনের বাসার টেলিফোন নাম্বার শামার কাছে দেয়। শামা বাড়িওয়ালা চাচার বাসা থেকে আতাউরকে ফোন দেয়। কিন্তু নিজের পরিচয় গোপন করে ছোট বোন এশার নাম বলে। এভাবে দুষ্টামি করে কথা বলতে বলতেই শামা অনুভব করে এই আতাউর ছেলেটার প্রতি বিশেষ দূর্বলতা। বেশ কিছুদিন পরের কথা। বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে আশফাক নামের এক ছেলের সাথে পরিচয় হয়। ছেলেটি বেশ বিত্তবান, প্রভাবশালি। এই আশফাক ছেলেটি শামাকে পচ্ছন্দ করে ফেলে। আবার এদিকে দূর্ভাগ্যক্রমে আতাউরের সাথে বিয়েটা ভেঙে যায়। আতাউরের একটা বিশেষ রোগ আছে যা শামার পরিবারের থেকে লুকিয়ে ছিলো। আর সেটা জানতে পেরেই আতাউরের সাথে বিয়ে ভেঙে দেয় শামার বাবা। আর আশফাকের সাথে বিয়ের কথা শুরু হয়। কিন্তু এরই মাঝে আতাউর একটা চিঠি লেখে শামাকে। চিঠি পড়ে শামা জানতে পারে এক করুণ কাহিনী। এখন কি করবে সে? কার কাছে যাবে? আবার কি ফিরে যাবে আতাউরের কাছে?

      By Md shahidul islam nahid

      13 Nov 2016 07:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "মুত্তালিব সাহেব দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, আমার জীবনে ইন্টারেস্টিং কিছু ঘটে নি। আল্লাহপাক কি করেন জানিস? মানুশ বানিয়ে তার পিঠে একটা করে সীল দিয়ে দেন। কারো সীলে লেখা থাকে Interesting Life. তার জিবনটা ইন্টারেস্টিং হয়। আবার কারো সীলে লেখা থাকে Happy Life. তার জীবন হয় আনন্দময়। আপনার সীলে কি লেখা? কিছুই লেখা নেই। শুধু একটা ক্রস চিন্‌হ দেয়া। এই চিন্‌হ দেয়ার মানে হলো--এই লোকের সব বাতিল।" "সে(শামা) জানালার কাঁচ নামিয়ে মুগ্ধ হয়ে বৃষ্টি দেখছে। সে কী করবে? সে কি গাড়িতে করে খানিকক্ষণ ঘুরে বাসায় ফিরে যাবে? যে মানুষটা মাকড়সা ধাঁধাঁর জবাব ঠিকঠাক দিতে পেরেছিলো তার সাথে জীবন শুরু করবে? না-কি আতাউর নামের মানুষটার কাছে উপস্থিত হয়ে বলবে, হ্যালো মিষ্টার। আসুনতো আমার সঙ্গে বৃষ্টি দেখবেন। আজ আমরা বৃষ্টি বিলাস করব। কোন ভয় নেই। আমি সারাক্ষণ আপনার হাত ধরে রাখব। এক মুহূর্তের জন্যেও হাত ছাড়ব না। কী করবে শামা?" লেখক গল্পের শেষাংশ পাঠকের জন্যে রেখে দিয়েছেন। আমি ধরে নিলাম গল্পটা মিলনাত্মক। অসম্ভব ভালো লাগা উপন্যাসের মধ্যে বৃষ্টি বিলাস একটি। সাধারনত একটা উপন্যাস একবারের বেশি পড়া হয় না। এই উপন্যাসটি প্রথম পড়েছিলাম ২০১১ সালে। তার পর আরো দুইবার। সব মিলিয়ে তিনবার পরার পরও আবার পোরতে ইচ্ছে করে।

      By Md Mahabubur

      30 Sep 2024 06:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একটি মধ্যবিত্ত প্রেমের টানাপোড়নের গল্প। অসীম ভালবাসায় অসুস্থ জেনেও ভালবাসার মানুষের মানুষের হাত ধরার উপন্যাস ।

      By Samaira Abedin Orin

      26 Sep 2024 02:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি খুব শখ করে কিনেছিলাম। হতাশ করেনি। তবে কিছু বিষয় আরো ভালো হতে পারত।

      By maf****com

      24 Aug 2024 09:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বৃষ্টির মৌসুমে এই বই টা সংগ্রহে না থাকলেই নয়। আগেই পড়া ছিল পিডিএফ ভার্সনে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিলাম হার্ড কপি একটা রাখি নিজের কাছে। হুমায়ুন আহমেদ এর অনেক অনেক উপন্যাস এর মধ্যে এটাও একটা সুন্দর উপন্যাস। পড়তে নিলে একবারেই শেষ করতে পারবেন পাঠকেরা। কোম রকম বোরিং নেস এর সুযোগ নাই। তবে বই টা মেয়ে পাঠকদের কাছে বেশি ভাল লাগবে পড়তে নিলে।

      By Shakib Ali

      04 Feb 2024 10:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ুন আহমেদ, বাংলা সাহিত্যের একজন দিকপাল ব্যক্তিত্ব, যাঁর লেখনীতে ফুটে উঠেছে জীবনের নানা রঙ। তাঁর অসাধারণ সৃষ্টির মধ্যে "বৃষ্টি বিলাস" একটি অনন্য রোমান্স উপন্যাস। কাহিনীর সারসংক্ষেপ: এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শামা, একজন সুন্দরী, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্না তরুণী। লেখক তার জীবনের বিভিন্ন দিক, আবেগ, ভালোবাসা, স্বপ্ন, এবং বাস্তবতার সংঘাতের চিত্র অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন। শামার জীবনে একের পর এক ঘটনা ঘটে। সে প্রেমে পড়ে, আবার প্রতারিত হয়। তার জীবনে আসে বন্ধুত্ব, বিশ্বাসঘাতকতা, এবং হতাশার মুহূর্ত। উপন্যাসের বিশেষ দিক: চরিত্রায়ন: হুমায়ুন আহমেদের চরিত্রায়নের দক্ষতা অসাধারণ। শামা, এশা, মুত্তালিব চাচা, আতাউর, আশফাকুর - এক একটি চরিত্র জীবন্ত হয়ে ওঠে পাঠকের মনে। ভাষা: লেখকের সাবলীল, প্রাঞ্জল ভাষা পাঠককে বারবার আকৃষ্ট করে। বর্ণনা: লেখকের অসাধারণ বর্ণনার মাধ্যমে পাঠক যেন স্পষ্টভাবে দেখতে পায় মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনযাত্রা, ঢাকা শহরের রূপ, এবং বর্ষাকালীন প্রকৃতির সৌন্দর্য। ভাবনার গভীরতা: লেখক শুধু রোমান্সের বর্ণনায় আটকে থাকেননি। তিনি জীবনের নানা দিক, মানুষের মনের ভাব, এবং সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। উপসংহার: "বৃষ্টি বিলাস" শুধু একটি রোমান্স উপন্যাস নয়, এটি জীবনের এক অসাধারণ কাব্য। হুমায়ুন আহমেদের অসাধারণ লেখনী পাঠককে বারবার মুগ্ধ করে। যারা এখনো এই উপন্যাসটি পড়েননি, তাদের জন্য এটি একটি অবশ্যই পঠনীয় বই। উপন্যাসটির কিছু উক্তি: "বৃষ্টির সাথে কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে।" "ভালোবাসা মানে অন্যের সুখে সুখী হওয়া।" "মানুষের জীবন একটা বৃষ্টিস্নাত দিনের মত।" পরিশেষে, আমি মনে করি "বৃষ্টি বিলাস" বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ। হুমায়ুন আহমেদের অসাধারণ সৃষ্টি পাঠককে বারবার আকৃষ্ট করবে।

      By Tahsin Tushar

      05 Feb 2020 11:40 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই। ?

      By Rahat Ibrahim

      01 Jan 2020 10:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রিভিউ~ বইঃ-বৃষ্টি বিলাস‌~লেখকঃ- হুমায়ূন আহমেদ..। এটি এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ কাহিনী.. আ! আ! সাধারণ কাহিনী বলে এই ভাব্বেন না যে বইটি বা গল্পটিও সাধারণ.. একটি সাধারণ কাহিনী কে কিভাবে অসাধারণ বানাতে হয় তা আমাদের প্রিয় লেখক স্যার হুমায়ূন আহমেদ ভালোমতোই জানেন... শামা সেই গল্পের মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন রূপবতী কন্যা.. তারা বাবা ব্যাংকের কর্মকর্তা..তবে তেমন কোনো বড়সড় নয় ছোটো-খাটো একটা পোস্টেই তার স্থান... শামা কলেজে পড়ুয়া ছাত্রী,আজ সে কলেজ ছুটির পর বাসায় ফিরেই রীতিমতো একটা ধাক্কা খেলো...ধাক্কার কারন সে আজ বাসায় ফিরে জানতে পারলো তার বাবা এক কলিগের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন নাম তার আতাউর এবং তারা আজই দেখতে আসবে... আতাউর সাহেব আসেন শামাকে দেখে তারা আংটি পরিয়ে যায়... এদিকে শামাও মনে মনে একটা বুদ্ধি আটে দুষ্টমির বুদ্ধি সে তার ছোটো বোন সেজে ফোনে কথা বলে এবং একদিন দেখাও করে.. একদিন শামা তার বান্ধবীর বিয়েতে যায় সেখানে আশফাকুর নামে এক বিরাট ধনী ব্যাক্তির সাথে পরিচয় হয় এবং সে শামাকে পছন্দ করে.. এ কথা জানতে পেরে শামার সেই বান্ধবী তাদের বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে... এদিকে ঘটে যায় আরেক ঘটনা আতাউর নামের সেই মানুষটি একটু মানষিক ভাবে অসুস্থ...। শুধুমাত্র বর্ষা এলে সে পাগল হয়ে যায়.. এই কথা শামার বাবা জানতে পেরে বিয়ে ভেঙে দিতে চায় কিন্তু....... আতাউর তার এই পাগল হওয়ার পিছনের ঘটনা বর্ননা করে শামাকে একটা চিঠি লিখে..... শামার বাবা আতাউরের রোগের কথা জানতে পেরে কি করেছিলেন? আতাউর সাহেবের পাগল হওয়ার পিছনের ঘটনা কি? আতাউর কি লিখেছিলেন চিঠিতে? শামা কাকে বিয়ে করলো আতাউর সাহেবকে না আশফাকুর সাহেব কে? এই সব কিছু জানতে হলে আপনাকে বইটি অবশ্যই পড়তে হবে খুবই রোমাঞ্চকর একটি কাহিনি... তাহলে দেরি না করে এখনই Add To Cart করুন আর অর্ডার করুন...

      By Marjiya

      18 Oct 2019 02:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ : "বৃষ্টি বিলাস" আমার পছেন্দর একটা বই। হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর সব বইয়ের মতোই এটাও খুব ভালো একটি বই। শামা মেয়েটি অসাধারণ শালি হয়ে নিজেরি হবু বরের সাথে কথা বলা গল্পটা না পরলে বোঝা যাবে না কি অসাধারণ একটি গল্প। আতাউর এর চরিত্র টি মন কেরেছে গল্পের শেষ টা একরাশ ভালোলাগা ও একই সাথে মন খারাপ দিয়ে সমাপ্তি করেছেন প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ ❤

      By Sahariar Kabir

      05 Oct 2019 05:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভাঙ্গা চেয়ার দিয়ে বইয়ের শুরু। শামা। গল্পের নায়িকা । যার বিয়ে ঠিক হয় বাবার অফিসের একটি ছেলের সাথে। ছেলেটি সাধারণ। খুব একটা বিশেষত্ব নেই তার। কিন্তু তবুও আস্তে আস্তে ভাল লাগতে শুরু হয় শামার ছেলেটিকে। ছোট বোন সেজে কথাও বলে ছেলেটির সাথে। আবার অন্যদিকে, বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে পরিচয় হয় সুদর্শন, বিত্তবান আরেকটি ছেলের সাথে শামার। পরিচয় পর্বটা একটু অন্যরকম। এই বিত্তবান , বুদ্ধিমান ছেলেটি ও চায় রুপবতি সরল এই মেয়েটিকে আপন করে।শামার পরিবারও তখন আগের সেই সাধারণ ছেলেটির পরিবর্তে বিত্তবান ছেলেটিকেই পছন্দ করল। ঠিক এমন সময়, শামার কাছে পৌছে সেই সাধারণ ছেলেটির অসাধারণ, চমকে দেয়ার মত এক চিঠি! জানতে পারে শামা এক করুন কাহিনী। একটি বার হাত ধরার অনুরোধ জানায় সাধারণ, অসহায় সেই ছেলেটি। এখন? কি করবে শামা? বিত্তবান মানুষটাকে আপন করবে? নাকি ভালবেসে ধরবে সাধারণ সেই ছেলেটির হাত? যার সাথে হবে বৃষ্টি বিলাস? অসাধারণ, অসম্ভব সুন্দর একটি বই।

      By Inzamam-ul-Haque (Ragib)

      18 Sep 2019 11:20 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বৃষ্টি বিলাস (হুমায়ূন আহমেদ) / Bristi Bilash (Humayun Ahmed) কলেজ পড়ুয়া সাধারণ এক মেয়ে শামা। একদিন কলেজ থেকে ফিরে শামা দেখলো তার বাবা অফিস থেকে ফিরে এসেছেন। সাধারণত তিনি সন্ধ্যার আগে বাসায় ফেরেন না। আর তাকে বেশ হাসিখুশিও দেখাচ্ছিলো। ঘরের ভিতরে যাওয়ার পরে শামা তার মা সুলতানার কাছ থেকে জানতে পারলো তার নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে এবং বিকালে পাত্র পক্ষের তাকে দেখতে আসার কথা। পাত্র আতাউর শামার বাবার অফিসের জুনিয়র অফিসার। বিকালে পাত্র পক্ষ শামাকে দেখতে আসে এবং শামাকে তাদের পছন্দ হয়ে যায়। সেজন্য পাত্রের চাচা শামাকে একটা আংটি এবং এক হাজার এক টাকা দিয়ে যায়। তবে এই পুরো সময়ে পাত্র আতাউর ছিলো চুপচাপ এবং সে মাথা নিচু করে বসেছিলো। তবে শামার তাকে কেমন যেনো মনে হতে লাগলো। ওদিকে শামার বোন এশা মাহফুজ নামের এক ছেলের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং অদ্ভুত কিন্তু বেশ যুক্তিযত কথা বলতে থাকে। আর এশার এসকল কথা শুনে আতাউরের জন্য ভালোলাগা জাগতে থাকে শামার মনে। ওদিকে শামার মাথায় একটু অন্যরকম চিন্তা আসে। সে তার ছোট বোন এশা সেজে আতাউরকে ফোন করে এবং আতাউরকে শামার সাথে দেখা করতে বলে। আতাউর প্রথমে দেখা করতে না চাইলেও পরে ঠিকই সময়মতো শামার কলেজের সামনে উপস্থিত হয়। দেখা হওয়ার পরে দুজনই কেমন যেন বিব্রত বোধ করতে থাকে। এই বিব্রত অবস্থাতেই তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকে। আতাউরকে নিয়ে বাসায় ফেরে শামা। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করার পরে বান্ধবী মীরার বিয়েতে যাওয়ার জন্য আতাউরকে নিয়ে উপহার কিনতে বের হয় শামা। উপহার কিনে শামাকে তার বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছে দেয় আতাউর। অপরদিকে আতাউরের সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিতে গিয়ে শামার বাবা জানতে পারেন আতাউর মানসিক ভাবে অসুস্থ। আর এই অসুস্থতার পাত্র পক্ষ তাদের কাছে আড়াল করেছিলো। যার ফলে আবদুর রহমান সাহেব এই বিয়ে ভেঙে দেন। কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরেও আতাউরের জন্য শামার যে অনুভূতি জেগেছিলো সেটা কমলো না একটুও। মীরার বিয়েতে শামার সাথে পরিচয় হয় আশফাকুর রহমানের। আশফাকুররা বিশাল বড়লোক। তবে তাদের পরিচয়টা হয় এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। আর সেই আশফাকুরের সাথে শামার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায় তৃণা। তৃণা আশফাকুরের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের রাজি করায় এবং আশফাকুরের পরিবারও শামার বাবার সাথে দেখা করতে আসতে রাজি হন। যেদিন আশফাকুরের পরিবারের শামাকে দেখতে আসার কথা সেদিন শামা তার মা কে একটা চিঠি দেখায়। চিঠিটা আতাউর পাঠিয়েছিলো শামাকে। সেখানে সে শামাকে জানিয়েছিলো তার মানসিক অসুস্থতার কারণ। সেই চিঠি পড়ে সুলতানা চুপ করে বসে রইলেন। আর শামা, মুত্তলিব সাহেবের গাড়ি নিয়ে বের হলো আতাউরের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে, আতাউরের মনের বাসনা বৃষ্টি বিলাস করতে। কি হয়েছিলো শেষ পর্যন্ত? শামা কি গিয়েছিলো আতাউরের কাছে? তারা কী করেছিলো বৃষ্টি বিলাস? কি কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলো আতাউর। নাকি আশফাকুরের সাথেই বিয়ে হয়েছিলো শামার? সবকিছুর উত্তর রয়েছে ‘বৃষ্টি বিলাস’ বইটিতে।

      By Jannatul Ferdouse

      30 Jan 2017 07:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা . রিভিউ বইয়ের নাম: বৃষ্টি বিলাস লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী: অন্য প্রকাশ পৃষ্ঠা: ৭০ . ভাঙ্গা একটা চেয়ার দিয়ে গল্পের শুরু। শামা। গল্পের নায়িকা। শান্তশিষ্ট মেয়ে শামা। দেখতে শ্যামলা তবে সুন্দরী। যার বিয়ে ঠিক হয় বাবার অফিসের একটি ছেলের সাথে। ছেলেটার নাম আতাউর। সাধারণ একটি ছেলে। খুব বেশী বিশেষত্ব নেই ছেলেটার। তবু আস্তে আস্তে ভাল লাগতে শুরু করে শামার ছেলেটিকে! ছোট বোন এশা সেজে বেশ ক'বার কথাও বলে টেলিফোনে সে ছেলেটির সাথে। . আবার অন্যদিকে, বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে পরিচয় হয় সুদর্শন বিত্তবান আরেকটা ছেলের সাথে শামার। পরিচয় পর্বটা একটু অন্যরকম। এই সুদর্শন বিত্তবান আর বুদ্ধিমান ছেলেটিও চায় রুপবতী সরল এই মেয়েটিকে আপন করে! শামার পরিবারও তখন আগের সেই সাধারণ ছেলেটির পরিবর্তে বিত্তবান ছেলেটিকেই পছন্দ করে বসে। . ঠিক এমন সময়, শামার কাছে পৌঁছায় সেই সাধারণ ছেলেটির একটি অসাধারণ চমকে দেয়া চিঠি! জানতে পারে শামা এক লোমহর্ষক করুন কাহিনী। একটি বার হাত ধরার অনুরোধ জানায় শামাকে সেই সাধারণ অসহায় ছেলেটি। এখন...... কি করবে শামা? বিত্তবান ছেলেটিকে আপন করে নিবে? নাকি ভালবেসে ধরবে সেই সাধারণ ছেলেটির হাত? যার সাথে হবে বৃষ্টি বিলাস........ . ব্যক্তিগত মন্তব্য: হুমায়ূন আহমেদের বই মানেই অন্যরকম কিছু। অন্যরকম ভাল লাগা। এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। অসাধারণ, চমৎকার একটি বই। তাই যারা এখনো পড়েননি অবশ্যই পড়ে নিতে পারেন। হ্যাপি রিডিং....

      By Nahid Farhana

      09 Oct 2016 10:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে আব্দুর রহমান সাহেবের পরিবার। তার বড় মেয়ে শামা দেখতে অসম্ভব রূপবতী হলেও বুদ্ধির দিক দিয়ে ছোটমেয়ে এশাই এগিয়ে। আর আছে একমাত্র ছেলে মন্টু, তাকে নিয়ে আব্দুর রহমান সাহেবের বিশেষ কোন আশা ভরসা নেই। এক দুপুরে হঠাত করেই শামা জানতে পারে যে বরপক্ষ তাকে দেখতে আসছে। এক্ষেত্রে তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাপারটায় সে বেশ রোমাঞ্চিত হয়। বরপক্ষের লোকজনদের ভড়কে দেয়ার জন্য নানারকম ফন্দিফিকির করে, লুকিয়ে চুরিয়ে লক্ষ্য করে তার হবু বর আতাউরকে, আর ঠাট্টা করে হবু বরের নতুন একটা নামও দিয়ে দেয় – ন’আনির জমিদার মিস্টার খাতাউর। শুধু তাই না, ছোটবোন এশা সেজে আতাউরের সাথে ফোনে কথা বলাও শুরু করে দেয় প্রানচাঞ্চল্যে ভরপুর এই অতি রূপবতী তরুনী। একসময় সে আবিষ্কার করে যে মানুষটাকে সে ভালবেসে ফেলেছে। তার দিনগুলো তখন আতাউরের স্বপ্নে বিভোর। একদিন কৌশলে আতাউরের সঙ্গে দেখা করে শামা; তারপর তাকে নিয়ে বান্ধবীর বিয়ের জন্য গিফট কিনতে যায়। এক অসাধারণ ভাললাগায় মোড়া সেই দিনটিতেই তাকে কল্পনার স্বর্গরাজ্য থেকে আছড়ে পড়তে হয় নির্মম বাস্তবের কঠিন ভূমিতে, স্বপ্নগুলো গুড়িয়ে যায় ভাঙ্গা কাচের টুকরার মত। বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে শামার পরিচয় হয় আশফাক নামের এক লোকের সঙ্গে। তাদের প্রথম সাক্ষাত শামার পক্ষে খুব একটা সুখকর না হলেও এই লোক হঠাত করেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় শামার জীবনে, যার ফলশ্রুতিতে তাকে পড়তে হয় মস্তবড় এক প্রশ্নবোধক চিহ্নের সম্মুখে। শামা কি পারবে সেই প্রশ্নের সঠিক সমাধান দিতে??? পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের গুটিকয়েক বই বাদে সব বইই আমার পড়া। তার মধ্যে এই বইটি আমার বিশেষভাবে প্রিয়। আমি কোন বই সাধারনত একবারের বেশি পড়িনা, কিন্তু বৃষ্টি বিলাস কতবার পড়েছি তার হিসাব আমার নিজের কাছেও নেই। শামার সাথে আতাউরের প্রতিটি কথোপকথন, প্রতিটি মুহূর্ত আমার মনে গেথে আছে। আমার দৃষ্টিতে এটি অসম্ভব রকমের রোমান্টিক একটি বই। এই বইয়ের শেষটা অনেকের কাছেই কনফিউজিং। তবে আমি বুঝতে পেরেছি শামা কি সমাধান দিয়েছিল তার নিজের মনের সেই মস্তবড় প্রশ্নবোধক চিহ্নের। একটু খেয়াল করলে আপনারাও বুঝতে পারবেন :) :) ।

      By Raghib Ishraq

      22 Apr 2015 04:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার একটি বই

      By Nabid Mostafa Zisan

      30 Mar 2013 01:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘বৃষ্টিবিলাস’-এর কাহিনী গতানুগতিক-ই। আর দশটা মধ্যবিত্ত জীবনের টানাপোড়েন আর নানা সিদ্ধান্ত নেবার, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার ও পরিশেষে ভাগ্যের কোন এক অপ্রত্যাশিত মোড়ে গিয়ে নিজেকে সঁপে দেয়া। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রকে (শামা) নিয়ে পাঠকের সাথে বেশ অনুভূতির খেলা খেলেছেন ‘পারদর্শী-অনুভূতি-গ্রাহক’ লেখক হুমায়ূন আহমেদ। সে বিষয়ে নতুন কিছু বলার নেই। পাঠক মাত্রই গল্পে প্রবেশ করে অনুভূতির বিচিত্র জালে আটকে যাবেন। আমি বরং আমার মুগ্ধতার জায়গাগুলোর কথা বলতে পারি। যদি নির্মাণশৈলীর কথা বলি, হুমায়ুন আহমেদ এমনভাবে চরিত্রগুলোকে ভাষা দিয়েছেন, পাঠকের কাছে তা হয়তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে না। কিন্তু মায়ার বাধনে ঠিকই আটকে যাবেন। এরকমই একটা চরিত্র মুত্তালিব চাচা, গল্পে তার বিশেষ ভূমিকা নেই বটে অথচ গল্প শেষে তার পরিণতি ও শামার জীবনপ্রকৃতির অনেক কিছুই তার আশেপাশে গেঁথে থাকে। এশার কথা বলতে পারি। কেন জানি মনে হয়, লেখক চরিত্রটাকে অনেকখানি স্বাধীনতা ও মনের অনেকটুকু কল্পনার আঁচড় একসাথে দিয়ে এঁকেছেন। এশা নিজের জীবনের পরিণতির অনেক সত্যকে স্বীকার করে অবলীলায়, অনেক দায়িত্ব পালন করে নিরানন্দ দৃঢ়তায়, মন্টুকে (শামা ও এষার ছোট ভাই ) মারার পরের অস্বাভাবিক বাস্তবতাকে মোকাবেলা করে স্বভাবসুলভ চপলতায়, আর রান্না-বান্নার মতো সব কাজ করে বেশ আনন্দের সাথেই। সব মিলিয়ে কেমন একটা রেশ থেকে যায় শেষ পর্যন্ত। শামার বাবা একজন গতানুগতিক ‘চিন্তা ও কন্যা’-দায়গ্রস্থ বাবা, তবে তার বেশ কিছু সহানুভূতিশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। একই কথা শামার মা সুলতানার জন্যেও যায়। এশার উদ্দেশ্যে তার একটা কথা অনেক কিছুই প্রমাণ করে দেবে-“তোর যখন স্বামী হবে তুই তাকে কাঁদাস। আমি আমার স্বামীকে কাদাতে পারবো না। ” আতাউরের কথাও বাদ পড়ে গেলো, শামার সাথে বিয়ের কথা হয়েও যার ভাগ্য শিকে ছিড়লো না। তার অসুস্থতা তার দোষ নয়-সেই ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠিটার সুন্দর কথাগুলি মনে ধরেছে- “কোন এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে কারো হাত ধরে তার কাধে মাথাটা এলিয়ে দিলে আমি ভুলে যাবো সবই ”। কেমন একটা মায়ার আবেশ জাগিয়ে চরিত্রটার পরিণতি দিয়েছেন লেখক!! শামার কথা আর কি বলবো। বইটি পড়ে পাঠক সবচেয়ে বেশি ভাববেন শামা আসলে কি করলো সেটার কথা (হুমায়ূন আহমেদের বহুল ব্যবহৃত কিন্তু কার্যকর ‘পাঠকের উপর ছেড়ে দেয়া’-টাইপ সমাপ্তি যেটা আরকি)। তবে শামার চপলসুলভ আচরণে হোক বা হঠাৎ নেয়া সিদ্ধান্ত-টাইপের আশ্চর্যরকম দুরন্ত ভাবনাগুলোর কারণেই হোক- পাঠক শামায় আটক যাবেনই। শামা কি কি করেছিলো তার বর্ণনায় যাবো না, পাঠক নিজে তার রস আস্বাদন করে নেবেন। তবে হাহাকার-মিশ্রিত মুগ্ধতায় ডুবে যাবেন তা বলতে পারি। শেষমেশ একটাই কথা, পুরো গল্পের সব চরিত্রের একক স্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদ কীভাবে একটা সাধারণ গল্প দিয়ে এত নিবিড়ভাবে পাঠক কে কাছে টানতে পারেন- তা আবারো টের পেলাম ‘বৃষ্টিবিলাস’ পড়ে। আবেগ-বিলাসী কিংবা গল্পপিয়াসী পাঠক পড়ে ঠকবেন না- এটা হয়তো বলা যায় (ব্যক্তিগত মতামতো ধরে নিতে পারেন এটাকে) ।উপন্যাসের সবচেয়ে প্রিয় লাইনটা দিয়েই শেষ করি "মস্ত বড় কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে-পরে মেয়েদের চোখে সব সময় পানি আসে"

      By Maruf Ahmed

      05 Jan 2020 09:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      'মেয়েদের বেশি বুদ্ধি ভাল না। বেশি বুদ্ধির মেয়ে কখনো সুখী হয় না। সংসারে যে মেয়ের বুদ্ধি যত কম সে তত সুখী। ' শামাকে আজ পাত্র পক্ষ দেখতে আসবে। পাত্রের নাম আতাউর(শামার মতে ন'আনির জমিদার খাতাউর)। শামা আজ সবুজ শাড়ি পরবে। কিন্তু তার লাল চুড়ি নাই। সবুজ শাড়ির সঙ্গে হাত ভর্তি লাল চুড়ি খুব মানায়। শাদা শাড়ির সঙ্গে মানায় নীল চুড়ি। শামাকে শাড়িতে বেশ মানিয়েছে। ছেলেদের চেহারা সমগ্র জীবনে খুব একটা পাল্টায় না, কিন্তু মেয়েদের চেহারা পাল্টাতে থাকে। শামা হুটহাট মানুষকে চমকিয়ে আনন্দ পায়। প্রথম দিকে বিয়েতে তেমন একটা রাজি না থাকলেও পরে আতাউরকে নিয়ে বিভিন্ন কল্পনা করতে করতে তার প্রেমে পড়ে যায়,যদিও বিয়ে ঠিক হবার পর প্রেমে পড়া মানা লাইসেন্স করে প্রেমে পড়া। শামা যেকোনো কিছু নিয়ে খুব বেশিই কল্পনা করতে ভালোবাসে। তার আর একটা বদ অভ্যাস হলো মিথ্যা কথা বলার। সে তার ছোট বোন এশা বলে আতাউরের সাথে নিয়মিত কথা বলতো আর বিভিন্ন পরিকল্পনা করতো দেখা করার জন্য। আশফাকুরের সাথে শামার বিয়ে ঠিক হয় নতুন করে। আতাউরের সাথে বিয়েটা আর হয় না কারণ আতাউর বৃষ্টির সময় পাগল হয়ে যায়,তখন তাকে রুমে আটকিয়ে রাখতে হয়। এই খবরটা তারা গোপন করেছিল কারন আতাউর ভেবেছিল শামার সাথে তার বিয়ে হলে সে তার পুরান ভয়ংকর স্মৃতি টা ভুলে যাবে।...... "শামা গাড়ির জানালার কাচ নামিয়ে মুগ্ধ হয়ে বৃষ্টি দেখছে। সে কি করবে? সে কি গাড়িতে করে খানিক্ষন ঘুরে বাসায় ফিরে যাবে? যে মানুষটা মাকড়সা ধাঁধার জবাব ঠিকঠাক দিতে পেরেছিল তার সঙ্গে জীবন শুরু করবে? নাকি আতাউর নামের মানুষটার কাছে উপস্থিত হয়ে বলবে, হ্যালো মিস্টার। আসুনতো আমার সঙ্গে বৃষ্টি দেখবেন।আজ আমরা বৃষ্টি বিলাস করবো।কোনো ভই নেই। আমি সারাক্ষণ আপনার হাত ধরে রাখবো। এক মুহূর্তের জন্যেও হাত ছাড়বো না। কী করবে শামা? শামা কাঁদছে।শাড়ির আঁচলে সে চোখ মুছছে।কোনো বড় সিদ্ধান্ত সে নিয়ে নিয়েছে । মস্ত বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগে মেয়েদের চোখে সব সময় পানি আসে।"

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      21 Nov 2019 12:20 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      কবিগুরুর পরে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়ার মাধ্যমেই আমার সাহিত্য জগতের পদচারনার শুরু। হুমায়ূন আহমেদের বই নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চাইনা।হুমায়ূন ভক্তরা জানে গল্পের জাদুতে তিনি পাঠককে কতটা মোহবিষ্ট করে রাখতে পারেন।তিনি বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য নক্ষত্র।

      By Nadim Mahmud

      18 Mar 2013 05:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ুন আহমেদের সেরা কিছু উপন্যাসের মাঝে একটি "বৃষ্টি বিলাস"। সুখের আশায় ছুটে চলা আমাদের জীবনে সুখের খোঁজ কম বেশী সবাই করে। বইটিতে লেখক একজন মেয়ের জীবনীতে একটি ছেলের প্রভাব সুক্ষ ভাবে তুলে ধরেছেন। শামার বিয়ে ঠিক হয় তার বাবার অফিসের এক কলিগের সাথে। কিন্তু মেয়েটির মন দোটানায় পরে যখন সে জানে তার মনের মাঝে যে লোকটি একটু একটু ভালোলাগার জন্ম দিয়েছিলো, তার জটিল এক সমস্যা আছে। ছেলেটি প্রতি বর্ষায় একবার পাগল হয়ে যায়। তাই শামা নামের মেয়েটি বাবার পছন্দের ছেলেকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। আতাউর নামের ছেলেটির প্রতি বর্ষায় এই পাগল হওয়ার পিছের কাহিনীটাই গল্পের চুম্বুক অংশ। শেষ পর্যন্ত শামা তার সিদ্ধান্ত বদলায়। সে প্রতি বর্ষায় আতাউরের সাথে বৃষ্টি বিলাস করবে। কথাটা ভাবতেই তার দু-চোখ বেয়ে অঝোরে বৃষ্টি ঝরছিলো।

      By Tanzila

      31 May 2014 09:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক নিম্ন মধবিত্ত পরিবারের এক কাহিনী । খুবই সাধারন কাহিনীকে লেখক পরিণত করেছেন অসাধারণ এক লেখায়। শামা। রুপবতী। নিম্ন মধবিত্তের কলেজে পড়ুয়া এক মেয়ে। তার বাবা ব্যাংকের একজন সাধারন কর্মকর্তা। হটাত একদিন কলেজ থেকে ফিরে শামা জানতে পারে তার বাবা তার জনে এক ছেলে পছন্দ করেছে বিয়ের জন্যে । তারা আজই দেখতে আসবে। ছেলের নাম আতাউর। ব্যাংকের সাধারন কর্মচারী। তারা শামাকে দেখতে আসে। এবং শামা কে তারা পছন্দ করে আংটি পড়িয়ে বিয়ের কথাও পাকাপাকি করে ফেলে। শামা এর এতে কোনো ভাবান্তর হয়না। হটাত তার মআথায় এক দুস্টামী বুদ্ধি আসে। সে তার ছোট বোন এশা সেজে টেলিফোনে আতাউর এর সাথে কথা বলে। আতাউর কে শামার এর সাথে দেখা করতে বলে। শামা এর সাথে আতাউর দেখা করে। শামা আতাউর এর জন্যে কিছু অনুভব করে মনের মধ্যে হটাত করে। শামা তার এক বান্ধবীর বিয়েতে যায়।সেখানে আশফাকুর নামে খুবই বড়লোক এক জন শামা কে পছন্দ করে। তখন শামার বান্দবী ত্রিনা এই বিয়ে দেয়ার কলকাঠি নাড়তে থাকে। এদিকে শামার বাবা জানতে পারে আতাউর মানসিক ভাবে অসুস্থ। বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আতাউর শামাকে একটি চিঠি লিখে তার অসুস্থতা ও কেন অসুস্থ সেটা নিয়ে। এই চিঠি পড়ার পর শামা একটি কঠিন সিধান্ত নেয়।কথাটা ভাবতেই তার দু-চোখ বেয়ে অঝোরে বৃষ্টি ঝরছিলো। সেই সিধান্ত টি কি জানতে হলে পরতে হবে বইটির শেষ পর্যন্ত। এছাড়াও আছে বিভিন্ন চরিত্র তাঁদের ভূমিকা নেই মুল কাহিনিতে কিন্তু লেখকের লেখার নৈপুন্যে মনে হয় তারা না থাকলে কাহিনী সম্পূর্ণ হত না। যেমন চরিত্র মুত্তালিব চাচা, শামা ও এষার ছোট ভাই ,শামার মা সুলতানা

      By Afia Jahin

      11 Mar 2012 01:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      College-going Shama's father fixes her marriage with a young man from his office.But soon afterwards, Shaama's father himself breaks off the marriage.By then,Shaama is already in love with the young man.The reason for breaking off the marriage is a mystery.The truth is revealed in letter which Ataur(the young man) sends to Shaama at the end of the book.

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!