User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
জঘন্য বই। রুচির অভাব।টাকাটাই নষ্ট
Was this review helpful to you?
or
বলার বাইরে বই!!!
Was this review helpful to you?
or
Masterpiece!!
Was this review helpful to you?
or
নামঃ দানব লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল সার-সংক্ষেপঃ দানব উপন্যাসটি জাফর ইকবাল স্যারের লেখা একটি ভৌতিক উপন্যাস। উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র রাজু। যে অনেক কিছুই দেখতে পায় যা কিছুক্ষণ বা কিছুদিন পর ঘটতে যাচ্ছে তার সাথে অথবা তার সামনে অথবা তার কোন প্রিয় জনের সাথে। সে এগুলো তার বান্ধবী চৈতী কে বললে তার কাছে এগুলো বানোয়াট মনে হয়। আর কিছুদিন পর চৈতী আমেরিকার এক ছেলেকে বিয়ে করে সেখানে চলে যায়। এর মধ্যে, রাজু এক শয়তানের উপাসক এর পাল্লায় পড়ে। যারা রাজুকে অজ্ঞান করে তাদের উপাসনা স্থলে নিয়ে যায়, যাতে রাজুর মধ্যে শয়তানকে উপস্থিত করতে পারে। কিন্তু রাজু তার নিজের মনবলের মাধ্যমে শয়তানকে উপস্থিত হতে দেয়নি। যে নীরা সেদিন নিজের সন্তান কে শয়তানের জন্য বলী দিতে চেয়েছিল, অনেক বছর পর সেই নীরা রাজুকে খোজা শুরু করল তার সন্তান কে শয়তানের উপাসক "কোরায়েশি"এর হাত থেকে বাচানোর জন্য। আর উপন্যাসের শেষে চৈতী আর রাজুর প্রচেষ্টায় নীরার ছেলেকে বাচানো সম্ভব হয়, যদিও নীরার মৃত্যু হয়।
Was this review helpful to you?
or
দুই ডিপার্টমেন্ট এর মাঝে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। রাজুদের ডিপার্টমেন্ট এর ছেলেরা ব্যাট করছে। রাজু মাঠের পাশে বসে বসে খেলা দেখছে। হঠাৎ তার মুখ ফ্যাকাসে ও বিবর্ণ হতে শুরু করলো! সে কিছু একটা বিপদ টের পাচ্ছিলো! তার নাকে বিপদের গন্ধ টা লাগছিল।রাজু ছেলেটা একেবারে অন্যরকম। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছে। মাকে কিছুটা দেখেছিল কিন্তু মনে নেই তত। মামার কাছে মানুষ। মামা মামী তাকে আদর বা অনাদর কিছুই করে নি কখনো। ছোট বেলা থেকেই একা একাই বড় হয়েছে।রাতে ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙে একা একা বসে থেকেছে।ভয়ে হাত পা মুচড়ে রেখেছে। দূর থেকে কান্নার শব্দ শুনেছে। রাজু এটা বুঝতে পারতো, সে যা শুনে তা আর কেউ শুনতে পারে না। এখন সে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।বিপদ টা আচঁ করার পরও সে উঠে গেল না। বসে থাকলো বিবর্ণ মুখে। পরদিন চৈতি তাকে একটা ডাক্তার এর কার্ড দিলো। ডাক্তার তাকে অনেক রকম প্রশ্ন করল। সব ঠিক ঠিক উত্তর দিল রাজু। আবারও সে বিপদের গন্ধ টা পেলো। এবং চোখের সামনে সেটা দেখতে পেল। আর এই বিপদ টা ডাক্তারের। ডাক্তার কে এটা বলার পর তিনি অবাক হন । একটু পরে ডাক্তার জানতে পারলো কথা টি মিথ্যা নয়। রাজু ডাক্তার এর কাছ থেকে চলে এল। এর পরেই কিছু ঘটনা খুব তারাতারিই ঘটে যায়। নীরা নামের একটা মেয়ে রাজুর সাথে দেখা করতে চাইলো। তারই হাত ধরে রাজু পড়ল কিছু ভয়ংকর মানুষের খপ্পরে। যারা শয়তানের উপাসনা করে থাকে। এবং তা নিজের স্বার্থের জন্য। তারা এভাবে লুসিফার এর পুজা করে যাতে তারা মহাশক্তির অধীকারী হতে পারে। অতিপ্রাকৃত মানব হওয়ার আশায় তারা শিশু উৎসর্গ করে শয়তান লুসিফার কে । তাতে লুসিফার থেকে আশীর্বাদ আশা করে। আরও নিকৃষ্ট কাজ হচ্ছে মৃত আত্না গুলোকেও শয়তানের উপাসনায় কাজে লাগাতে চায়।এদের মধ্যে যে লোক টি নেতা পর্যায়ে সে অনেক টা সফল। শুধু আর একটা ধাপ! তাহলেই সে মহাশক্তির অধিকারী হয়ে যাবে। তাদের মহা শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হয় রাজুর। দানব অনেক টা অলৌকিক ভৌতিক টাইপের উপন্যাস। আছে শয়তান লুসিফার এর খেলা। তার উপাস্য কিছু শক্তিলোভী মানুষ। লেখক এর উপন্যাসে দানব এর দেখা মিলে একেবারে শেষে। ভৌতিক এই অলৌকিক আকর্ষণ টাই পাঠক কে আগ্রহী করে তুলবে। আর একটা জিনিস আগ্রহী করবে তা হলো একটা বাচ্চা। পাঠক এর চোখে আটকে থাকবে চার মাস বয়সী বাচ্চা টা। তার হাসি, কথা বলা অমলিন। নিঃসন্দেহে দানব বইটা বেশ জনপ্রিয় পাঠক দের কাছে। আমার অসম্ভব ভালোলাগার বই গুলোর মধ্যে একটি। যদিও আমি এই বাচ্চাটারই ফ্যান। আমি ওর মুখের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দেওয়ার চিত্র টা বেশ পছন্দ করি। আর তার থেকে বেশি অপছন্দ করি তার মাকে। বাংলাদেশের অন্যতম কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফার ইকবাল। যিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনেক প্রিয় ব্যক্তিত্ব। মুক্তিযুদ্ধা ফয়জুর রহমান ও আয়েশা ফয়েজ এর দ্বিতীয় ছেলে। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ ও রম্য কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব এর ভ্রাতা। তিনি একজন পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।তিনি পাঠক দের কাছে জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর জন্য। এছাড়াও তিনি শিশুসাহিত্যিক ও একজন কলাম লেখক। তাঁর অনেক উপন্যাস থেকে চলচিত্র নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান।
Was this review helpful to you?
or
শয়তানের সাধক কোরায়শী যে কিনা শয়তানের আশীর্বাদের মাধ্যমে মৃতকে জীবিত এবং জীবিতকে মৃতে রূপান্তর ক্ষমাতে অর্জনের কাছাকাছি পৌছে যায়।আর মাত্র একধাপ বাকী তারপরই সে মহাশক্তির অধিকারী হয়ে যাবে।কিন্তু তার সামনে বাধা হয়ে যায় রাজু নামের একটি ছেলে যে আগে থেকেই কিছু ঘটনা আগামভাবে জানতে পারে।অবশেষে মুখোমুখি হয় শয়তানের সাধক কোরায়শী আর রাজু।রাজু কি পারবে অসীম ক্ষমতাধর কোরায়শীকে হারাতে?নাকি সে শয়তানের আত্মতুষ্টির মাধ্যমে মহাশক্তিধরে পরিণতি হয়?জানতে হলে পড়তে হবে জাফর ইকবাল স্যারের চরম উত্তেজনাকর এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
Awesome book
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
"দানব" কে বলা যেতে পারে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি ভূতূড়ে কিংবা অলৌকিক ধরণের উপন্যাস । বইটির কাহিনী সংক্ষেপ এ রকম - কিছু খারাপ মানুষের মাঝে অতিপ্রাকৃত মানব হবার ইচ্ছা জেগেছে । তারা শয়তানকে তুষ্ট করার মাধ্যমে এ ক্ষমতা অর্জন করতে চায় । ছোট ছোট শিশুদের উত্সর্গ করে সন্তুষ্ট করতে চায় শয়তান লুসিফারকে । আশীর্বাদ পেতে চায় লুসিফারের । সাথে সাথে সকল মৃত আত্মাকেও শয়তানের উপাসনায় লাগাতে চায় । এই খারাপ লোকেদের লীডার কোরায়শী মহাশক্তি অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে । জীবিত কে মৃত আর মৃত কে জীবিত করার অলৌকিক ক্ষমতায় কাছাকাছিও পৌঁছে গেছে সে । আর এক ধাপ পেরোলেই মহাশক্তি । কিন্তু তার মহাশক্তি অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ একটি ছেলে রাজু । কিছু কিছু বিচিত্র সংবাদ রাজু কেমন করে জানি অলৌকিকভাবে আগাম পেয়ে যেতে লাগল । নিজের ভেতর যে অলৌকিকতার তার ব্যাখ্যা রাজু নিজেও জানেনা ! অবশেষে একে অপরকে মোকাবেলা করার জন্য সমুদ্রের পাড়ে রাজুর মুখোমুখি হয় শয়তানের প্রবল শক্তির সাধক কোরায়শী আর তার দল । চলে এক আশ্চর্যরকম লড়াই । এমনই অলৌকিকতার এক কাহিনী "দানব" !
Was this review helpful to you?
or
কি বলবো বইটা সম্পর্কে!!! গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাবার মতো উত্তেজনা প্রতিটা পৃষ্টায়। পরের পৃষ্টায় আসলেই কি হবে বোঝা যায় না। শুধু এটুকুই রিভিউ দিয়ে বলবো ''আপনারা ও পড়ুন বইটা, সময় নষ্ট হবেনা''।
Was this review helpful to you?
or
বই: দানব লেখক: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ক্যাটাগরি: ভৌতিক প্রকাশনী: বিদ্যা প্রকাশ পৃষ্ঠা: ১২৬ মূল্য: ১৪১ টাকা রিভিউ: বাবা মা হারানো রাজু ছোট্ট থেকেই অদ্ভূত কিছু দেখতে পায়। শুনতে পায়। অনুভব করতে পায়। কারো কোনো দূঃসংবাদ এলে বুঝতে পারে। এটা অলৌকিক ক্ষমতা। সে তার কাছের বন্ধু চৈতীর কাছে কথাটা বলে। চৈতী বিশ্বাস করে না। সে তাকে সাইকিয়াট্রিক ডক্টর মুশফিকের কাছে যেতে বলে। ডক্টর মুশফিক তাকে স্কিতজোফ্রিনিয়ার রোগী ভেবে বসে। এমন সময় রাজু দেখতে পায় এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় ডক্টর মুশফিককে বলছে মুশ বাবা দেখ আমার কি হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় সেটা শুধু রাজুই দেখতে পায়। ডক্টর মুশফিক দেখতে পান না। রাজু তাকে বলে তার মা অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছেন। তার সেখানে যাওয়া উচিত। রাজু বেরিয়ে চলে যায় সেখান থেকে। এরপর অদ্ভুত সব কিছু ঘটতে থাকে। নীরা নামের একটি মেয়ে। তার সাথে ছিল বাপ্পী নামের একটি ছোট্ট ছেলে। চার মাস বয়স। রাজুর কাছে এসে সাহায্য যায়। সে শুনতে পেরেছে ডক্টর মুশফিকের ঘটনাটা। নীরা প্যারা সাইকোলজি নিয়ে রিসার্চ। তাই সে এবং বিদেশ থেকে আগত কয়েকজন তাকে কিছু প্রশ্ন করতে চায়। রাজুর কাছে একদিন সময় চায়। রাজু সম্মত হয়। কিছুদিন নীরা আবার আসে রাজুর কাছে। রাজুকে তার সাথে যেতে বলে রাজু তার সাথে যায়। একজন লোককে দেখতে পায় গাড়ির ভিতর। কোরায়শি। তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজু জেগে উঠে দেখে মুখোশ পড়া অনেকগুলো মানুষ। তার লুসিফারের উপাসক। শয়তানকে তারা লুসিফার ডাকে। তারা লুসিফারকে ডাকছে। লুসিফার এসে ভর করবে রাজুর গায়ে। আর লুসিফারের জন্য তারা সাক্রিফাইস করছে একটা বাচ্ছা। আনুগত্যের নিদর্শন হিসেবে রাখা হয় বাপ্পীকে। সেখানে উপস্থিত রয়েছে নীরা নিজেও। রাজু অবাক হয়ে যায়। তারপর..... সেখান থেকে বেছে ফিরে আসতে পারে রাজু। তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সব ফ্রেন্ডরা তাকে দেখতে আসে। দেখতে আসে চৈতিও। রাজু বুঝতে পারে চৈতি চলে যাচ্ছে। চৈতির বিয়ে ঠিক হয়েছে। চৈতিও তাকে তাই বলে সে বিদেশে চলে যাচ্ছে। রাজুর মনে তাদের সম্পর্কটা হয়তো বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি কিছু ছিল। মনে হয় চৈতিরও কিন্তু। দুজনেই গোপন করে বিষয়টা। চলে যায় চৈতি। এরপর আসে নীরা। সেই নীরা যে কিনা নিজের সন্তানকে শয়তানের কাছে সাক্রিফাইস করতে প্রস্তুত। নীরা জানিয়ে দেয়। তারা এদেশ থেকে চলে যাচ্ছে। এখন রাজুর আর ভয় নেই। কারন এখন তারা নতুন বাপ্পীকে পেয়ে গেছে! নীরা, চৈতি দুজনেই চলে যায়। কিন্তু ঘটনাক্রমে ছয় বছর পর তারা আবার ফিরে আসে। ফিরে আসে একটি মানুষের খোজে। রাজু। কিন্তু কেন? রাজুকে তাদের কেন দরকার? আর বাপ্পী তার কি হল? কিংবা ভয়ংকর দানব লুসিফার তার কি বিনাশ সম্ভব নয়? আর কোরায়শী সে কি পেরেছে শয়তান হতে? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা- "দানব"। পাঠ প্রতিক্রিয়া: হরর গল্প পড়ার সময় ভয়, বিস্ময়, ভালো লাগা এক হয়ে যায়। এ বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। ভালো লেগেছে। কিন্তু ছোট হয়ে গেছে। আর ডায়লগগুলো আরো ভালো করা উচিত ছিল। হরর গল্প তাই কথোপকথনটা আরো রোমাঞ্চকর হওয়া উচিত ছিল। বর্ণনা বা ভীতিকর মূহুর্ত কম হয়ে গেছে। নীরার ফিরে আসার প্রক্রিয়াটা খাপছড়া লেগেছে। শেষটা ভালো হয়েছে। আরো বড় করলে ভালো লাগত। ব্যক্তিগত রেটিং: ৩.৮/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ দানব লেখকঃজাফর ইকবাল প্রকাশনীঃবিদ্যা প্রকাশনী ধরনঃসায়েন্স ফিকশন মূল্যঃ১৫০ টাকা( রকমারি মূল্যঃ১১৩ টাকা) . "দানব"কে বলা যেতে পারে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি ভূতূড়ে কিংবা অলৌকিক ধরণের উপন্যাস । উপন্যাস এর কেন্দ্রীয় চরিত্র রাজু তাকে নিয়েই গল্পের শুরু এবং তাকে দিয়েই গল্পের শেষ। . রাজু ছেলেটা একেবারে অন্যরকম। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছে। মাকে কিছুটা দেখেছিল কিন্তু মনে নেই তত। মামার কাছে মানুষ। মামা মামী তাকে আদর বা অনাদর কিছুই করে নি কখনো। ছোট বেলা থেকেই একা একাই বড় হয়েছে।রাতে ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙে একা একা বসে থেকেছে।ভয়ে হাত পা মুচড়ে রেখেছে। দূর থেকে কান্নার শব্দ শুনেছে। রাজু এটা বুঝতে পারতো, সে যা শুনে তা আর কেউ শুনতে পারে না। . রাজু যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশোনা করেছিল তখন তার একমাত্র কিছু বুন্ধর মধ্যে চৈতি ছিল অন্যতম। এ উপন্যাসের নায়িকা ও সে।রাজু চৈতিকে বলেছিল সে কারো কথা শুনে কারো কান্না শব্দ শুনে তখন একজন ডাক্তার এর কার্ড দিয়ে সেখানে যেতে বলে। . ডাক্তার কাছ থেকে ফেরার পর তার নীরা নামে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। তারই হাত ধরে রাজু পড়ল কিছু ভয়ংকর মানুষের খপ্পরে। যারা শয়তানের উপাসনা করে থাকে। . #কাহিনী_সংক্ষেপঃ কিছু খারাপ মানুষের মাঝে অতিপ্রাকৃত মানব হবার ইচ্ছা জেগেছে । তারা শয়তানকে তুষ্ট করার মাধ্যমে এ ক্ষমতা অর্জন করতে চায় । ছোট ছোট শিশুদের উত্সর্গ করে সন্তুষ্ট করতে চায় শয়তান লুসিফারকে । আশীর্বাদ পেতে চায় লুসিফারের । সাথে সাথে সকল মৃত আত্মাকেও শয়তানের উপাসনায় লাগাতে চায় । এই খারাপ লোকেদের লীডার কোরায়শী।শয়তানের সাধক কোরায়শী যে কিনা শয়তানের আশীর্বাদের মাধ্যমে মৃতকে জীবিত এবং জীবিতকে মৃতে রূপান্তর ক্ষমাতে অর্জনের কাছাকাছি পৌছে যায়।আর মাত্র একধাপ বাকী তারপরই সে মহাশক্তির অধিকারী হয়ে যাবে।কিন্তু তার সামনে বাধা হয়ে যায় রাজু নামের একটি ছেলে যে আগে থেকেই কিছু ঘটনা আগামভাবে জানতে পারে।অবশেষে মুখোমুখি হয় শয়তানের সাধক কোরায়শী আর রাজু।রাজু কি পারবে অসীম ক্ষমতাধর কোরায়শীকে হারাতে?নাকি সে শয়তানের আত্মতুষ্টির মাধ্যমে মহাশক্তিধরে পরিণতি হয়?জানতে হলে পড়তে হবে জাফর ইকবাল স্যারের চরম উত্তেজনাকর এই বইটি। . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্মঃ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃত হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। দানব বইটা জাফর ইকবাল স্যার এর অন্যতম একটি বই।পড়ে ভালই লাগছে। যারা পড়েন নি পড়ে দেখতে পাড়েন আশা করি ভাল লাগবে। হাপি রিডিং.....
Was this review helpful to you?
or
#রকামারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ দানব লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল পৃষ্ঠাঃ ১২৬ মলাট মূল্যঃ ১৫০ প্রকাশনাঃ বিদ্যাপ্রকাশ রাজু ছোট বেলা থেকে অন্য রকম । তাকে কেউ বুঝতে পারে না । যদিও কেউ তাকে বুঝুক । এ নিয়ে যদিও তার কোন মাথা ব্যথা নেই । কারণ সে অন্য রকম এটা জানে সে । মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শেষ এ বিশ্ব বিদ্যালয় ও শেষ করে অজানা এ চরে শিক্ষকতা করে । সুখেই দিন কাটে । কিন্তু ভাগ্য তার সব সময় অন্য রকম । চৈতি ছাত্রী হিসেবে ভালো । সবার জন্য তার ভাবনা থাকে । কিন্তু এক পর্যায়ে বিয়ে করে বিদেশ এ পাড়ি জমায় । যদিও পিছনে ফেলে যায় এক অতীত । তখন ও হয়ত সে জানে না তার অতীত কে এক দিন খুজে বেরাবে সে । বর্তমান কে সুন্দর করতে যেয়ে অতীত কে বার বার খুজতে হবে । তার অতীত ই এক দিন তার ভবিষ্যৎ হবে । নীরা এক বাচ্চা আর চোখে কালো চশমা পরা বডি গার্ড নিয়ে ঘুরে বেরায় । তার কোলের বাচ্চাটা পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্ব বহন করে । কিন্তু এক দিন এই বাচ্চার জন্য তাকে জীবন দিতে হবে । এই বাচ্চাকে নিয়ে পৃথিবীর এক পৃষ্ঠ থেকে অন্য পৃষ্ঠে যেতে হবে । মায়া মমতা পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী অনুভূতি । কোরায়শী একজন সাধক । তার সাধনা বিষয় অন্য সব কিছুর থেকে আলাদা । কিন্তু সে নিজেও জানে না । তার সাধনার বিষয়ে এক দিন ব্যঘাত ঘটবে । এত কাছে এসেও তার লক্ষ্য ব্যর্থ হবে । তার এত দিনের সাধনা শেষ হয়ে যাবে নিমিষে । বইটা ভৌতিক না আবার সায়েন্স ফিকশন না । কিন্তু মানুষের ভেতর এর ক্ষমতা সম্পর্কে মানুষ নিজেও হয়ত কম জানে । আপনি আমি কই বলতে পারি কার ক্ষমতা কতটুকু । তবে অন্য সব বই থেকে আলাদা । কিন্তু এধরনের বই পড়া টা আমার ভালো লাগে না । অল্পতেই শেষ । কিন্তু যে বিষয় টা উপস্থান করা হয়েছে সেটা সুন্দর ভাবে তার লেখনির অসাধারণ উপস্থাপানায় আরো সুন্দর হয়ে । বইটি পড়ার সময় নিজের ভেতর এ কোন শক্তি অনুভব করেও করে পারেন । সর্বোপরি বইটি আপনার ভিতর কে জাগিয়ে দিতে পারে ।
Was this review helpful to you?
or
নামঃ দানব লেখকঃজাফর ইকবাল প্রকাশনীঃবিদ্যা প্রকাশনী ধরনঃসায়েন্স ফিকশন /আধিভৌতিক মূল্যঃ১৫০ টাকা( রকমারি মূল্যঃ১১৩ টাকা) প্রকাশকালঃ ২০০৯ পৃষ্ঠাঃ১২৬ কাহিনীঃ দানব গল্পের শুরু অদ্ভুত এক ছেলে রাজু কে নিয়ে, যে নিজে বিপদের গন্ধ পায়। বাবা মারা যাবার পড়ে তার মায়ের কথা কেউ তাকে বলেনা, মামা-মামীর সংসারে মানুষ, ঘরের আসবাবের মতন সে বড় হয়েছে, না আদর না অনাদর। একদিন তার এক বন্ধু মারা যায়, সেদিন রাতে কেউ তার কানে কানে বলে আলো জ্বেলে দিতে! এরপর থেকে শুরু হয় রাজুর অদ্ভুত জীবন। নানা মানুষের নানা কথা শুনতে পায় সে, নাকে আসে পোড়া গন্ধ! এমনি করেই একদিন রাজু পৌঁছে যায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে............... বন্ধুর চেয়ে বই ছিল তার সঙ্গী। একদিন শিক্ষককে মুখের উপরে সাহস করে বলেই ফেলে যে তিনি যা পড়াচ্ছেন সেটা নীলখেতে হুবহু পাওয়া যায়। এমনি করে চৈতির সাথে বন্ধুত্ব... অনেক জিজ্ঞাসার পর রাজু চৈতিকে বলেছিল সে কারো কথা শুনে কারো কান্না শব্দ শুনে...।।বিপদ টের পায়।। চৈতি এটাকে সিজোফ্রেনিয়া বলে তাকে ডক্টরের কাছে পাঠায়। সেইখানে ঘটে আরেক ঘটনা ।। কি ঘটে??? এর পর পর রাজুর সাথে পরিচয় হয় নীরার, সিঙ্গেল মাদার নীরা...ছোট্ট একটা ছেলে কে নিয়ে রাজুর খোঁজে আসে...। একদিন নীরার সাথে দেখা কোরায়শী নামের এক লোক আসে রাজুর কাছে, এরা কারা??? কেন আসে রাজুর কাছে? একদিন রাজুকে ছেড়ে চলে যায় চৈতি ! নিজের ছেলেকে বাঁচাতে চাইছে নীরা, কেন? কার কাছ থেকে?? রাজুকে খুঁজছে অনেক গুলো মানুষ আর ..................।। . পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ভাল লাগার মত একটা বই, বহুবার পড়েছি, পুরনো হয়নি আজো! মানুষের ইচ্ছা শক্তি থাকলে শয়তান কে আমরা তাড়াতে পারি, মনের প্রবল জোর টা প্রয়োজন!!! আমার কাছে বই আর বইয়ের প্রচ্ছদ ২টি ভীষণ প্রিয়। বইটা পড়লে মাঝে মাঝে নিজের ভেতরের শক্তিও জেগে উঠতে পারে, তাড়াতে পারি সকল দানব কে, হোক সে নিজের ভেতরের বা বাইরের... রেটিং ঃ ৫/৫ রকমারি লিঙ্ক ঃ https://www.rokomari.com/book/9358/%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC